আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কয়েকটি চমক মুভির রিভিউ (ডাউনলোড লিঙ্ক সহ) (পর্ব - ২)

রেস্টে আছি আপাতত পোস্টানি বন্ধ :D

( প্রথম পর্বে তিনটি মুভির নাম দিয়েছিলাম , অনেকেই পছন্দ করেছিলেন । আশা করি নিচের মুভিগুলো আপনাদের ভাল লাগবে । ) 1. Fight Club (1999) : তথ্য জানতে ডাউনলোড লিঙ্ক : স্টেজভু লিঙ্ক টরেন্ট লিঙ্ক মিডিয়াফায়ার লিঙ্ক 300 mb movies নেরেটর ( এডওয়ার্ড নর্টন ) একজন সাধারন চাকুরীজীবি । জীবনের উপর হতাশা , আর মনের অস্থিরতার জন্য রাতে ঘুম হয় না তার । এক বিমান ভ্রমনে পরিচয় হয় টেইলর ডুরডেন ( ব্রাড পিট ) এর সাথে ।

বাসায় ফিরার আগে জানতে পারে তার বাসা কেউ বোম দিয়ে ঊড়িয়ে দিয়েছে । থাকার কোন জায়গা না পেয়ে ফোন করে ডুরডেনকে । আর এর পরেই শুরু হয় তার জীবনের অন্যতম সময় । ডুরডেনের দুঃসাহসীক কাজের সঙ্গী হয়ে যায় সে । দুইজন মিলে গড়ে তুলে ফাইট ক্লাব , যেই ক্লাবের সদস্য শুধু তারাই হতে পারবে যাদের জীবন সম্পর্কে হতাশা আর ক্ষোভ রয়েছে ।

কিন্তু কিছু দিন পর লক্ষ্য করে ডুরডেন তাকে না জানিয়ে গড়ে তুলেছে বিশাল এক বাহীনি , যার উদ্দেশ্য নাশকতা সৃস্টি করা । এদিকে তাকে একলা ফেলে একদিন ডুরডেন হটাৎ হওয়া হয়ে যায় , কিন্তু বাহীনি তার নির্দেশ পালনে প্রস্তুত । নেরেটরের কথায় থামবে না তারা । তাদের থামাতে পারে শুধু মাত্র একজন , টেইলর ডুরডেন । ব্যাস শুরু হয়ে গেল ডুরডেনকে খোঁজা ।

ছবিটি যেমন অনাগ্রহ নিয়ে দেখা শুরু করেছিলাম তার চেয়ে হাজার গুন আগ্রহ নিয়ে শেষ করেছিলাম । সন্দেহ নেই ব্রাড পিটের অন্যতম সেরা মুভি । প্রথম দিকে কাহীনি তেমন পরিস্কার নয় বলে হয়তো দেখতে আগ্রহ লাগবে না , কিন্তু শেষে সম্পুর্ন কাহীনি যখন বুঝতে পারবেন তখন চমক লাগবে অবশ্যই । 2. Dead silence (2007) : তথ্য জানতে ডাউনলোড লিঙ্ক : স্টেজভু লিঙ্ক মিডিয়াফায়ার লিঙ্ক ( 300mb united ) টরেন্ট লিঙ্ক জিমি আসেন ( রিয়ান কেনটেন ) এর কাছে হঠাৎ এক পুতুল উপহার আসে অজ্ঞাত পরিচয় থেকে । এরপরই বিভৎস ভাবে মারা যায় তার স্ত্রী ।

স্ত্রীর মৃত্যুর পর বাবার সঙ্গে দেখা করতে গেলে জানতে পারে তার বাবা ২য় বিয়ে করেছেন । এদিকে পুতুলটিকে মাঝে মাঝে তার কাছে জীবিত মনে হয় । খোঁজ করা শুরু করলেন পুতুল সম্পর্কে । এক আত্মীয়ের কাছ থেকে জানতে পারলেন , তাদের বংশের অভিশাপের কথা । সেই অভিশাপের নাম মেরি'শ ( জুডিথ রবার্টস ) যে পুতুলের খেলা দেখাত আর তার পুতুল গুলো কথা বলতে পারতো ।

তার কাছে পুতুলই ছিল ছেলে মেয়ের মত । কিন্তু তাদের বংশেরই লোকজন তাকে হত্যা করে । মৃত্যুর পর এই বংশের উপর নেমে আসে আভিসাপ । জিমির এখন একটাই কাজ এই অভিশাপ থেকে নিজেকে বাঁচানো । ছবিটির ট্যাগ হওয়া উচিৎ হরর মুভি , কিন্তু শেষের চমক দেয়ার মত দৃশ্য রয়েছে বলেই এই পোস্টে লিখলাম ।

ছবিটি দেখে সবাই খুব মজা পাবেন । 3. Insomnia (2002) : তথ্য জানতে ডাউনলোড লিঙ্ক : টরেন্ট লিঙ্ক স্টেজভু লিঙ্ক মিডিয়া ফায়ার লিঙ্ক ( 300mb movies ) গডফাদার যারা দেখেছেন তারা অবশ্যই আল পাচিনোর সাথে পরিচিত আছেন । আর রবিন উইলিয়ামসকে কে না চিনেন । ইনসমনিয়া ছবিটিতে এই দুই বসের সাথে আছেন পরিচালক হিসাবে ক্রিস্টফার নোলান যার দ্যা প্রেস্টিজ ,দ্যা ডার্ক নাইট এই ছবিগুলো প্রায় সবার দেখা । সুতরাং বলে দিতে হবে না ছবিটা আসাধারন ।

কিন্তু আমি ছবিটা দেখেছিলাম আরো আমার আরো একজন প্রিয় অভিনেত্রী আছেন বলে , আর তিনি হলেন Million Dollar Baby ছবির হিলারি সাঙ্ক । এই ছবিটি সম্পর্কে পরবর্তী পোস্টে লিখব । এক তরুণীর মৃত্যু রহস্য উদ্ঘাটন করতে আলাস্কাতে ডাক পড়ে গোয়েন্দা উইল ডরমারের (আল পাচিনো ) । কুয়াশার মধ্যে খুনি ভেবে নিজের সহকর্মীকে গুলি করে ফেলেন ডরমার । আর কেউ দেখেনি বিধায় সেই হত্যার দায় খুনির উপর চাপিয়ে দেন ।

কিন্তু খুনি ওয়ালথার ফিঞ্চ ( রবিন ঊইলিয়াম ) সব দেখে ফেলেন আর তা শুরু করেন ব্ল্যাক মেইল । ডরমার যদি তাঁকে ধরতে সাহায্য করে তবে তিনি সব ফাঁস করে দেবেন । ডরমার পড়লেন বিপদে একদিকে সহকর্মীকে খুন করে আত্মপীড়নে আছেন । অন্যদিকে খুনি ছেড়ে দিয়ে করতে হবে আরেক অপরাধ । কিন্তু করতেই হবে , নিজেকে বাঁচানোর আর কোন উপায় তো নেই ।

আমার যত মুভির রিভিউ পোস্ট ( ডাউনলোড লিঙ্ক সহ )


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।