আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অনলাইন চালান এবং সচিবালয়ের প্রবেশ পাস চালুর লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত

ডিজিটাল বাংলাদেশ (www.digitalbangladesh.gov.bd) ব্লগ এডিটর

জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং বিভাগ সহজে বাস্তবায়নযোগ্য কতগুলো উদ্যোগ চিহ্নিত করে যা ‘‘সহজসাধ্যউদ্যোগ” বা "কুইক উইন ইনিশিয়েটিভ" নামে পরিচিত। এই সহজসাধ্য উদ্যোগ কার্যক্রমের আওতায় অনলাইন চালান ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি এবং বাংলাদেশ সচিবালয়েঅনলাইনে দর্শনার্থী প্রবেশ পাস পদ্ধতি চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গত বুধবার (৪ঠা আগস্ট, ২০১০) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সভাকক্ষে একসেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রাম এর সাথে স্বরাষ্ট্র এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের পৃথক দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের প্রথমেই এটুআই এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সচিবালয়ে দর্শনার্থীদের অনলাইনে প্রবেশ পাশ বিষয়ক সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয়। এটুআই প্রকল্পের পক্ষে জাতীয় প্রকল্প পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম খান এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের পক্ষে মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (নিরাপত্তাও অভিবাসন) মো. শফিকুল ইসলাম সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

বর্তমানে সচিবালয়ে দর্শনার্থীপাস প্রদানের সময় দর্শনার্থীকে তার নাম,পদবী/ঠিকানাসম্বলিত একটি হাতে লেখা স্লিপ দেয়া হয়। এ পদ্ধতিতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয় এবং নিরাপত্তার বিষয়টিও পুরোপুরি নিশ্চিত হয়না। তাছাড়া স্লিপটি হারিয়ে গেলে দর্শনার্থীকে অনেক ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী আগামী ছয়মাসের মধ্যে অনলাইন প্রবেশ পাস চালু হলে দর্শনার্থীদের ভোগান্তি কমার পাশাপাশি সচিবালয়ের নিরাপত্তা ঝুঁকিও অনেক কমে যাবে। এ ব্যবস্থা চালুহলে দিনেপ্রায় ৩ হাজার দর্শনার্থীসচিবালয়ে প্রবেশে এই সুবিধাপাবেন।

এটুআই প্রকল্প এ উদ্যোগে কারিগরি এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে। এ উদ্যোগে খরচ হবে প্রায় ৩৪ লক্ষটাকা যার পুরোটাই এটুআই অর্থায়ন করছে। অনলাইনে সচিবালয়ের দর্শনার্থী পাস চালু করার স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার পরপরই এটুআই এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে অনলাইনে পদ্ধতি চালুর সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয়। একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক মো.নজরুল ইসলাম খানও অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষে মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. মুসলিম চৌধুরী সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন। অনলাইন চালান পদ্ধতি চালু করা গেলে সরকার এবং জনগনের মূল্যবান সময় এবং অর্থের অপচয় রোধ করা সম্ভব হবে।

কারণ বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের সরকারি সেবাপ্রাপ্তির বিপরীতে সুবিধাভোগী নাগরিকদের ট্যাক্স/ফি জমা দিতে হলে সরকার কতৃক নির্ধারিত ট্রেজারি চালান ফরম পূরণ করতে হয়। এতে অনেক সময় ও অর্থের অপচ য়হয়। অনেক সময় দেখা যায় টাকা জমা দেয়ারপরেও সরকারি কোষাগারে টাকা জমা হয়না। সরকারও যেমন রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়, তেমনি সাধারণ মানুষও অনেক ভোগান্তির মধ্যে। পড়ে ব্যাংকের অনলাইনে ট্রেজারি পদ্ধতি শুরু হলে মানুষ ঘরে বসে মোবাইল এসএমএস বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা জমা দিতে পারবে।

এবং একই সময়ে রাজস্ব হিসেবে জমাকৃত অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকে সরকারের হিসাবে জমা হয়ে যাবে। অনলাইন চালান পদ্ধতির মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় ১৫ হাজার নাগরিককে সরাসরি সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে। এটুআই এর কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় এ প্রকল্পের কাজ শেষহতে প্রায় ছয় মাস সময় লাগবে। এ উদ্যোগে খরচ হবে ২১লক্ষ টাকা এবং এর পুরোটাই এটুআই অর্থায়ন করছে। সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানের ছবিগুলি স্লাইডশো আকারে দেখতে চাইলে: Click This Link


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।