আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হায় বাংলাদেশী!



আজ সকালে মিডওয়ে পরিবহনে খিলগাঁও থেকে মতিঝিল আসছি। অন্য একজনের হাতে দৈনিক আমাদের সময়ের হেডিং 'শত ভাগ পণ্য ও সেবা কিনতে হবে ভারত থেকে' দেখে আমার কলিগ আমাকে ডেকে বললেন, এই দেখেন ইন্ডিয়ার শর্ত . . . .। তার কথা শেষ হতে না হতেই প্রায় স্বমস্বরে দু'জন ভদ্রলোক চেচিয়ে উঠে বললেন, ইন্ডিয়া থেকে ঋণ নিবেন তো শর্ত মানবেন না? রীতিমত দু'জনই যুদ্ধংদেহী। হঠাৎ দু'ই ক্ষেপাটের পাল্লায় পড়ে আমার কলিগ কিছুটা খেই হারিয়ে ফেলেন। তিনি আশা করছিলেন আমি কিছু বলবো।

আর আমি ভাবলাম দেখি অন্যরা কী বলে! কিন্তু কেউ কিছু বললো না। মনে মনে ভাবলাম ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে কিছু বলে রাজাকার হয়ে যাবো নাকি? এখন চলছে খাটি মুক্তিযুদ্ধের যুগ! এই যুগে বোকামি করা ঠিক হবে না ভেবে চুপ থাকলাম। কিন্তু আমার কলিগ চুপ থাকতে পারলেন না, তিনি বললেন, আসলে ইন্ডিয়া এদেশে লোক তৈরী করেই মাঠে নেমেছে। ক্ষেপাটে দু'জন এবার একটু নরম হয়ে বললো, আপনার না পোষালে নিবেন না? আমি মনে মনে ভাবলাম, হায় খোদা এই দু'জন কি বাংলাদেশী না ইন্ডিয়ান? খোদ ইন্ডিয়ানরা হয়তো এভাবে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠতেন কি না যথেষ্ট সন্দেহ আছে। শর্ত দিয়েছে ইন্ডিয়া একজন বাংলাদেশী হিসেবে আমার কলিগ বলতেই পারে শর্তটি কঠিন।

কিন্তু তাদের আচরণে মনে হলো তাদের কলিজায় শাবল দিয়ে কেউ খুঁচা মেরেছে! তাহলে তারা কাগজে কলমে বাংলাদেশী আর মনে মনে পুরোদস্তর ইন্ডিয়ান? ক্ষেপাটে দু'জন তাচ্ছিল্যের সাথে বলতে লাগলেন, আমরা ইন্ডিয়া ছাড়া একদিনও চলতে পারি না। আমার গলিগ বললেন, তাহলে আমাদের স্বাধীন থেকে লাভ কী? ইন্ডিয়ার সাথে মিশে গেলেই পারি যেমন সিকিম মিশে গেছে! খামাকা একাত্তুরে এতগুলো লোকের জীবন নষ্ট করার কোন মানে ছিল?


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।