-হ্যালো...
অনেকক্ষন পর তুমি ঘুম জড়ানো কন্ঠে আমার ফোনটা রিসিভ করলে।
-হ্যা-লো---। তুমি এখনো ঘুমোওনি। রাত ২ টা বাজে।
মনের অজান্তেই একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো।
কেন জানি না তোমার প্রতি একটু ঈর্ষাও হলো। কী আরামেই না তুমি ঘুমোচ্ছ। আমিও ঘুমোনোর চ্ষ্টো করছি। কিন্তু গরমে ঘুমাতে পারছি না।
- কালকে তোমার অফিস আছে তো।
- কিন্তু কী করব বলো!
- এ পর্যন্ত সন্ধ্যা থেকে ৪ বার বিদ্যুত গেল। ঘুম কী আসে!
আমার কথাটা শুনে তুমি অনেক জোড়ে চীৎকার করে হেসে উঠেলে।
- বিদ্যুত তো যাওয়ার জিনিসই, তাই না?
- হ্যা, তা ঠিক বলেছ।
- আচ্ছা একটা কথা বলোতো?
- কী?
- তোমার কি মনে হয় এই সরকার ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশে বিদ্যুতের চাহিদা ডাবল হয়ে গেছে?
- না- তা কি করে সম্ভব!
- তা হলে এখন আগের চেয়ে ডাবল-ট্রিপল বিদ্যুত যায় কেন?
- সে আমি কী করে বলবো। এইসব কি আমার জানার কথা?
তুমি আর একবার উচ্চস্বরে হেসে উঠলে।
তোমার হাসি শুনে মনে হচ্ছে বোকার মত কথা বলে ফেলেছি। বেশ বোকা বোকা লাগছে নিজেকে।
- শোন!
- বলো
- গতকালকের প্রথম আলোর হেডলাইন দেখেছ? ”কমিশন-বিিনজ্য ঠেকাতে গিয়ে বিপাকে বিমানমন্ত্রী”।
- এইসব তো আমাদের দেশে স্বাভাবিক।
- রাইট! আমাদের দেশে সবকিছূ স্বাভাবিক।
আর এই জন্যই মনে হয় আগামী পাঁচ বছরেও আমাদের দেশের বিদ্যৎ সমস্যা মিটবে না। বলতে পারো মিটতে দেয়া হবে না।
- ধুর! তুমি কী বলো। সরকার অনেক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
- হা- হা - হা! তুমি ছোট বেলায় অংক করেছ না ।
”একটি ড্রাম ৩ মিনিটে পূর্ণ হয়, কিন্তু যদি একটি ফুটো করে দেয়া হয় তাহলে সেটি পূর্ণ হতে ১০ মিনিট সময় লাগে----”। তেমনি যদি আমাদের উৎপাদিত বিদ্যুত এমন ফুটো দিয়ে বের হযে যায় তাহলে --
- এটাও কি সম্ভব!
- অফকোর্স সম্ভব। আমার তো তাই মনে হয়। কোন না কোন ভাবে বিদ্যুৎ ঘাটতি করানো হচ্ছে। এমন ও হতে পারে সেখানে সরকারী দল এবং বিরোধী দল দুপক্ষের লোকেরাই আছে।
কেন দেখ না। ব্যবসার স্বার্ধে দুদলের রাঘব বোয়াল রা চরম দোস্ত ! ওরা জনগনের ভোটে ক্ষমতায় আসে। তারপর জনগনকে কেমনে নাকানি চুবানি খাওয়াতে হয় সেটা ভালভাবেই দেখিয়ে দেয়। প্রয়োজনে ওসি কে চড় থাপ্পর দিয়ে শিক্ষা দেয়। আ-হারে-----
তুমি কথা শেষ করার আগেই ফোনটা কেটে গেল।
মনে হল ফোনে আঁড়ি পেতে লাইনটা কেটে দেয়া হলো। বুকটা আচমকা কেঁপে উঠল। কিছুদিন আগেই পত্রিকায় দেখেছি আজকাল ফোনে আঁড়ি পাতা হচ্ছে। আবার একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো নিজের অজান্তেই- অনিচ্ছা স্বত্ত্বেও------------
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।