আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কালচারাল ডারুইনিজম

কাগু ক্যান স্টার্ট অ্যা ফায়ার ইউজিং জাস্ট টু আইস কিউবস

১ মাই হ্যাটস অফ টু দৌজ হু হ্যাভ সারভাইভড দ্য কালচারাল ক্রসফায়ার, একেএ গ্লোবালাইযেশন ... দৌলত হোসেন, ফেসবুক এক্কালের জিগরি দোস্ত দৌলতের ফেসবুকে এইটা দেখে লেখার ইচ্ছা জাগছিলো , সে মেলা দিন আগে । আমাদের চোক্ষের সামনে দিয়া পৃথিবী কালচারাল জগাখিচুড়ির জায়গা হৈয়া গেলো । হৈতেছে অনবরত । দিনে দশবার আম্রিকারে সাম্রাজ্যবাদী, হিপোক্রেট বৈলা গালি দেয়া বিপ্লবীও দশটা আম্রিকার ভার্সিটিতে কাগজ পাঠায় ভর্তি হওনের জন্য । আম্রিকা গিয়াও আম্রিকা খ্রাপ খ্রাপ কৈরা চিল্লায়, মাগার ভিসার লাইগা আম্রিকান এম্বেসিতে ল্যাঙটা হৈয়া দশ পাক দিতেও আপত্তি নাই ।

একিভাবে য়্যুরোপ অস্ট্রেলিয়া ক্যানাডা যে যেখানে যেমনে পারে, অর্থনৈতিক অনুন্নত দেশ থাইকা উন্নত দেশে গিয়া পরিশ্রম আর যন্ত্রণা সহ্য কৈরা নিজদেশ আর হোস্টদেশ দুইখানের কালচারই চেন্জ করে দিচ্ছে লোকজন । ২ দ্য এন্টি ইভোলুশনিস্টস আর অ্যা প্রোফাউন্ড এভিডেন্স ফর ইভোল্যুশন । দেয়ার আর্গুমেন্টস হ্যাজ চেন্জড ওভার টাইম সো রিমার্কেব্লি, দ্যাট ইট ক্যান অনলি বি এক্সপ্লেইনড বাই ইভোল্যুশনারি থিওরি ... আননোন ব্লগার অন এন আননোন ফোরাম বিবর্তনের মূল কথা খুব সহজবোধ্য । শুধু তিনটা জিনিসের প্রয়োজন । প্রজনন, বৈচিত্র , নির্বাচন (রিপ্রোডাকশন, ভেরিয়েশন, সিলেকশন) ।

প্রাকৃতিক প্রজননে বৈচিত্র এমনিতেই থাকে । প্রজননের পরে পরিবশের চাপে যারা টিকতে পারে তারা বংশধর রাখতে পারে, অন্যরা হয় ভ্যানিশ নাইলে অন্য পরিবেশে সইরা যাইতে বাধ্য । বিশাল সময়ের ব্যবধানে দেখা যায় একি জায়গা থেকে শুরু কৈরা সম্পূর্ণ নতুন অনেক রকমের জীব নিজ নিজ পরিবেশে উঠে আসে । যেকোন সহজ, সঠিক মডেলের সুবিধা হৈলো, উৎপত্তির জায়গা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন অনেক অনেক যায়গাতেও এর নির্ভুল সুন্দর প্রয়োগ করা যায় । কম্পিউটার মডেল, অর্থনৈতিক থেকে এখন কসমোলজিতেও তাই বিবর্তনী মডেল প্রয়োগ করা হৈতাছে ।

কালচারেও না যাওয়ার কারণ নাই । তবে কালচারে বিবর্তনের প্রভাব পড়া এই কিছুদশক আগেও যা কঠিন ছিলো তার তুলনায় এখন কোটি কোটি গুন সহজ । কারণও বোধগম্য । একদিকে যোগাযোগের উন্নতির জন্য নানান রকমের কালচার সেকেন্ডের মধ্যে পৃথিবীর অন্য প্রান্ত থেকে দেখা এবং শুনা যাইতাছে, অন্যদিকে পৃথিবীর নানান প্রান্তের মানুষ নানান ছুতায় জমা হৈতাছে বড় বড় আন্তর্জাতিক শহরগুলায় । কালচারের ক্ষেত্রে বদ্ধ জায়গায় প্রাকৃতিক প্রজননে বৈচিত্র তৈরী হয় না বলেই এত দিন লাগলো, বিবর্তন কিক ইন করতে ।

৩ য়্যু শুড জয়েন মাই রিলিজিয়ন মোও, নো হেল , নো নিলিং স্যরি হোমার, আই ওয়াজ বর্ন এ স্নেইক হ্যান্ডলার এন্ড আই'ল ডা-ই এ স্নেইক হ্যান্ডলার... দ্য সিম্পসনস, সিজন ০৪, এপিসোড ০৩ বড় বড় কালচারের জগাখিচুড়ির জায়গাগুলাতে সব সংঘর্ষ অনিবার্য । জড়তা মানুষের যেমন, কালচারেরও তেমন অবিচ্ছেদ্য অংশ । এই ঘষাঘষিতে অনবরত ক্ষত হৈতে থাকে ব্যাক্তি মানুষ । মিশরীয় এক বড় কুতুব মধ্য ষাটে আম্রিকা গিয়া ঐখানকার সিবিচে হাফ-ল্যাঙটা মেয়ে দেইখা এতই শকড হৈছিলো যে দেশে ফিরা যে বিশাল বড় মৌলবাদী সংঘটন তৈরী করছিলো । এই শকেই দেখা যায়, দেশে যেলোক নিজদেশের টিভিতে কোনদিন চ্যানেল ঘুরায়নাই সেও রাইতের পর রাইত জাইগা বাংলা নাটক ডাউনলোড করে, দেশে যেলোক দুই ঈদের নামায ছাড়া কেবলা চিনতো না সে ল্যাবে পান্জাবি টুপি পইড়া প্রেজেন্টেশন দেয় ।

তবে এইসব রিএকশন মূলত ডুবন্ত মানুষের খড়কুটারে আপ্রাণ ধৈরা রাখতে চাওয়ার চেষ্টার মত ট্র্যাজিক এবং তৃতীয় পক্ষের কাছে হাস্যকর । কারণ এখন পর্যন্ত যা দেখলাম, এক জেনারেশন পরে এইসবে ছিঁটাফোটাও খুইজা পাওয়া যায় না । আরো ট্র্যাজিকলি হাস্যকর কিছু ব্যাপার দেখলাম, দশ বছর থাইকাও যে বাপ-মা জাপানিজ ভাষা শিখার আগ্রহ দেখায়নাই, তারা এখন নিজ পোলাপানের সাথে কথা বলার জন্য ইশকুলের বাচ্চাদের মত ভাষা শিখতেছে । কয়েকদিন পরপর ফোন কৈরা গ্রামার জিগায়, শব্দের অর্থ জিগায় দেখা হৈলে । ৪ এভুলুশন টেলস আজ উই স্টার্টেড অফ টাইনি আগলি ডাম্ব, এন্ড উই আর গেটিং বিগার স্মার্টার এন্ড বেটার বাট দ্য বাইবল টেলস আজ উই স্টার্টেড অফ বিগার স্মার্টার এন্ড গেটিং স্মলার উইকার এন্ড ডাম্বার ... কেন্ট হোভিন্ড (কারেন্টলি সার্ভিং হিজ টেন ইয়ারস সেন্টেন্স ফর ট্যাক্স ফ্রড) তবে কালচারের জগাখিচুড়িতে কেবল হোস্টের কালচারই শেষ পর্যন্ত জয়ী হবে এমন কোন কথা নাই ।

বিবর্তনের মূল সূরের সাথেও সেটা যায় না । বরং যেই কালচার , কালচারধারী মানুষের টিকে থাকা এবং ভালো থাকার জন্য বেশি উপকারী হবে সেটাই টিকে থাকার কথা । ধীরে হৈলেও সেইটা দেখা যাওয়া শুরু হৈছে বলা যায় । অবশ্যই, সব কালচার কেবল কালচার, তার মধ্যে ভালো খারাপ নাই এইরাম বুলশিট প্রচুর শুনা যায় । তবে সেটা সত্যিকারের অর্থেই বুলশিট ।

কালচারে অবশ্যই ভালো খারাপ আছে । দুর্বল কালচার আছে, সবল কালচার আছে । আমাদের বাংলাদেশের অনেক কালচার আছে যেগুলা আমাদের জীবনরে বিষায়া তোলার জন্যই জন্ম । সেইগুলা অন্য কালচারের সাথে ধাক্কায় হাইরা যাইতে বাধ্য এবং হারতেছেও । দীর্ঘদিন আগে এক অনেক সিনিয়র ভাই, দুই বাচ্চার বাপ এক অদ্ভুত থিওরি বলছিলেন ।

আক্ষেপ কৈরা বলতেছিলেন, যখন তরুণ ছিলাম তখন মনে হৈত একটা মেয়ের একটু স্পর্শ একটু উত্তাপ বেহেশতের সুখের মত । কিন্তু সেইসময় জীবনের জন্য স্ট্রাগল করতে করতে যে বয়সে গিয়া বিয়া করলাম সে বয়সে জীবনের ঐ প্রিস্টিন মোমেন্ট চৈলা গেছে, এখনতো শুধু জীবনটারে কোনমতে টাইনা নেয়া । আরো কৈলেন, আমাদের কলেজ ভার্সিটির বেশিরভাগ ছাত্র মাথাটা ঝুঁকে রাখে নাকি এই যৌনঅতৃপ্তির চাপেই । আমি অবশ্য খেয়াল কৈরা দেখি নাই ঐভাবে । যৌনতা নিয়া আমাদের যেই পাপবোধ, অস্পৃশ্যতার চেতনা, এইটা সক্ষম বয়সের ছেলে মেয়ে দুইদিকরেই তিক্ত এবং হতাশ কৈরা তোলার মত যথেষ্ঠ ।

বড় ভাই অবশ্য এখনো ডিনায়ালে আছেন । বাংলাদেশের সেই কালচার এখন অনেকাংশেই নাই এইটা মানতে চান না । আমি অবশ্য হ্যাপি ফ দ্যট । তারপরও চেতনার হয়ত যথেষ্ঠ পরিবর্তন হয় নাই । এখন বরং একপক্ষ আদি অতৃপ্তির কারণে তিক্ত, স্ট্রেসড, আর যে পক্ষ করতে পারতেছে তারা সেইটা লুকাইয়া রাখার পিছনেই নিজের মেধা আর হ্যাপিনেস ব্যয় করতাছে ।

এই উদ্ভট কালচার যত তাঁবু টানাইয়াই চেষ্টা করা হোক, আর হাতমোজা সানগ্লাস পইরা সাগরে নাইমাই চেষ্টা করা হোক, অন্য কালচারের ঘষায় জং ধরা লোহার জং এর মতই পইড়া যাবে । আজকে উনার সাথে বাজি ধৈরা আসলাম । উনার ছয় বছরের এক মেয়ে আর পাঁচ বছরের এক ছেলে আছে । উনি বললেন এখন থেকে পনের বছর পরে তার মেয়ে বাংলাদেশি কোন ছেলেকেই পরিবারের পছন্দে বিয়ে করবে, আর আমি কোন পক্ষে বাজি ধরলাম সেইটা বলাই বাহুল্য । পনের বছর পরে উনারে ফোন করার কথা ।

তবে ঝামেলার কথা হৈলো, পশ্চিমের এই স্বাধীন কালচারও তাদের বিনাশের কারণ হৈয়া দাঁড়াইছে । পরিবার গঠনে অনিহা, বাচ্চা পালনে অনীহা, যেইগুলা স্বাধীনতার সাথে প্যাকেজ হিসাবে আসে, সেইগুলার কারণে বেশিরভাগ পশ্চিমা দেশই মারাত্নক শ্রম সংকট আর ফার্টিলিটি সংকটে ভুগতাছে । কেউ কেউ এমনকি লোকজন দরকার হৈলে কড়া ধার্মিক হৈয়া যাক, তাও পরিবার বানাক, বাচ্চা লালন করুক সেইটা চাইতাছে । হাসি চাপায়া রাখা কঠিন । ৫ তবেকি বেল্লিক ভেবে দেবে নির্বাসন চিরতরে / অথবা লেখাবে দাসখত শোকাবহ আত্নার সাক্ষাতে / যাই করো, চিরদিন আমি তবু থাকবো অনড় স্বাক্ষী তোমাদের কারুপুরষতার... শামসুর রাহমান (রৌদ্র করোটিতে) বিবর্তনবাদের সৌন্দর্যের প্রতি বিন্দুমাত্র অবিচার না কৈরা এর মধ্যেই অবশ্য দুইদিকের দুই জিনিস নিয়া হাইব্রিড প্রজাতির উদ্ভভ হৈয়া গেছে ।

এরা এমন প্রজাতি গার্লফ্রেন্ডের সাথে এক বাসায় থাকে কিন্তু এক বিছনায় ঘুমায় না, নামাযের জায়গা পাক রাখার লাইগা । রেড ওয়াইনের গ্লাসে চুমুক দিতে দিতে শরীয়া কোর্টের সাথে বাৎচিত করে ডোরিটোস চিপসে হারাম কোন ইনগ্রেডিয়েন্ট আছে কিনা । আবার রবিবারে ড্যানিশ এম্বেসির সামনে বিক্ষোভ করতে যায় । একটা বয়সের পর দেশে গিয়া মাত্র এসএসসি দেয়া মেয়ে বিয়া কৈরা আনে । বাচ্চাকাচ্চা একটু বড় হৈলে মক্তবে পাঠায় ।

বাংলা নাটক ডাউনলোডের সিস্টেম শিখে তরুনদের কাছে । মনপুরার সিডির জন্য বৈলা রাখে সবাইরে । শেষের বিচারে এরাই হয়ত ডমিনেন্ট প্রজাতি হৈয়া উঠতে পারে । আমার আপত্তি নাই । একটা গ্রুপরে আমার অপছন্দ এইটা তাদের বিলুপ্ত হওয়ার কারণ হৈতে পারে না ।

আমি কেবল তাদের দেইখা উপহাস করতে পারি । সেই অধিকারতো আছে । ৬ ইন আমেইরিকা, ফারস্ট ইউ গেট দ্যা শুগার, দ্যান ইউ'ল গেট দ্য পাওয়ার, দ্যান ইউ'ল গেট দ্য ওমেন ... দ্য সিম্পসনস সিজন ০৬, এপিসোড ০২ এইটার কোন সম্পর্ক নাই পোস্টের সাথে । ডায়লগটা এত পছন্দ হৈছে, খাটুক না খাটুক সবখানে দিতে ইচ্ছা করে । হা হা হা ।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     বুকমার্ক হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.