আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিজামী-মুজাহিদদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মায়াকান্না............................



১৯৭১ সাল ২৫ শে মার্চ, কালরাত্রি। নিরস্ত্র বাঙ্গালীর উপর অস্ত্র-গোলা-বারুদ নিয়ে ট্যাংকরে মিছিল নিয়ে কাপুরুষের ন্যায় হামলা চালিয়ে লাশ আর লাশ ফেলে যে মৃত্যুর উপত্যকা বানিয়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ফলশ্রুতিতে মুক্তির সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়েছিল বাংলার দামাল ছেলেরা। ত্যাগ-তিতীক্ষা, মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়, রাজাকার-আলবদর-আলশামস্ বাহিনীর পৈচাশিক নিষ্ঠুর-নির্যাতন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনে রেখাপাত করতে পারেনি। বাংলা অসহায় মানুষের আহাজারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিগোচর যেমন হয়নি তেমনি দৃষ্টির অগোচরেই ছিল পাকিস্তানিদের নিধনযজ্ঞ। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে যেই বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করছে করছে সেই সন্ধিক্ষণেও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূর্ঘ উদয়ে প্রতিবন্ধকাতাসূলভ কূটনৈতিক হাতিয়ার নিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিজয় দিবসের ঠিক একদিন পূ্র্বে ১৫ ডিসেম্বর যুদ্ধ বিরতী প্রস্তাব নিয়ে হাজির হয়েছিল পাকিস্তানিদের হত্যাযজ্ঞে সমর্থনপুষ্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

মানবতা বিরোধী এ যুদ্ধে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিহত হলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন ছিল পাকিস্তানিদের প্রতি। মার্কিন-ঈঙ্গ বাহিনীর নব্য সামাজ্র্যবাদের শিকার গোটা পৃথিবী। তারা যাই বলবে তা পালনীয়! মগের মুল্লক না হলেও যেন মার্কিন মুল্লুক। বর্তমান সরকার যখনই রাজাকার-আলবদর-আলশামসদের বিচার প্রক্রিয়া আরম্ভ করল তখনই নিজামী-মুজাহিদদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মায়াকান্না শুরু হয়ে গলে। অথচ নিজামী-মুজাহিদদের বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার কাজে সরকারকে সাহায্য সহযোগিতার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেয়াও হয়েছিল।

দ্বিমুখী সাপের স্বভাব ভয়ংকর...সরকারকে বুঝে নিতে হবে। সোমবার ১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ চার নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে বলেন, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা যাতে ন্যায়বিচার ও আইনি সুরক্ষা পান, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি বিচারপ্রক্রিয়া যাতে আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করে স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও যথাযথ প্রক্রিয়ায় হয়, সেটাও দেখতে হবে। অপরদিকে এ ব্যাপারে যুক্তরাজ্য তাদের প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, যুদ্ধাপরাধের বিচারে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করা হচ্ছে কি না, সেটা খুব জরুরি। ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনের এক মুখপাত্র আরো বলেন, ‘আমরা চাই (যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে) যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে তাদের আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

’ কি তামশা! নিজামী-মুজাহিদদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মায়াকান্নায়................. সত্যিই শংকা জাগায় মনে তাদের স্বার্থে না আবার বিচার প্রক্রিয়া ভেস্তে যায়। ধিক্কার জানাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র নীতিকে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।