আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তসলিমা নাসরিনের ''লজ্জা'' পড়লাম এবং দুটো কথা লিখলাম।

http://www.facebook.com/Kobitar.Khata

প্রথমেই বলে রাখি লজ্জা বইটি যারা পড়েননি তারা প্রথমে বই পড়ুন তারপর মন্তব্য করুন। বই না পড়ে মন্তব্য করলে আমাকে হয়ত ভুল বুঝতে পারেন। আক্রমণাত্মক মন্তব্যও করে বসতে পারেন। লজ্জা বইটির ডাউনলোড লিংক Click This Link হুমায়ুন আজাদের ''পাক সার জমিন সাদ বাদ'' এর লিংক Click This Link তসলিমা নাসরিনের অনেক গুলো বই ইতিমধ্যে আমার পড়া হয়েছে। তাই বলে ভাববেন না আমি তসলিমা নাসরিনের ভক্ত।

ওর বই পড়ি নতুন কি বির্তক সৃষ্টি করল তা জানার জন্য। ওর লেখার বিষয় বস্তু বা লেখার স্টাইল কোনটাই আমার ভাল লাগে না। উস্কানিমূলক ও অশ্লীল লেখা তো আরো একটি কারণ। ব্লগে অনেকেই তসলিমা নাসরিনকে ফিরিয়ে আনার জন্য লিখে থাকে। আমি বলি তসলিমা নাসরিনকে ফিরিয়ে আনা খুব গুরুত্বপূর্ণ কোন কাজ নয়।

তসলিমা দেশের সম্পদ নয়, বোঝা। তসলিমা মানেই অশান্তি। সুতরাং ও দেশের বাইরে থাকলেই দেশের জন্য ভাল। আসল কথায় আশা যাক। তসলিমা নাসরিনের পরিচয়ই লজ্জা বইটি দিয়ে।

লজ্জা নিষিদ্ধ হওয়ার আগে তাকে কজন চিনত তা গবেষণার বিষয়। তবে দুঃখের বিষয় তসলিমা নাসরিনের লজ্জা বইটি নিষিদ্ধ হয়ছে কি কারণে তা আজো আমার অজানা। বইটি পড়ার জন্য অনেক খুঁজেছি কিন্তু কোথাও পাইনি। দিনের পর দিন নেটে সার্চ দিয়েছি তাও পাইনি। ৫/৬ দিন আগে ব্লগে জনৈক ব্লগার লজ্জা বইটির লিংক দিয়েছিল।

সাথে সাথে বইটি ডাউনলোড করলাম এবং আজ শেষ করলাম। মজার ব্যপার হলো তসলিমার যত বই পড়েছি তার মধ্যে লজ্জা বইটিই আমার ভাল লেগেছে। এবং আমি ভেবে পেলাম না বইটি কেন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কোন বই নিষিদ্ধ করার সময় নিশ্চয় কারণটিও জানানো হয়। লজ্জা নিষিদ্ধ করার কারণ কারো জানা থাকলে আমাকে জানাবেন দয়া করে।

তসলিমা নাসরিন সাধারণত সব বইতে যা করে থাকেন তা হলো ইসলামের অবমাননা, হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে অশ্লীল ও অরুচিকর মন্তব্য এবং পর্নোগ্রাফি টাইপের স্থুল রুচির লেখা। কিন্তু বিশ্বাস করুন, এই বইতে ইসলামকে কোথাও কটাক্ষ করেনি, হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর অবমাননা তো দূরের কথা নামও কোথাও লেখেনি, পর্নো টাইপের কোন লেখাও লেখেনি। বইটির মূল বিষয়বস্ত হলো সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিপক্ষে। ভারতে বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার পরে সংগঠিত ঘটনাবলী তার লেখাতে উঠে এসেছে। বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার পর ভারতে যেমন হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা হয়েছিল তেমনি বাংলাদেশেও হয়েছে।

বাংলাদেশের হাজার হাজার হিন্দু তাদের সর্বস্ব হারিয়েছিল, নির্যাতিত হয়েছিল এমনকি হিন্দু মেয়েরা ধর্ষিত হয়েছি। বইটিতে তসলিমা বুঝাতে চেয়েছিল বসনিয়ায় কোন মুসলমান যদি খ্রীষ্টান হত্যা করে তার জন্য যেমন বাংলাদেশের মুসলমান দায়ী নয় তেমনি ভারতে বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার জন্য বাংলাদেশের হিন্দুরা দায়ি নয়। অথচ প্রায় একই বিষয় নিয়ে হুমায়ুন আযাদ ''পাক সার জমিন সাদ বাদ'' লিখেছিলেন। যারা ''পাক সার জমিন সাদ বাদ'' বইটা পড়েছেন তারা যদি সুস্থ রুচির হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই স্বীকার করতে বাধ্য হবেন যে বইটির অন্তত ২০ ভাগ লেখা রগরগে অশ্লীল লেখায় ভরপুর ছিল। তবে বইটিতে হুমায়ুন আজাদ কিছু অপ্রিয় সত্য কথাও বলেছিল যা জামায়াত বা ধর্ম ব্যবসায়ী দল গুলোর পছন্দ হওয়ার কথা না।

আর সেই কারণেই হুমায়ুন আজাদকে তাদের হাতে রক্তাক্ত হতে হয়েছিল। তসলিমার এবং হুমায়ুন আজাদের বই দুটি পড়ে আমার যা মনে হয়েছে তা হলো লজ্জা যদি একবার নিষিদ্ধ হয় ''পাক সার জমিন সাদ বাদ'' একহাজার বার নিষিদ্ধ হওয়া উচিত। লজ্জা বইটির লিংক দিলাম যার কারণে বিস্তারিত রিভিউ দিলাম না। দয়া করে বই দুটি পড়ে মন্তব্য করুন।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২৩৮ বার     বুকমার্ক হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।