আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছয় মাসে ৪৫২ ছাত্র হল ছেড়েছেন কুদরাত-ই-খুদা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় | তারিখ: ১৪-০৮-২০১=prothom-alo

সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায়......

রাজশাহী বশ্বিবদ্যিালয়রে বভিন্নি আবাসকি হল থকেে গত ছয় মাসে ৪৫২ জন সাধারণ ছাত্র হল ছড়েছেনে। ছাত্রলীগরে চাঁদাবাজি ও ভয়ভীতি প্রর্দশনে অতষ্ঠি হয়ে এই শক্ষর্িাথীরা তাঁদরে নামে বরাদ্দ সটি বাতলি করে চলে যান বলে অভযিোগ পাওয়া গছে। ে শূন্য হওয়া এসব সটি বরাদ্দ দওেয়ার জন্য দরখাস্ত আহ্বান করা হলওে এর বপিরীতে আবদেনপত্র জমা পড়ছে কম। এ ব্যাপারে বশ্বিবদ্যিালয়রে উপার্চায এম আবদুস সোবহান বলনে, শক্ষর্িাথীরা কী কারণে হল ছাড়ছ,ে তা খতয়িে দখেতে সংশ্লষ্টি ব্যক্তদিরে নর্দিশে দওেয়া হব। ে সাধারণ শক্ষর্িাথীদরে নরিাপত্তা নশ্চিতি করতে হলগুলোতে পুলশি মোতায়নেরে ব্যবস্থা করা হয়ছে।

ে বশ্বিবদ্যিালয় শাখা ছাত্রলীগরে সদ্য স্থগতি হওয়া কমটিরি সভাপতি আওয়াল কবরি বলনে, ‘আমার জানামত,ে ছাত্রলীগরে কোনো নতো-র্কমী চাঁদাবাজরি সঙ্গে জড়তি নন। ’ শক্ষর্িাথীদরে সটি বাতলি করে চলে যাওয়া প্রসঙ্গে তনিি বলনে, যাঁরা সটি বাতলি করে চলে গছেনে, তাঁদরে অনকেরে বরিুদ্ধইে ছাত্রশবিরিরে রাজনীতরি সঙ্গে জড়তি থাকার অভযিোগ রয়ছে। ে তা ছাড়া হলে থাকতে ভালো না লাগলে কউে সটি বাতলি করে চলে যতেইে পারনে। এর জন্য ছাত্রলীগ দায়ী নয়। অনুসন্ধানে জানা গছে,ে গত ছয় মাসে বভিন্নি হলরে অন্তত ৪৫২ জন আবাসকি শক্ষর্িাথী সটি বাতলি করে চলে যান।

গত ৮ ফব্রেুয়ারি ছাত্রলীগরে ওপর শবিরিরে হামলার পর থকেে এ র্পযন্ত শাহ মখদুম (এসএম) হলরে ৬৮ জন, সয়ৈদ আমীর আলী হলরে ৩০, নবাব আবদুল লতফি হলরে ৩৩, শহীদ শামসুজ্জোহা হলরে ৪৮, হোসনে শহীদ সোহরাওর্য়াদী হলরে ৮৪, মাদার বখ্শ হলরে ৬৯, জয়িাউর রহমান হলরে ৩৭, শহীদ হববিুর রহমান হলরে ৩৮, শরে-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক হলরে ২৫ এবং বঙ্গবন্ধু শখে মুজবিুর রহমান হলরে অন্তত ২০ জন সাধারণ শক্ষর্িাথী তাঁদরে নামে বরাদ্দ থাকা সটি বাতলি করে হল ছাড়নে। বশ্বিবদ্যিালয়রে বভিন্নি সূত্র জানায়, চলতি বছররে ২৮ জানুয়ারি বশ্বিবদ্যিালয় শাখা ছাত্রলীগরে কমটিি গঠতি হয়। এর পর থকেইে ছাত্রলীগরে নতো-র্কমীদরে চাঁদাবাজি ও বভিন্নি ধরনরে হুমকতিে সাধারণ শক্ষর্িাথীরা জম্মিি হয়ে পড়নে। তবে গত ৮ ফব্রেুয়ারি ছাত্রলীগরে সঙ্গে শবিরিরে সংর্ঘষে ছাত্রলীগরে র্কমী ফারুক হোসনে নহিত হওয়ার পর শবিরিরে নতো-র্কমীরা ক্যাম্পাস ছড়েে চলে যান। এরপর ছাত্রলীগরে দৌরাত্ম্য আরও বড়েে যায়।

শক্ষর্িাথীরা অভযিোগ করনে, ছাত্রলীগরে নতো-র্কমীদরে চাঁদা দতিে অস্বীকার করলে মারধররে পাশাপাশি শবিরিরে র্কমী আখ্যা দয়িে কংিবা ছাত্রলীগরে র্কমী ফারুক হত্যায় জড়তি বলে পুলশিে দওেয়ার ভয় দখোনো হয়। নাম প্রকাশে অনচ্ছিুক একজন শক্ষর্িাথীর অভযিোগ, তনিি মাদার বখ্শ হলরে আবাসকি ছাত্র ছলিনে। সম্প্রতি ছাত্রলীগরে নতো-র্কমীরা তাঁর কাছ থকেে মোটা অঙ্করে চাঁদা দাবি করনে। চাঁদা দতিে অস্বীকার করলে তাঁকে মারধর করা হয়। হলে থাকা নরিাপদ নয় ভবেে সটি বাতলি করে তনিি ক্যাম্পাসরে বাইরে একটি বসেরকারি ছাত্রাবাসে থাকছনে।

এস এম হলরে আবাসকি ছাত্র ছলিনে এমন একজনরে সঙ্গে কথা হয়। তনিি জানান, হলে থাকার সময় তনিি কোনো ছাত্র সংগঠনরে সঙ্গে জড়তি ছলিনে না। সম্প্রতি ছাত্রলীগরে নতো-র্কমীরা তাঁকে ‘ছাত্রশবিরিরে র্কমী’ আখ্যা দয়িে মোটা অঙ্করে চাঁদা দাবি করনে। চাঁদা দতিে না পারায় তনিি সটি বাতলি করে হল ছড়েে দয়িছেনে। শরে-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক হলরে এক আবাসকি শক্ষর্িাথী অভযিোগ করনে, ছাত্রলীগরে র্কমীরা ভয়ভীতি দখেয়িে সম্প্রতি তাঁর কাছ থকেে মোটা অঙ্করে চাঁদা নয়িছে।

ে বাধ্য হয়ে তনিি সটি বাতলি করছেনে। আরও অনকে শক্ষর্িাথী প্রথম আলোর কাছে এ ধরনরে অভযিোগ করছেনে। তাঁদরে নরিাপত্তার কথা ভবেে নাম প্রকাশ করা হলো না। অনকে সাধারণ শক্ষর্িাথী জানান, শবিরি ‘ইয়ানত’-এর নামে চাঁদা আদায় করত। আর ছাত্রলীগ বভিন্নি অজুহাতে চাঁদা আদায় করছ।

ে ছাত্রলীগরে চাঁদাবাজি থকেে সাংবাদকি কংিবা সাংস্কৃতকি র্কমীরাও রহোই পাচ্ছনে না। জয়িাউর রহমান হলরে আবাসকি ছাত্র ও একটি জাতীয় দনৈকিরে বশ্বিবদ্যিালয় প্রতনিধিি অভযিোগ করনে, ছাত্রলীগরে বশে কয়কেজন র্কমী সম্প্রতি তাঁর কাছ থকেে ২০০ টাকা চাঁদা ননে। বষিয়টি হল প্রশাসন ও ছাত্রলীগরে নতোদরে জানালওে এর সঙ্গে জড়তি ব্যক্তদিরে বরিুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নওেয়া হয়ন। ি পরে সাংবাদকিদরে জানালে শষে র্পযন্ত ওই টাকা ফরেত দওেয়া হয়। শামসুজ্জোহা হলরে আবাসকি ছাত্র ও বশ্বিবদ্যিালয়রে সাংস্কৃতকি জোটরে সভাপতি ইব্রাহমি হোসনেরে অভযিোগ, ছাত্রলীগরে কছিু র্কমীর চাঁদা দাবতিে তনিি অতষ্ঠি।

পাশাপাশি বভিন্নি সময়ে ছাত্রলীগরে মছিলি-সমাবশেওে অংশ নওেয়ার জন্য তাঁকে চাপ দওেয়া হয়। এদকিে গত ৮ ফব্রেুয়ারি ছাত্রলীগ ও শবিরিরে সংর্ঘষরে পর বভিন্নি হলরে অনকেরে কক্ষ তালাবদ্ধ ছলি। কছিু কক্ষ শবিরিরে নতো-র্কমীর হলওে অধকিাংশই ছলি সাধারণ শক্ষর্িাথীদরে। এসব কক্ষরে তালা ভঙেে কম্পউিটার, কাপড়চোপড় ও বইখাতা লুট করা হয়। এসএম হলরে আবাসকি শক্ষর্িাথী সলেমি জানান, ছাত্রলীগ-শবিরিরে সংর্ঘষরে আগে তনিি বাড়ি চলে যান।

সংর্ঘষরে কয়কে দনি পরে হলে ফরিে দখেনে তাঁর কম্পউিটারসহ অনকে কছিু খোয়া গছে। ে পরে জানতে পারনে, একটি ছাত্র সংগঠনরে র্কমীরা তালা ভঙেে এসব নয়িে গছেনে। বষিয়টি হলরে প্রাধ্যক্ষকে জানালে তনিি কোনো ব্যবস্থা নতিে অসহায়তা প্রকাশ করনে। বভিন্নি হল সূত্র জানায়, শক্ষর্িাথীরা সটি বাতলি করে চলে যাওয়ায় শূন্য সটিগুলো নতুনভাবে বরাদ্দরে উদ্যোগ নওেয়া হয়। কন্তিু এতে শক্ষর্িাথীদরে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।

শামসুজ্জোহা হলে দুই মাস আগে ১২০টি শূন্য সটিরে বপিরীতে দরখাস্ত আহ্বান করা হয়। এতে আবদেনপত্র জমা পড়ে মাত্র ৬০ট। ি সবাইকে সটি দওেয়া হলওে হলে উঠছেনে ৫৪ জন। অন্য হলগুলোতে একই অবস্থা বলে জানা গছে। ে শরে-ই-বাংলা হলরে প্রাধ্যক্ষ সুভাষ চন্দ্র শীলরে সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তনিি সাধারণ শক্ষর্িাথীদরে হল ছড়েে যাওয়ার বষিয়টি স্বীকার করনে।

তনিি জানান, কয়কেজন শক্ষর্িাথী সটি বাতলি করে চলে গছেনে। ছাত্রলীগরে নতো-র্কমীদরে চাঁদাবাজরি কারণে শক্ষর্িাথীরা চলে গছেনে কি না, জানতে চাইলে তনিি বলনে, ‘শক্ষর্িাথীরা ব্যক্তগিত কারণ দখেয়িে হল ছড়েছেনে। ’ শামসুজ্জোহা হলরে প্রাধ্যক্ষ র্মত্তুজা খালদে সাধারণ শক্ষর্িাথীদরে হল ছড়েে যাওয়ার বষিয়টি নশ্চিতি করনে। তনিি বলনে, ‘ব্যক্তগিত নাকি অন্য কোনো কারণে হল ছড়েছেনে তা ওই শক্ষর্িাথীরাই ভালো বলতে পারবনে। ’ বশ্বিবদ্যিালয়রে সাধারণ শক্ষর্িাথীরা জানান, শবিরিরে সশস্ত্র হামলায় ছাত্রলীগরে র্কমী ফারুক নহিত হওয়ার পর ছাত্রলীগ সাধারণ শক্ষর্িাথীদরে ব্যাপক সর্মথন পয়েছেলি।

কন্তিু চাঁদাবাজসিহ বভিন্নি অপতৎপরতার কারণে তা এরই মধ্যে ম্লান হয়ে গছে। ে র্বতমান পরস্থিতিরি জন্য শক্ষর্িাথীরা লজেুড়বৃত্তকি ছাত্ররাজনীতসিহ বশ্বিবদ্যিালয় ও হল প্রশাসনরে র্ব্যথতাকে দায়ী করনে। এ অবস্থা থকেে মুক্তি পতেে শক্ষর্িাথীরা ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগরে র্শীষ নতো, বশ্বিবদ্যিালয় ও হল প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহনিীর হস্তক্ষপে কামনা করনে। বশ্বিবদ্যিালয়রে নাট্যকলা ও সংগীত বভিাগরে সভাপতি মলয় ভৌমকি বলনে, ছাত্রলীগরে চাঁদাবাজি ও সাধারণ শক্ষর্িাথীদরে ওপর অত্যাচাররে ঘটনা দুঃখজনক। এটা চলতে থাকলে সাধারণ শক্ষর্িাথীদরে সর্মথন পয়েে মৌলবাদী সংগঠন ছাত্রশবিরি লাভবান হব।

ে বশ্বিবদ্যিালয়রে প্রক্টর চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারয়িা বলনে, চাঁদাবাজি কংিবা ভয়ভীতি দখোনো বা লুটপাটরে ঘটনার সঙ্গে কারও জড়তি থাকার প্রমাণ পাওয়া গলেে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নওেয়া হব। ে

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।