আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

This is for those who want to know, not for those who don't want, it is only my duty to massage ........

~*..*~

শিরকের বাহিনী সরিয়ে তাকে তাওহীদপন্থী লোকদের দ্বারা প্রতি স্থাপন করতে হবে; ইহা বুঝতে না পারার ব্যর্থতাঃ `````````````````````````````````````````````````````````````````````````````````` শাসকরা যারা আইন প্রণয়নের অধিকার গ্রহণ করেছে তাদের শিরক মানার মধ্যে দিয়ে মুসলিমরা তাদের উপর শিরক দূর করার যে হুকুম ছিল তা থেকে বহু দূরে সরে গেছে- “এবং ততক্ষণ পর্যন্ত লড়াই কর যতক্ষণ না ফিতনা দূরীভূত হয় এবং দ্বীন একান্তভাবে আল্লাহর জন্য হয়ে যায়। ” (আনফালঃ ৩৯) এবং আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত নবী (সাঃ) বলেন “আমি ততক্ষণ পর্যন্ত লোকদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে (আল্লাহর পক্ষ থেকে) আদিষ্ট যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা সাক্ষ্য দিবে যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর রাসূল। আর তারা নামায কায়েম করবে ও যাকাত আদায় করবে। তারা এগুলো করলে তাদের রক্ত ও সম্পদ আমার কাছ থেকে নিরাপদ করে নিল। তবে ইসলামের হক (অপরাধের শাস্তি) তাদের উপর থাকবে।

আর তাদের প্রকৃত ফয়সালা আল্লাহ তায়ালার উপর সমর্পিত ” (মুসলিম কিতাবুল ঈমান নং ৩৩ বুখারী) আজকে মুসলিম বিশ্বের দিকে আমরা তাকাই দ্বীন কি সত্যিই আল্লাহর জন্য? শাসকরা আর্ন্তজাতিক কুফর আইনের কাছে নিজেদের সমর্পণ করে ঐসব আইন প্রয়োগ করছে, তারা কুফর জাতিসংঘের সাথে পূর্ণ সহযোগিতা করছে। মুসলিম দেশসমূহের মধ্যে কুফরদের তৈরীকৃত সীমানা গ্রহণ করেছে। মুসলিম দেশসমূহ সুদ দিয়ে সয়লাব করে ফেলেছে এবং ষাটজন শাসকের শাসন জায়েয করেছে যেখানে মহান আল্লাহ আমাদের আদেশ করেছেন এক খলিফার অধীনে এক উম্মাহতে পরিণত হওয়ার জন্য। ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~ রাসূল (সাঃ) এর কথার অপপ্রয়োগ যদি মানব রচিত আইন ও আইন প্রণয়নের অধিকার কুফররূপে স্বীকার করা না হয়ঃ `````````````````````````````````````````````````````````````````````````````````` দুনীর্তি পরায়ন ও ভন্ড আলেম ও বাতিল আন্দোলনগুলো ইমামের ব্যাপারে ধৈর্য্যধারণ ও আনুগত্যের হাদীসগুলো এসকল শাসকদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ শুরু করবে। এর ফলে উম্মাহ কুফরকে উৎখাত করার জন্য কোন প্রচেষ্টা না চালিয়ে মুসলিম দেশসমূহ শিরককে সহ্য করতে থাকবে ও যুলুম নিপীড়ন ও কুফরের কাছে সমর্পণ করে চিন্তা করবে যে তারা সবর করছে।

এটা আকীদার মধ্যে এক প্রচন্ড ভুল চিন্তাধারা এবং অনেকেই বর্তমানে এই হাদীসের ভুল প্রয়োগ করছে। প্রকৃতপক্ষে এই হাদীসে যেসকল শাসকদের আনুগত্যের কথা বলা হয়েছে তারা উম্মাহর শরয়ী ইমাম (খলীফা) ও তার নিযুক্ত করা আমীরের জন্য যারা শরীয়াহ মুতাবিক অর্থাৎ আল্লাহর আইন অনুযায়ী শাসন করে কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে গাফেল ও অত্যাচারী কিন্তু কখনই আইন রচনাকে নিজেদের হাতে তুলে নেয়নি। এটা প্রমাণিত হয় উবাদ ইবনুস সামিত (রাঃ) বর্ণিত রাসূলের (সাঃ) এই হাদীস দ্বারা “নবী (সাঃ) আমাদের বায়াত গ্রহণ করেছিলেন এই মর্মে যে “শুনো ও মানো সন্তুষ্টি ও অসন্তুষ্টিতে সুদিনে ও দুর্দিনে তোমাদের ব্যক্তিগত পছন্দ যাই হোক না কেন, তাদের কাছ থেকে কর্তৃত্ব সরিয়ে নিবে না যতক্ষন না তাদের মধ্যে প্রকাশ্য কুফর দেখতে পাও (কুফর কথা বলে) যার ফলে আল্লাহর পক্ষ থেকে স্পষ্ট প্রমাণ পেয়ে যাও (শাসককে সরিয়ে দেয়ার জন্য) ” [মুসলিম কিতাবুল ইমারাহ ৪৫৪১ বুখারী ইংলিশ/এরাবিক ভলিয়ম ৯১৭৮]। আজকের শাসকরা স্পষ্ট কাফির সুতরাং তাদের ব্যাপারে ধৈর্য্যধারণের কোন প্রশ্নই আসে না যতক্ষন না তারা তওবা করে ও তাগুতকে পুরোপুরি অস্বীকার করে ও ইসলামিক শাসনের সকল নীতি গ্রহণ করে। যদি আমরা আমাদের আকীদাকে সুস্পষ্টরূপে জানতে সক্ষম হই তখন আমরা কিছুতেই ইমামের ব্যাপারে আনুগত্যের হাদীসকে তাগুতের আনুগত্যের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করব না।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।