আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার ঈদ শপিং ও হালের ফ্যাশন......



গতকাল বেড়িয়েছিলাম ঈদের শপিং এর জন্য। আমার কেনাকাটা অনেক আগেই শেষ। শুধু ঐশী বাকি ছিলো। ছোট ভাইটা আসলো বাসায় ভাবলাম ওকে কিছু কিনে দেই সাথে ঐশির জন্যও কিনে ফেলবো। বসুন্ধরা সিটি তে যেতে চেয়েছিলাম,পরে আবার ভাবলাম এই দুজনের কেনাকাটার জন্য এতদুর যাবো!! আর তাছাড়া ইদানীং যা ভীড় হয় মার্কেটগুলোতে!!রোযা থেকে আর যাই হোক ধাক্কাধাক্কি করে কেনাকাটা করা যাবেনা।

অগ্যতা গুলশানের মার্কেটগুলোতেই ঢু মারলাম। হাসব্যান্ডের শার্ট প্যান্টের অর্ডার দেয়া ছিলো পিংক সিটি তে,তাই প্রথমে পিংক সিটিতে গেলাম। শার্ট প্যান্ট নিয়ে ভাইয়ের জন্য কাপড় দেখতে লাগলাম। অনেক ঘুরে টুরে ইয়েলোর শোরুমে ওর একটা শার্ট প্যান্ট পছন্দ হল। আমারো ভালোই লাগলো।

কিন্তু দাম জিজ্ঞেস করার পর চমকে উঠলাম(কাপড়ের গায়ে প্রাইস ট্যাগ ছিলো আমি ই খেয়াল করিনি)। দোকানী দুইটার যা দাম বললো তাতে আমার হার্ট এটাক হওয়ার মত অবস্থা!!! পাগল নাকি!! এত্ত দাম!! এত দাম দিয়ে কাপড় কিনে আর যাই হোক গায়ে পড়া যাবেনা,দেখে দেখেই সময় কাটাতে হবে। শেষ পর্যন্ত শুধু শার্ট কিনে চলে আসলাম। প্যান্টের জন্য ঢুকলাম ওয়েস্টেকস এ। সেখানেও দামের একই অবস্থা।

শেষ পর্যন্ত যে প্যান্টটা কিনলাম তার দাম না হয় নাই বললাম! ঐশীর জন্য কিনলাম সালোয়ার-কামিজ। খুব একটা পছন্দ হয়নি আমার। কিন্তু কি করা,তার সে কি জিদ!! এটাই কিনবে। যাক অবশেষে কেনাকাটা শেষ করে বাসায় ফিরলাম। ইফতার করলাম।

ইফতার শেষে আরিফকে(ছোট ভাই) দেখি পাশের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলো। আমিতো অবাক! আরে ওর আবার কি হল??পরে ভাবলাম মনে হয় প্যান্ট পরে দেখছে, ঠিকমত লেগেছে কিনা। এভাবে প্রায় দশ মিনিট হয়ে গেলো,সে ত দরজা খুলছে না। অবশেষে দরজায় ধাক্কানো শুরু করলাম। ভিতরে ঢুকে যা দেখলাম তাতে আমার চোখ ছানাবড়া!! দ্বিতীয়বারের মত হার্ট এটাক হতে হতে হলনা।

এত্ত দামি নতুন প্যান্ট টাকে সে কেচি দিয়ে কাটার চেষ্টা করছে!! আমি বললাম- -এই কি করছিস রে তুই? -হাটুর দিক দিয়ে প্যান্টটাকে কাটছি আপা। এটাই ফ্যাশন,বন্ধুরা সবাই এরকম ই করে -বন্ধুরা সবাই করলে তোর ও করতে হবে? আজব তো!!এত্ত দামী প্যান্ট টা!! -তুমি বুঝবা না। যাও তো মেজাজটা এমন খারাপ হইলো! আমি নাকি বুঝবো না। বলে কি এই ছেলে?? -এই এইগুলা কোন যুগের ফ্যাশন রে??আমাদের যুগে তো এইসব ছিলো না,তো কি হয়েছিলো?? সে উত্তর দিলো -তোমার আমার তো একই যুগ। তুমি ফ্যাশন বুঝনা তো আমি কি করবো??সেকেলে একটা!! এই হল অবস্থা।

আমি সেকেলে!!আজকাল্কার ছেলেগুলা যে কি?? আজাইরা ফ্যাশনের পেছনে ঘুরে। মাঝে মাঝে বাসে কোথাও যাওয়ার সমায় দেখি কিছু ছেলে প্যান্ট এত্ত নিচে পরে যেন আর একটু হলেই খুলে পরে যাবে। ওদের লজ্জা লাগেনা,উল্টা আমি ই লজ্জায় মরে যাই। এগুলা নাকি ফ্যাশন!!যাক শেষ পর্যন্ত প্যান্টটা আর কাটেনি। কথা দিয়েছে কিছুদিন পরার পর একটু পুরাতন হলে তারপর কাটবে।

তাই বা কম কি!! আর রইলো ঐশী বাকি। গতকাল জামা কিনে আনার পর থেকে এই পোষ্ট লেখার আগ পর্যন্ত সে কম করে হলেও একশবার জামাটা ওয়ার্ড্রোব থেকে নামিয়ে দেখেছে। ভয় হচ্ছে দেখতে দেখতেই আবার ছিড়ে ফেলে কিনা!! ঈদের দিন পড়তে পারবে তো!!

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।