আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঋণ ঢাকার ব্যবসা দিল্লির : কৈ এর তেলে কৈ ভাজা

সত্য সমাগত, মিথ্যা অপসৃত। মিথ্যার পতন অবশম্ভাবী।

ঋণে জর্জরিত বাংলাদেশের জনগনের উপর নতুন করে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর নীল চাষের আদলে ঋণ চুক্তির মাধ্যমে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে আমাদের বন্ধু (!) ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি উড়ে আসছেন আজ বাংলাদেশে । ৭ হাজার কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সুদ আদায় করবে আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রটি যেখানে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে যেসব ঋণ দেয় তার জন্য শুধু সার্ভিস চার্জ বাবদ দিতে হয় দশমিক ৭৫ শতাংশ। বন্ধু (!) এ রাষ্ট্রটির ঋণ পরিশোধ করতে হবে ২০ বছরের মধ্যে, পরিশোধে বাংলাদেশ সরকার ব্যর্থ হলে সুদের দ্বিগুণ জরিমানা গুনতে হবে।

আর কমিটমেন্ট ফি নামে অতিরিক্ত সুদ এবং খেলাপি হলে আরও ২ শতাংশ হারে জরিমানা দিতে হবে। অপরদিকে বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে হয় ৩৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে । উপরন্তু রেয়াতি সময় পাওয়া যায় আরও অন্তত ১০ বছর। আর এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) সুদে ঋণ দিচ্ছে ১ শতাংশ হারে। শুধু বর্ধিত এ সুদ নিয়ে সন্তুষ্ট নন আমাদের ভ্রাতৃপ্রতীম (!) রাষ্ট্রটি ।

তাদের শর্ত অনুযায়ী আবার এ ঋণ ব্যবহৃত হবে ভারতকে ট্রানজিট দেয়ার সুবিধার্থে বাংলাদেশের সড়ক ও রেলপথ উন্নয়নের জন্য। এছাড়া ঋণের টাকায় প্রকল্পে ব্যবহৃত মেশিনারিজ ও উপকরণ ভারতের কাছ থেকেই কিনতে হবে। অর্থাৎ এ চুক্তির আওতায় সব পার্চেজ, কন্ট্রাক্ট ভারতীয়রাই করবে। ৮৫ শতাংশ পণ্য কেনাকাটা পরামর্শক ও সেবা নেয়া হবে ভারত থেকে। আর ১৫ শতাংশ নেয়া হবে বাংলাদেশ থেকে।

তাছাড়া শর্ত অনুযায়ী ১৪ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে বাস্তবায়নকারী সংস্থাকে বার্ষিক ফির অতিরিক্ত দশমিক ৫০ শতাংশ জরিমানাও গুনতে হবে। কৈ এর তেলে কৈ ভাজার এর চেয়ে বড় উদাহরণ আর কি হতে পারে? জানা গেছে ভারতের চুক্তিপত্রটির নানা অসঙ্গতি ও একপেশে শর্তগুলোর তীব্র বিরোধিতা করেন বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ, পরিকল্পনা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতীতে বাংলাদেশ কখনও এ ধরনের কঠিন শর্তে কোনো ঋণ নেয়নি। এ ধরনের একতরফা ভারতের অনুকূলে সব সুবিধা রেখে চুক্তি চূড়ান্ত করা হচ্ছে। এটাকি দেশ এবং দেশের মানুষকে বন্ধক রেখে দাদা বাবুদের প্রতি কোন উপকারের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।