আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মোট ১০০ কোটি ঋণের অর্ধেক অর্থ ব্যয় হবে ১৪ প্রকল্পে বাকি অর্থ কোন্ খাতে ব্যয় হবে?

সকালের মিষ্টি রোদ পেরিয়ে আমি এখন মধ্যগগনে,

ভারতের সাথে চুক্তি করা ১০০ কোটি ডলার ঋণের টাকা ব্যবহারের চিত্র পূর্ণাঙ্গ নয় এবং স্বচ্ছতার ব্যাপারে সমস্যা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ঋণ চুক্তি হয়েছে ১০০ কোটি ডলারের, এর মধ্যে ১৪টি প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫৭৫.৩৭ মিলিয়ন ডলার। বাকি ৪২৪.৬৩ মিলিয়ন ডলার কিভাবে কোন খাতে ব্যয় হবে, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ১০০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তির প্রথম শর্ত হচ্ছে ২৫ বছরে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। বার্ষিক সুদের হার হবে ১.৭৫ শতাংশ, সেই সাথে ০.২৫ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট চার্জ ধরা হয়েছে।

২৫ বছরে সুদ পরিশোধ করতে না পারলে জরিমানা সুদ দিতে হবে। আবার নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে না পারলেও সুদাসল পরিশোধ করতে হবে। এই অর্থ বাংলাদেশ সরকার ইচ্ছা করলেই নিজের মত করে ব্যয় করতে পারবে না। প্রকল্প গ্রহণ করা হবে ভারত-বাংলাদেশ যৌথভাবে। আর প্রকল্পের জন্যে যাবতীয় মালামাল ক্রয় করতে হবে ভারত থেকে।

এখানে উল্লেখ্য, ভারতের এক্সিম ব্যাংকের কাজই হচ্ছে- ভারতের রফতানি বাণিজ্য সম্প্রসারণ করা। এই ঋণ দিতে গিয়ে প্রথম শর্তই দিয়ে থাকে যে, ভারত থেকে ঋণের অর্থে মালামাল সংগ্রহ করতে হবে। ১০০ কোটি ডলার ঋণ চুক্তি করা হলেও ইতোপূর্বে মোট ১৪টি প্রকল্প চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ১৪ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৭৫.৩৭ মিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ চুক্তির প্রায় অর্ধেক অর্থ। প্রশ্ন হচ্ছে- বাকি অর্থ কোন্ খাতে কিভাবে খরচ করা হবে? বাকি টাকা কার স্বার্থে কোন্ খাতে ব্যয় করা হবে? এই প্রশ্ন থেকেই যাবে।

এই টাকা সময়মত ব্যয় করতে না পারলেও যথাসময়ে সুদসহ পরিশোধ করতে হবে। এদিকে ইতোমধ্যে যে ১৪টি প্রকল্প নির্ধারণ করা হয়েছে, সেগুলোর ভবিষ্যৎ এবং বাংলাদেশের স্বার্থ কতটুকু এ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলী খান অভিমত প্রকাশ করে বলেন, অনেক কিছুই এখনো অন্ধকারে। যেমন- আশুগঞ্জ বন্দরে প্রায় আড়াই শত কোটি টাকা ব্যয় করে কন্টেইনার টার্মিনাল করা হবে। প্রশ্ন হচ্ছে ২৫/৩০ বছর ধরেই কি ত্রিপুরায় কন্টেইনার যাবে? তিনি বলেন, ভারত থেকে যে পরিমাণ টাকা দিয়ে বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে এই টাকায় দেশেই ১৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কেন্দ্র স্থাপন করা যায়।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ বলেছেন, এই ঋণ চুক্তিতে বাংলাদেশ কতটুকু লাভবান হবে, এ প্রশ্ন থেকেই যায়। ভারতকে ট্রানজিট দেয়ার জন্যেই এই ঋণ চুক্তি। ভারতকে চড়া সুদ দিতে হবে। সময়মত প্রকল্প শেষ করতে না পারলেও সুদ এবং আসল পরিশোধ করতে হবে। প্রকল্পের মালামাল ভারত থেকে ক্রয় করতে হবে।

আর এই ঋণ নেয়া হয়েছে চড়া সুদে। চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ পরিশোধ করতে হবে। মূলত লাভবান হবে ভারত, বাংলাদেশ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর হুমকির মুখে পড়বে সার্বভৌমত্ব, যেহেতু বহুমুখী ট্রানজিট পাচ্ছে ভারত। অধ্যাপক ড. আনু মুহাম্মদ বলেন, এটা ভারতের স্বার্থেই চুক্তি হয়েছে।

ভারত বহুমুখী ট্রানজিট সুবিধা পাচ্ছে। যে সুদের হার নির্ধারণ করা হয়েছে বা যেসব শর্তে এই ঋণ গ্রহণ করা হচ্ছে তা বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক নয়। Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।