আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গত কালের শেয়ার বাজারের পতন ও আমার কিছু কথা।

সকল প্রসংশা আল্লাহর জন্য। আমার চলমান মেইল এড্রেস ঃ shimantodhk2010@gmail.com ,

প্রিয় ব্লগার বন্ধুরা কেমন আছেন আপনারা সবাই?? বেশ কিছু দিন ধরে ব্লগে আসা হয় না। অথবা বলতে পারেন মডারেশন টিম আমাকে আসতে দিতে চায় না। যাই হোক ব্লগে অনেকেই আছেন শেয়ার ব্যাবসার সাথে জড়িত। গতকালের একটা ব্যাপার খেয়াল করেছেন নিশ্চই।

শেয়ার বাজারের পয়েন্ট ২০৫ পয়েন্ট পড়ে গেছে। ২৪০ টি কোম্পানির মধ্যে ১৯১ টি কম্পানির দাম কমেছে। শুধু কমেই নি, শেয়ারের দাম একেবারে তলানীতে চলেগেছে। ৯৬ সালের কেলেঙ্কারীর পরে এটাই বাজারের সর্বোচ্চ দর পতন। বর্তমানের বাজার ৯৬ সালের তুলনায় অনেক বিশাল ও বিস্তৃত ।

তাই ২০৫ পয়েন্ট কমলেও আন্দোলন বা ভাংচুর হয়নি। নাহলে গতকালই সরকারের বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারীরা গন আন্দোলন গড়ে তুলতো। এস ই সি এর নেয়া বিভ্রান্তিকর সিদ্ধান্ত বাজারকে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। আমার মনে হয় কর্পোরেট বিনিয়োগ কারী ও বড় বড় ব্যাবসায়ীদের সুযোগ পাইয়ে দেয়ার জন্য বার বার ফালতু সিধান্ত দিয়ে বাজার কে ক্ষতিগ্রস্থ করা হচ্ছে। এই ফাকে ঠিকই কম দামে রাঘব বোয়াল রা অনেক অনেক শেয়ার কিনে নিয়েছে।

অনেক বিনিয়োগ কারীই লসে শেয়ার বিক্রি করেছেন। কয়েকটা ব্যাপার লক্ষ্য করলে আপনারা অবাক হবেন, বর্তমানে বিভিন্ন ব্যাংক গুলোর সম্পদ অসীম। তাদের আয় অনেক ভালো। তাদের দেয়া লভ্যাংশ অনেক ভালো। অথচ এই শেয়ার গুলোর দাম অনেক কম।

সত্যাই অবাক ব্যাপার। অন্য দিকে ফালতু ক্যাটাগরির কিছু স্পিনিং মিল, কিছু খাবারের কোম্পানি আর জেড ক্যাতাগরির শেয়ারের দাম বেড়েছে। এটা শুধু গত কালের বাজারের চিত্র নয়, গত ২/৩ মাস ধরেই এমনটি হচ্ছে। অনেক ক্ষুদ্র বিনিয়োগ কারিই অল্প সময়ে বেশি লাভের আশায় জুয়া খেলার মতন ফালতু শেয়ারের দিকে ঝুকছে। এটা হয়ত সাময়িক ভাবে তাকে লাভ দিবে কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে তার জন্য এবং অন্য সব বিনিয়োগ কারীর জন্য চরম ক্ষতিকর।

একটা উদাহরন দেইঃ এবি ব্যাঙ্ক এর টার্নওভার ২০৯৬ মিলিয়ন এবং প্রফিট ২২৫৬ মিলিয়ন। তার মানে এই ব্যাঙ্কের শেয়ার থাকলে একজন বিনিয়োক কারী আগামি এজিম এর রেকর্ড ডেট আ ১০০% বা তার চাইতেও বেশি লাভ পাবে। কিন্তু বিনিয়োগ কারিদের এই সব শেয়ারের প্রতি আগ্রহ নাই। উনারা একটা শেয়ার কিনে ৫/৬ দিন পরেই বিক্রি করে লাভ পাইতে চায়। যেমন ঃ হাস্যকর ভাবে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের দাম বেড়েছে, যার টার্নোভার ৭২৬ মিলিয়ন এবং প্রফিট মাত্র ২৮ মিলিয়ন।

এটা এবি ব্যাংকের ধারে কাছেও নাই। তার পরেও এটার প্রতি মানুষের আগ্রহ। হায়রে হুযুগে বাঙ্গালি। একটি শেয়ার যখন সবাই কিনে থাকে তখন ওই শেয়ারের বিক্রেতা বেড়ে যায় ক্রেতা কমে যায়। যার কারনেও শেয়ার মার্কেট ফল করে।

বাজারের দুর্দিনে আমি সবাইকে অনুরোধ করবো একটু ধৈর্য ধরুন। মার্কেট আবার ভালো অবস্থানে ফিরে আসবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।