আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্” ঘোষণার শর্ত -শেষ পর্ব

O Allah! Please lead me from unreal to The Reality!!

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম আস সালামু আলাইকুম! [পূর্বের আলোচনার ধারাবাহিকতায়, যেগুলো এখানে রয়েছে: www.somewhereinblog.net/blog/peace55/29201656 www.somewhereinblog.net/blog/peace55/29202268 www.somewhereinblog.net/blog/peace55/29203093 www.somewhereinblog.net/blog/peace55/29204215 www.somewhereinblog.net/blog/peace55/29206272 ] আমি বার বার মুসলিম ভাই-বোনদের কাছে তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি যে, সাধারণভাবে যে কোন মানুষের, আর বিশেষভাবে ”দ্বীন-ইসলামের” অনুসারীদের, অর্থাৎ আমাদের, মুসলিমদের, জন্য ”বিশ্বাস” একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় – সব কিছুর আগে বিশ্বাসটা ঠিক করতে হবে। বিশ্বাস হতে হবে জ্ঞান-ভিত্তিক – যে জ্ঞানের ভিত্তি হবে ”অহী” তথা text বা ”নস্” – সংস্কার বা উত্তরাধিকার ভিত্তিক নয়। আমি এও বলতে ও বোঝাতে চেষ্টা করেছি যে, বিশ্বাসের ব্যাপার হচ্ছে function-এর মত। আপনার সকল কর্ম-কান্ড হচ্ছে আপনার বিশ্বাসের function বা variable। যে ব্যক্তির সাপ সম্বন্ধে জ্ঞান নেই, যে কখনো সাপ দেখেনি বা আরো সহজ ভাবে বলতে গেলে “যার মনে বিশ্বাস নেই যে, সাপ একটা বিষধর বা বিপজ্জনক প্রাণী” – সে সাপকে ঐ ধরনের গুরুত্ব দেবে না, যে ধরনের গুরুত্ব দেবে এমন মানুষ, যে কি না চোখের সামনে কাউকে সাপে কামড়ে দেবার পর মরতে দেখেছে! মক্কার মসজিদুল হারামে ১ রাকাত সালাতের সওয়াব, অনত্র ১ লক্ষ রাকাত সালাতের সওয়াবের সমান! কিন্তু ধরুন, কেউ যদি সারাজীবনও সেখানে অজু ছাড়া সালাত আদায় করে, তাহলে লাভ আছে? বিশ্বাসে ভুলের ব্যাপারটাও সেরকম – বিশ্বাসে ভুল থাকলে আপনার সারাজীবনের সকল আমল বরবাদ হয়ে যেতে পারে।

এজন্যই সাধারণ পাঠকদের কাছে এসব ”কচকচানি” ভালো নাও লাগতে পারে – এমন ঝুকি থাকা সত্ত্বেও, আমরা বিশ্বাস বা আক্বীদাহর বিষয়গুলো বার বার সামনে নিয়ে এসেছি। তারই একটা প্রয়াস হিসেবে আমরা এপর্যন্ত ”শাহাদা”র প্রথম অংশের, অর্থাৎ ”লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” ঘোষণার আটটি শর্ত/পয়েন্ট আলোচনা করেছি। এই ৮টি শর্তের ব্যাপারে গত শত শত বছরের সব বড় স্কলাররা একমত। যেমন ধরুন মুহাম্মদ বিন সুলায়মান আত্-তামীমীর ”প্রত্যেক মুসলমানের যেসব বিষয় জানা ওয়াজিব” বইয়ে তিনি এই ৮ টি শর্ত আলোচনা করেছেন। কোন কোন স্কলার আরো একটা পয়েন্ট বা শর্ত যোগ করেছেন – যেটা অবশ্য এমনিতেই খুব obvious – যে কাউকে ঈমানের উপর থেকে এবং ঈমান সহকারে মৃত্যুবরণ করতে হবে।

সেজেন্যই দেখবেন সারাজীবন আমল যেমনই থাকুক না কেন – কারো মৃত্যুর সময় তার আত্মীয় স্বজনরা চান, তাকে ”কলেমা” পড়াতে – “তালক্বিন” দিতে। সুতরাং বাড়তি বা obvious মনে হলেও ”লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” ঘোষণার এই নবম শর্তটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ: নবম শর্ত: শাহাদার নবম শর্ত হচ্ছে এই যে, একজন মুসলিম তার মৃত্যু পর্যন্ত শাহাদাকে ধরে রাখবে। আখিরাতে যদি কেউ তার ঘোষিত শাহাদা থেকে কোনরূপ সুফল লাভ করতে চায়, তবে এটা হচ্ছে এক অবশ্য পূরণীয় শর্ত। অর্থাৎ কাউকে ঈমানের উপর থাকা অবস্থায় মুসলিম হিসাবে মৃত্যুবরণ করতে হবে। এখানে সূরা আলে ইমরানের ১০২ আয়াত উল্লেখযোগ্য: يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِ وَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنْتُمْ مُسْلِمُونَ “হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ্কে এমনভাবে ভয় কর যেমন ভয় করা উচিত এবং মুসলিম না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না।

” (সূরা আলে ইমরান, ৩:১০২) আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে ঈমানের সাথে মৃত্যুবরণ করার তৌফিক্ব দান করুন। আমীন!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।