আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সবজান্তা অক্টোপাস পল

যখন দেখি চাওয়া-পাওয়া শূন্যতে মিলায়... তখন আমি এই শহরে কষ্ট বেচে খাই :-(
অক্টোপাসের গল্প মোটামুটি সবারি জানা এ বারের ফুটবল বিশ্বকাপের মাধ্যমে। অনেকেই মনে করে সাগরের বুকে জাহাজ ধরে ধরে ডুবিয়ে দেয়। ভীষণ হীংস্র আর মানুষ পেলেই আট পা দিয়ে পেঁচিয়ে ধরে তারা। সাগরতীরে যে মানুষগুলো থাকে তাদের জন্য তো অক্টোপাস মানে রীতিমতো এক মূর্তিমান দুঃস্বপ্ন। আসলে কিন্তু এরা ওরকম ভয়ংকর কিছু নয়, উল্টো এরা ভীষণ ভীতু এক প্রাণী।

ওরা আবার ভয় পেলে কালি ছুঁড়ে পানি ঘোলা করে পালিয়ে যায়। এবারের বিশ্বকাপ ফুটবলের পরে এই অক্টোপাসের ভক্ত হয়ে পড়েছেন বিশ্বের অসংখ্য মানুষ। । ।  অক্টোপাস পল একটি সাধারণ জাতের পুরুষ অক্টোপাস।

২০০৮ সালে ইংল্যান্ডের ওয়েইমাউথের সি লাইফ পার্কে ডিম ফুটে এর জন্ম। পরবর্তীকালে এটিকে জার্মানির সি লাইফ সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়।  কারও কারও মতে, পলকে ধরা হয়েছে ইতালির এলবা দ্বীপের সমুদ্র সৈকত থেকে। আমেরিকার স্পোর্টস চ্যানেল ইএসপিএন এ ব্যাপারে জার্মানির বিলড ম্যাগাজিনের একটি রিপোর্টকে প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করেছে।  অক্টোপাসটির নাম পল রাখা হয় জার্মান শিশুসাহিত্যিক বয় লার্নসেনের একটি কবিতার শিরোনাম অবলম্বনে।

 সাম্প্রতিক সময়ে ২০১০ ফুটবল বিশ্বকাপে সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করে (বিশেষ করে জার্মানির ম্যাচে) পল বিখ্যাত হয়ে ওঠে।  ২০১০ বিশ্বকাপে পলের আটটি ভবিষ্যদ্বাণী পুরোপুরি মিলে গেছে। এর মধ্যে ফাইনালের হলান্ড-স্পেন ম্যাচটিও ছিল। ভবিষ্যদ্বাণীর ক্ষেত্রে এবারের বিশ্বকাপে তার সাফল্য শতভাগ (৮/৮)। আর সামগ্রিক সাফল্য ৮৬ শতাংশ (১২/১৪)।

 ২০০৮ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নস লীগের জার্মানির ৬টি খেলার ৪টিরই সঠিক ভবিষ্যতবাণী করেছিলো পল।  স্পেনের শহর ওকারাবালিনোর নাগরিকেরা পলকে ‘সম্মানিত বন্ধু’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।  সাধারণ একটি অক্টোপাসের আয়ু দুই বছরের বেশি নয়। তাই ধারণা করা হচ্ছে, ইউরো ২০১২-তে পল আর ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারবে না। অবশ্য জার্মান সি লাইফ সেন্টার কর্তৃপক্ষের পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, ১২ জুলাই পল অবসরে গেছে।

 ২০১০ বিশ্বকাপে সঠিক ভবিষ্যদ্বাণীর পুরস্কার হিসেবে ইতিমধ্যেই সি লাইফের কর্মীরা পলকে বিশ্বকাপ ট্রফির একটি রেপ্লিকা উপহার দিয়েছেন।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।