আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গদ্য+কবিতা



তখন কলেজে ফার্স্ট ইয়ারে পড়ি। একদিন ক্লাসে একটা ব্যাপারে ম্যাডাম খুব বকা দিল। আমার মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। কারণ ব্যাপারটার জন্য আমি দোষী ছিলাম না। খুব কষ্ট পেলাম।

কিছুক্ষনের জন্য প্রচন্ড হতাশাগ্রস্ত হয়েছিলাম। আমার তখন ডায়েরী লেখার অভ্যাস ছিল। কিছু হলেই ধুম করে একটা জ্বালাময়ী কবিতা লিখে ফেলতাম। আর মনে হত বাংলা সাহিত্যের একটা উঁচুমানের কাব্য রচনা হল। বলা বাহুল্য, আজ সেসব লেখা পড়লে খুবই হাসি পায় - যে চিন্তা চেতনা কতটা সিলি ছিল।

তো সেদিন ডায়েরীতে একখানা কাব্য (!) নামিয়েছিলাম যার নাম দেয়া হয়েছিল শূন্য। কারন তখন জীবনে এক ধরনের শূন্যতা নেমে এসেছিল কিছুক্ষনের জন্য। আমার কবিতার আগে আমি আবার দিন তারিখ আর সময় লিখতাম যত্ন করে। বাংলা সনে লিখা হত। আমার ডায়েরী থেকে ওই হাস্যকর এবং ফালতু লেখাটা হুবহু তুলে দিচ্ছি।

অনেক কবি ব্লগারের কাছে ব্যাপারটা বিরক্তির কারন হতে পারে ভেবেও দিচ্ছি। কারন মাঝে মাঝে নিজের শান্তির জন্য অন্যের বিরক্তি খারাপ কিছু না শূন্য(০) 04 : 57 PM ২০ ভাদ্র ১৪১৩ শূন্য, এক বৃত্তাকার অংক উপবৃত্তাকারও কখনো কখনো এক অবাক আবিষ্কার তবুও সে শূন্য তারপরেও এক ধরনের পূর্নতায় ভরা সে শূন্যতা আর পূর্নতা- কল্পনা নয় তো? বিভিন্ন সম্পর্ক তাকে ঘিরে আবর্তিত যেন তার অনেক উপগ্রহ শূন্য এসবের ধার ধারেনা জানি- কারন সে কেবলি শূন্য।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।