আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার লেখালেখি

আমি কাজ খুব ভালোবাসি। কাজ আমাকে আকৃষ্ট করে। আর তাইতো আমি ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকে কাজের দিকে শুধু তাকিয়েই থাকি।

ইদানীং লেখালেখি নিয়া খুব সমস্যায় আছি। যা ই লিখি, দেখি আমার আগেই রবীন্দ্রনাথ, নজরুল অথবা জীবনান্দ দাস তা লেইখা গেছে।

কেউ যদি আমি লেখার আগেই আমার অলিখিত লেখা লেইখা ফেলে তাহলে আমার কি করার আছে ? যেমন সেদিন অসাধারন একখানা প্রেমের উপন্যাস লেইখা ফেলাইলাম। উপন্যাসটা হাতে নিয়ে আমি নিজেই অবাক ! ইহা আমি কি লেখিলাম, এমন একটা ফাটাফাটি উপন্যাস আমি কিভাবে লেখিলাম। উপন্যাস এর সারমর্ম ছিল এই রকম যে, নায়ক অমিতাভ আর নায়িকা লাবণী, কোন এক বনভোজন এ তাদের দেখা, অতপর প্রেম এবং অবশেষে সামাজিক প্রতিবন্ধকতার মুখে অমর প্রেমের বিচ্ছেদ। উপন্যাস এর শেষে লাবণীর এক দীর্ঘ বিচ্ছেদী চিঠি, তাই উপন্যাসের নাম দিলাম 'শেষের চিঠি'। কিন্তু হায় ! উপন্যাসটা যাহাকেই পড়িতে দেই সে ই হাসিতে হাসিতে লুটাইয়া পরে, বলে নকলবাজী টা আর ছাড়তে পারলি না।

আমি হতবাক, নিজের মাথা থেইকা বের হওয়া এমন একটা অসাধারন উপন্যাসকে সবাই নকল বলে কেন ? আমি মর্মাহত। কারন খুজতে গিয়া জানতে পারলাম রবীন্দ্রনাথ সাহেব আমি লেখার ১০০ বছর আগেই এই রকম একটি উপন্যাস লেইখা গেছে। আরও কষ্টের ব্যাপার হইল তিনি তাঁর উপন্যাসের নাম দিছিলেন 'শেষের কবিতা'। রবীন্দ্রনাথের 'শেষের কবিতা' এর সামনে আমার 'শেষের চিঠি' ধোপে টিকল না। অগ্যাত কি আর করা, আমার 'শেষের চিঠি'কে জলাঞ্জলি দিতে হইল ময়লার ঝুড়িতে।

যেই অমর উপন্যাসের জায়গা হওয়ার কথা ছিল পাঠক এর মনে, তার জায়গা হল ময়লার ভাগারে। বড়ই আফসোস এর ব্যাপার !!!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।