আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পথে একদিন (ওরা তাদের থেকেও নিকৃষ্ট)।



রাস্তায় একজন লোককে কয়েকজন মিলে বেদম পেটাচ্ছিল, চারদিক লোকে লোকারণ্য। কেউ কেউ অতি উৎসাহে দৌড়ে গিয়ে দুই তিনটা লাথি দিয়ে আসছে। মাঝে মাঝে ভেসে আসছে উচ্ছ্বসিত চিৎকার "মার শালা রাজাকারের বাচ্চা কে, মার, আরো জোরে"... অভীক আর বাবা হেটে যাচ্ছে পাশ দিয়ে। বাবাই, লোকটাকে ওরা পেটাচ্ছে কেন? অভীকের জিজ্ঞাসু চোখের দিকে তাকিয়ে বাবা উত্তর দিলেন, - "ঐ লোকটা রাজাকার ছিল, তাই বাবা", - রাজাকার কি বাবাই? এবার পাল্টা প্রশ্ন অভীকের - ওরা খারাপ লোক, আমাদের দেশটাকে আরেকজনের কাছে বেচে দিতে চাইছিল, একটু থেমে এবার উত্তর দিলেন বাবা অভীক আর বাবা হেঁটে চলছে। বাবাই জানো, আজকে ফাইজার জন্য মা রান্না করতে পারেনি, ছোট্ট অভীক বাবাকে বলল একটু মন খারাপ করে।

কেন বাবা, রান্না করতে পারে নি কেন? বাবার প্রশ্নের উত্তরে অভীক বলল "চুলা জ্বলে না বাবাই, আমি আর মা অনেকক্ষন চেষ্টা করলাম, তাও জ্বলে না"। বাবা একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন, কি যে হচ্ছে দেশটার। অভীক আবার বাবার দিকে তাকাল, বাবাই কি যেন নিয়ে চিন্তা করতে করতে হাঁটছে। এসময় বাবাই কে দেখতে ভয় লাগে অভীকের, তারপরেও সাহস করে অভীক বলে ফেলল, "বাবাই, মা বলল সব গ্যাস নাকি শেষ হয়ে যাচ্ছে তাই আর চুলা জ্বলে না। মা আরো বলল, গ্যাস নাকি বেচে দিচ্ছে"।

বাবা এবার মনে মনে একটু বিরক্ত হলেন, ছেলের সাথে মায়ের এহেন কথোপকথনের কথা শুনে। অভীক এখনো নেহায়েত বাচ্চাই। কি কথার মানে কি বুঝবে কে জানে। হঠাৎ বাবা হতভম্ভ হলেন অভীকের পরের প্রশ্ন শুনে - বাবাই, যারা গ্যাস বেচে দিচ্ছে তারাও কি রাজাকার? একটু হতভম্ভ বাবা উত্তর দিলেন "না বাবা, ওরা রাজাকার হবে কেন?" - তাহলে ওরা কি বাবা? একটু সময় নিলেন বাবা এবার উত্তর দিতে, হাঁটতে হাঁটতেই আস্তে করে অভীকের মাথায় একটা হাত বুলিয়ে ছোট্ট করে উত্তর দিলেন "ওরা রাজাকারের চেয়েও খারাপ" "লেখাটা ধার করা"

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।