আমি বিদ্রোহী
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লালন চর্চ্চা কেন্দ্রের বঙ্গবন্ধুর ৩৫ তম শাহাদৎ দিবস পালন
রিবেল মনোয়ার
গত রোববার সারা দেশের মতো ঢাকা মহানগরীতেও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক, পেশাজীবী সহ নানা রকম সংগঠন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩৫ তম শাহাদৎ দিবস এক ভাবগম্ভীর মর্যাদার সাথে পালন করে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের লালন চত্বরে বঙ্গবন্ধুর শাহাদৎ দিবসে আয়োজিত হয়েছিলো দিনব্যাপি এক ব্যতিক্রমি কর্মসূচির। আয়োজন করেছিলো অতি সম্প্রতি এই সোহরোওয়ার্দী উদ্যানেই কয়েকজন তরুণ-যুবক-প্রৌঢ় লালন ভক্তদের উদ্যোগে গঠিত লালন চর্চ্চা কেন্দ্রের নেতা-কর্মী-সংগঠক-স্বেচ্ছাসেবক বৃন্দ। সংগঠনের নামবিহীন ব্যাণারে লেখাছিলো “পিতা, এখানেই তুমি উচ্চারণ করেছিলে বাঙ্গালী জাতির শ্রেষ্ঠ কবিতাটিÑ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। আজ(১৫ আগস্ট) আমরা আমাদের ধিকৃত করি তোমাকে রক্ষা করতে পারিনি বলে।
”
লালন চর্চ্চা কেন্দ্রের কর্মসূচির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সকাল থেকে ইফতারীর সময়ের পূর্ব পর্যন্ত ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষন প্রচারের পাশাপাশি উত্তাল ঊনসত্তরের অগ্নিঝড়া দিনগুলোর সময়কার জনপ্রিয় গণসঙ্গীত সমূহ, সত্তরের নির্বাচনের সময় বিভিন্ন জনসভায় প্রদত্ত বঙ্গবন্ধুর ভাষন। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন সময়ের বিবিসি, আকাশবাণী কলকাতা ও স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্র সহ বিভিন্ন দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রচার মাধ্যম সমূহে প্রচারিত মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে প্রচারিত খবর ও অনুষ্ঠান সমুহের ক্লিপিং এবং দেশাÍবোধক সঙ্গীতসমূহ। সন্ধ্যায় ইফতারির সময় প্রায় একহাজার দুঃস্থ রোজাদারদের মধ্যে ইফতারি বিতরণ করা হয়। ইফতারির পর প্রখ্যাত সাংবাদিক ও কলামিষ্ট আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী রচিত ও পরিচালিত ‘পলাশী থেকে ধানমন্ডি’ প্রামান্য চিত্রটি প্রদর্শিত হয়। রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত দুই ঘন্টা সময় প্রায় পাঁচ হাজার দর্শক প্রামান্য চিত্রটি অবলোকন করেন।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু হত্যাপূর্ব হত্যাকারিদের বিভিন্ন স্থানে ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠক গুলো এ প্রামান্য চিত্রে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আসন ব্যবস্থা না থাকায় দর্শকরা দাঁড়িয়ে থেকেই অবলোকন করেন এই চিত্রটি। এতে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকায় রূপদান করেন দেশের প্রখ্যাত অভিনেতা ও টিভি ব্যক্তিত্ব পীযূষ বন্দোপাধ্যায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।