আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৪০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গৃহকর্মী উধাও

সমাজকে বদলানোর জন্য নিজেকে আগে বদলানো প্রয়োজন। আসুন আমরা সবাই বদলে যাই সত্যের আলোয়।

গৃহকর্তা ও তার স্ত্রীকে অচেতন করে চল্লিশ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, একটি ল্যাপটপ, মোবাইল সেট নিয়ে পালিয়েছে ছদ্মবেশী গৃহকর্মী। গৃহকর্তা দেওয়ান নকিবুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মাহমুদা ইয়াসমিন মিতাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে গুলশান সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সকালের নাস্তার সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে তাদের অচেতন করা হয়।

রাজধানীর গুলশান নিকেতনের একটি ফ্ল্যাট বাড়িতে শনিবার এ ঘটনা ঘটেছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তারা এখন আশঙ্কামুক্ত। গতকাল এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে অপর গৃহকর্মী সবুরা বেগমকে পুলিশ আটক করেছে। ব্যবসায়ী নকিবুলের ভাই নজরুল ইসলাম জানান, নিকেতনের সি ব্লকের, ৮ নম্বর রোডের ৯৩/১ রূপায়ণ হাউজিংয়ের সি-৬ ফ্ল্যাটে থাকেন নকিবুল। সঙ্গে থাকেন স্ত্রী মাহমুদা ইয়াসমিন মিতা, পাঁচ বছরের ছেলে মাহিম ও পাঁচ মাসের প্রাপ্তি।

গৃহকর্মী সবুরা দেড় মাস ধরে কাজ করে। সে সকালে এসে ঘর মুছে ও কাপড় পরিষ্কার করে বেলা ১১টার মধ্যে চলে যায়। রান্নার কাজের জন্য বৃহস্পতিবার হাসি (৩৬) নামের আরও এক গৃহকর্মী রাখা হয়। শনিবার সকাল সাতটার দিকে ওই বাসায় আসে হাসি। এরপর সকালের নাশতার জন্য রুটি বানায় সে।

নকিবুল ও মিতা সকালের নাশতা খেতে বসেন ডাইনিং টেবিলে। ওই রুটি খেয়ে অচেতন হয়ে যান নকিবুল ও মিতা। এই সুযোগে আলমারির মধ্যে রাখা ৪০ ভরি সোনা, একটি ল্যাপটপ ও তিনটি দামি মোবাইল ফোনসেট নিয়ে পালিয়ে যায় হাসি। এ সময় নকিবুলের দুই শিশু সন্তান মাহিন (৬) ও চার মাসের প্রাপ্তি বাসায় ঘুমিয়ে ছিল। গৃহকর্ত্রী মিতা জানান, সকাল সাতটার দিকে হাসি নামের ওই গৃহকর্মী তার বাসায় আসে।

আগের দিন মহাখালী সাততলা বস্তি এলাকার আরেক মহিলার মাধ্যমে তাকে বাসায় কাজের জন্য নেয়া হয়। মিতা বলেন, সকালে নাশতার জন্য ভাজি ও ডিম তিনি নিজ হাতে তৈরি করেন। হাসি শুধু রুটি বানাচ্ছিল। এ সময় রান্নাঘরে গিয়ে আমি দেখি রুটিগুলো একটু লালচে ধরনের। এ ব্যাপারে হাসির কাছে জানতে চাইলে সে জানায়, আটা একটু পুরনো হওয়ায় রুটি এরকম লালচে হচ্ছে।

মিতা বলেন, নতুন গৃহকর্মী হওয়ায় আমিও তেমন কিছু বলিনি। আমার ধারণা ছিল পরের দিন ঠিক হয়ে যাবে। ওই সময় নিজ হাতেই আমি চায়ের জন্য পানি গরম দেই। মিতা জানান, হাসিকে বাসায় নেয়ার সময় তার একটি ছবি ও পরিচিত কারও মোবাইল নম্বর দেয়ার জন্য বলেছিলাম। তখন সে জানায়, কাল-পরশু দেবে।

গুলশান থানার ওসি কামাল উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় বাসার আরেক গৃহকর্মী সবুরা (৪৫)-কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ব্যাপারে নকিবুলের ভাই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এদিকে থানায় আটক গৃহকর্মী সবুরা জানায়, সকাল দশটার দিকে আমি ওই বাসায় যাই। সেখানে হাঁড়ি-পাতিল ধোয়ার পর নতুন কাজের মেয়েটা আমাকে বলে, ‘আপনি চলে যান, আমি ঘর পরিষ্কার করে নিব।

’ এরপর আমি চলে যাই। সুত্র ঃ মানবজমিন,২৬শে জুলাই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।