আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুখ থুবড়ে পড়েছে লাউয়াছড়া পামঅয়েল চাষ প্রকল্প

রঙ্গিলা বন্ধুরে....... i_mahmud2008@yahoo.com

মুখ থুবড়ে পড়েছে লাউয়াছড়া পামঅয়েল চাষ প্রকল্প সূত্র : যুগান্তর মৌলভীবাজারের মাটি পামঅয়েল চাষ উপযোগী হলেও লাউয়াছড়ায় পরীক্ষামূলক প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। লাউয়াছড়া পামঅয়েল প্রকল্পে প্রতিবছরে লাখ লাখ টাকা যাচ্ছে জলে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা না থাকায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে পাম চাষ করে হতাশায় পড়েছেন পাম চাষীরা। ১৯৮২ সালে মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যোনের ভেতরে প্রায় ৩০ শতক পাহাড়ি জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে পামগাছ লাগানো হয়। এই পাম বাগানকে কেন্দ্র করে বাগানটি দেখাশুনা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য এখানে একজন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্টাফ নিয়োগ করা হয় সরকারি উদ্যোগে।

হবিগঞ্জের সাতছড়ি পাম বাগান থেকে পামের চারা এনে রোপণ করা হয় প্রায় ২ শতাধিক চারা গাছ। মাত্র কয়েকটি চারা নষ্ট হলেও বাকিগুলো অক্ষতভাবে বেড়ে ওঠে। চারা রোপণের মাত্র কয়েক বছরের মাথায় গাছে পামের ফলন আসে। এরপর থেকে সবকটি গাছে পামের ফলন আসছে নিয়মিত। বর্ষাকালে অধিক বৃষ্টি প্রধান এলাকা হিসেবে পরিচিত মৌলভীবাজারে রোপিত পামগাছে বর্ষায় পানি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি গাছে একাধিক কাদি আসে এই কাদিগুলো কেটে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয় বলে এক কর্মকর্তা জানান।

তিনি আরও জানান, পামগাছে সারা বছর ফলন বা কাদি আসে ও পামকে বারো মাসি ফলন হিসেবে মূল্যায়ন করা যায়। কিন্তু লাউয়াছাড়া প্রকল্পটি যেহেতু পরীক্ষামূলকভাবে লাগানো হয়েছে সেজন্য শুষ্ক মৌসুমে গাছে পানি দেয়া হয় না। তাই শীত মৌসুমে এখানের পামগাছে কাদি আসে না। লাউয়াছড়া পাম প্রকল্পের গাছগুলোতে প্রতি বর্ষা মৌসুমে বিপুল পরিমাণ কাদি আসে। কিন্তু পাম অয়েল উৎপাদনের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না থাকায় এবং ওপরের নির্দেশ না থাকায় লাউয়াছাড়া প্রকল্প থেকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পামঅয়েল সংগ্রহ করা হচ্ছে না।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।