আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দশ নিত্যপণ্যের অগ্নিমূল্য

আমি কিছু জানি না......
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) চাল, ডাল, আলু, আটা, চিনি, ভোজ্যতেল, পিঁয়াজ, রসুন, ছোলা, হলুদ—এ দশটি পণ্যকে অন্যতম নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বলে মনে করে। বাজারে এসব পণ্যের দর এখন লাগামহীন হয়ে পড়েছে। এসব পণ্যের চড়া দামে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। টিসিবি’র বাজার দর অনুসন্ধান ও গবেষণা সেল এবং সরেজমিন রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কয়েক সপ্তাহ ধরেই এসব পণ্যের দাম ঊর্ধমুখী। বিশেষ করে চিনি, ছোলা, আলু, রসুনের মূল্য রোজই বাড়ছে।

রোজার আগে এসব পণ্যের দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে এক মাস ধরেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন ঘোষণা আসছে। বলা হয়েছে মন্ত্রণালয় একাধিক টিম গঠন করে বাজারে নামাবে। তবে এর আগেই এসব পণ্যের দাম হু-হু করে বেড়ে যাচ্ছে। রমজানের শুরুতে এ দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা নিয়ে শঙ্কায় ক্রেতা-ভোক্তারা।

টিসিবি জানিয়েছে, গত এক মাসে চিনির দাম ৬ শতাংশ, হলুদ ৮ শতাংশ, রসুন ৩২ শতাংশ, পিঁয়াজ ২৪ শতাংশ, আলু ৩০ শতাংশ, ছোলা ৩ শতাংশ, পাম অয়েল সাড়ে ৪ শতাংশ এবং চালের দাম ৫ শতাংশ বেড়েছে। তবে সরেজমিন বাজার পরিদর্শনে গিয়ে জানা গেছে, এসব পণ্যের দাম গত এক সপ্তাহেই কেজিপ্রতি ৩ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এ হিসাবে বৃদ্ধির শতকরা হার আরও অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সব ধরনের গরম মসলার দামও। মসলার দাম বাড়া নিয়ে রাজধানীর কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ী মোক্তার হোসেন গতকাল আমার দেশকে জানান, রমজানের আগে এসব পণ্যের দাম আরও বাড়তে পারে।

কারণ, রমজানে মসলার চাহিদা বেড়ে যায়। বাজারে পণ্যের পর্যাপ্ত মজুতের কথা সরকারের পক্ষ থেকে বলা হলেও বাস্তবে এর কোনো প্রভাব নেই বলে জানালেন ক্রেতারা। সব ধরনের পণ্য বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের। এ নিয়ে মাঠপর্যায়ে সরকারের কোনো মনিটরিং নেই। উত্পাদিত চিনি রাখার জায়গা নেই তারপরও বাড়ছে দাম : চিনি রাখার জায়গা নেই বেসরকারি রিফাইনারি মিলগুলোতে।

লাখ লাখ বস্তা চিনির স্তূপ পড়ে আছে। এ মুহূর্তেই চাহিদার চেয়ে প্রায় তিন লাখ টন বেশি চিনি মজুত আছে কলগুলোতে। তারপরও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে চিনির দর। কোনো কোনো মিল রমজান মাসে বেশি মুনাফার আশায় বাজারে তাদের উত্পাদিত চিনির সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে ক্রমেই অস্থির হয়ে উঠছে চিনির বাজার।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের রিফাইনারি মিলগুলোতে এ মুহূর্তে প্রায় ৭ লাখ টন চিনি মজুত আছে, যা চাহিদার তুলনায় প্রায় ৩ লাখ টন বেশি। তদুপরি চালু আছে উত্পাদনও। রিফাইনারি মিলগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ সুগার রিফাইনারস অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে চট্টগ্রামের এস আলম, ঢাকার সিটি সুগার মিল, মেঘনা, আবদুল মোনেম সুগার মিল ও দেশবন্ধু সুগার মিল চিনি উত্পাদন করছে। বেসরকারি মালিকানাধীন এসব মিলে প্রায় ৭ লাখ টন চিনি মজুত আছে। এছাড়া পারটেক্স গ্রুপও তাদের বন্ধ থাকা চিনিকল নতুন করে চালুর উদ্যোগ নিয়েছে।

পারটেক্স গ্রুপের গোডাউনে প্রায় ৪২ হাজার টন ‘র’ সুগার মজুত আছে। সব মিলে এ বছর মোট চাহিদার প্রায় ১০ লাখ টন চিনি উদ্বৃত্ত হতে পারে। তারপরও চিনির বাজার চড়া। টিসিবি জানিয়েছে, এক মাস ধরেই চিনির বাজার ঊর্ধ্বমুখী। এক মাসে চিনির দাম বেড়েছে ৬ শতাংশ।

সর্বশষ গত ২২ জুলাই খুচরা বাজারে এক দফা চিনির দর বেড়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা কেজি। বাজার স্থিতিশীল হলেও চালের দর চড়া : বাজারে সব ধরনের চালের দরই এখন চড়া। টানা প্রায় এক মাস লাগামহীনভাবে বেড়েছে চালের দাম। বাজারে বর্তমানে সবচেয়ে মোটা নিম্নমানের চালই বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৪ টাকা কেজি। সাধারণত গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষ এ মানের চালের প্রধান ক্রেতা।

এছাড়া বর্তমানে প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৪৯ টাকা দরে। লতা বা পাইজম ক্রেতাদের কিনে খেতে হচ্ছে ৩৭ থেকে ৩৯ টাকা কেজি দরে। রাজধানীর পলাশী বাজারের চাল বিক্রেতা আমির হোসেন গতকাল আমার দেশকে জানান, গত এক সপ্তাহে নতুন করে চালের দাম বাড়েনি। তবে আগের এক মাসে প্রতি কেজি চালে অন্তত ৩ থেকে ৪ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ওই বাড়তি দামেই এখন চাল বিক্রি হচ্ছে।

টিসিবি জানায়, ২০০৬ সালে রাজধানীর বাজারে মোটা চালের দাম ছিল ১৭ টাকা কেজি। ওই সময় সরু চাল বিক্রি হয়েছে ২২ টাকা দরে। জরুরি সরকারের দায়িত্ব ছাড়ার শেষের দিকে এক কেজি মোটা চাল বিক্রি হয়েছে ২৮ টাকা দরে। সরু চালের দাম ছিল তখন ৩৫ টাকা। জানা গেছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমল থেকেই চালের বাজার চড়া।

এখনও সেই চড়া দামেই ক্রেতারা চাল কিনে খাচ্ছেন। সাড়ে ৩ বছর ধরে চড়া ডালের বাজার : ২০০৬ সালে বাজারে এক কেজি মসুর ডালের দাম ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি। বর্তমানে মসুর ডালের দাম ১০৫ থেকে ১১০ টাকা। কিছু দিন আগেও ক্রেতারা মসুর ডাল ১৪০ টাকা কেজি কিনে খেয়েছেন। বিগত জরুরি সরকারের আমলে এক লাফে মসুরের দাম দ্বিগুণ হয়ে যায়।

এরপর থেকে দফায় দফায় বাড়ে দাম। রোজার আগেই চড়া মসলা বাজার। মসলার মধ্যে আদার কেজি (দেশি) ১৪০ থেকে ১৫০, চায়না আদা ৯০ থেকে ১০০, রসুন ১৪০ থেকে ১৫০, শুকনা মরিচ ১৩০ থেকে ১৪০, হলুদ ২৮০ থেকে ৩০০, দেশি পিঁয়াজ ২৮ থেকে ৩০ টাকা । এদিকে রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে টিসিবি’র উদ্যোগ তেমন কোন কাজে আসবে না বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা। এ প্রসঙ্গে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সভাপতি কাজী ফারুক বলেন, সরকারের এ উদ্যোগ ব্যর্থ হবে।

সরকারের এ উদ্যোগকে আইওয়াশ হিসেবে মনে করছেন সচেতন মহল। টিসিবি বাজার নিয়ন্ত্রণে যে পণ্য আমদানি ও ক্রয় করছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অতি সামান্য। তাছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করছে না টিসিবি। তেল ও চিনি তারা দেশি কোম্পানির কাছ থেকেই কিনছে। একটি সূত্রে জানা গেছে, টিসিবি টি. কে. গ্রুুপের কাছ থেকে ১৫ হাজার টন ভোজ্যতেল (পুষ্টি) ও সিটি গ্রুপের কাছ থেকে ১০ হাজার টন চিনি (ফ্রেশ) কিনছে।

এর ফলে সাধারণ ক্রেতাদের এসব পণ্য বাজার দরেই টিসিবির কাছ থেকে কিনতে হবে। এছাড়া রমজানের জন্য টিসিবি অস্ট্রেলিয়া থেকে ১ হাজার টন ছোলা আমদানি করেছে। আরও ১ হাজার টন রমজানের আগে আমদানি করবে। নেপাল, কানাডা ও দেশীয় বাজার থেকে ৫ হাজার টন মসুর ডাল সংগ্রহ করেছে টিসিবি। ২০ জুলাইয়ের মধ্যে তুরস্ক থেকে আরও ৪০ হাজার টন মসুর ডাল আসার কথা থাকলেও তা এখনও দেশে এসে পৌঁছেনি।

কাজেই রমজানের বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য টিসিবির কাছে মজুত আছে ২ হাজার টন ছোলা ও ৩ হাজার টন মসুর ডাল। দেশে এখন ভোজ্যতেলের মাসিক চাহিদা প্রায় সোয়া লাখ টন। আর রমজানের সময় তা বেড়ে প্রায় পৌনে ৩ লাখ টন হয়। ছোলার চাহিদা থাকে ৭ হাজার টন। এতে দেখা যায়, টিসিবির সংগ্রহে আছে রমজানের প্রায় ২ দিনের চিনি, ১ দিনের ছোলা ও ৩ দিনের ভোজ্যতেল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টিসিবির এক কর্মকর্তা জানান, সিন্ডিকেট এখনও সক্রিয়। তাদের টিকিয়ে রাখতে আমলারা সচেষ্ট। আর তাই বিপাকে পড়েছে টিসিবি। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) চাল, ডাল, আলু, আটা, চিনি, ভোজ্যতেল, পিঁয়াজ, রসুন, ছোলা, হলুদ—এ দশটি পণ্যকে অন্যতম নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বলে মনে করে। বাজারে এসব পণ্যের দর এখন লাগামহীন হয়ে পড়েছে।

এসব পণ্যের চড়া দামে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। টিসিবি’র বাজার দর অনুসন্ধান ও গবেষণা সেল এবং সরেজমিন রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কয়েক সপ্তাহ ধরেই এসব পণ্যের দাম ঊর্ধমুখী। বিশেষ করে চিনি, ছোলা, আলু, রসুনের মূল্য রোজই বাড়ছে। রোজার আগে এসব পণ্যের দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে এক মাস ধরেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন ঘোষণা আসছে।

বলা হয়েছে মন্ত্রণালয় একাধিক টিম গঠন করে বাজারে নামাবে। তবে এর আগেই এসব পণ্যের দাম হু-হু করে বেড়ে যাচ্ছে। রমজানের শুরুতে এ দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা নিয়ে শঙ্কায় ক্রেতা-ভোক্তারা। টিসিবি জানিয়েছে, গত এক মাসে চিনির দাম ৬ শতাংশ, হলুদ ৮ শতাংশ, রসুন ৩২ শতাংশ, পিঁয়াজ ২৪ শতাংশ, আলু ৩০ শতাংশ, ছোলা ৩ শতাংশ, পাম অয়েল সাড়ে ৪ শতাংশ এবং চালের দাম ৫ শতাংশ বেড়েছে। তবে সরেজমিন বাজার পরিদর্শনে গিয়ে জানা গেছে, এসব পণ্যের দাম গত এক সপ্তাহেই কেজিপ্রতি ৩ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

এ হিসাবে বৃদ্ধির শতকরা হার আরও অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সব ধরনের গরম মসলার দামও। মসলার দাম বাড়া নিয়ে রাজধানীর কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ী মোক্তার হোসেন গতকাল আমার দেশকে জানান, রমজানের আগে এসব পণ্যের দাম আরও বাড়তে পারে। কারণ, রমজানে মসলার চাহিদা বেড়ে যায়। বাজারে পণ্যের পর্যাপ্ত মজুতের কথা সরকারের পক্ষ থেকে বলা হলেও বাস্তবে এর কোনো প্রভাব নেই বলে জানালেন ক্রেতারা।

সব ধরনের পণ্য বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের। এ নিয়ে মাঠপর্যায়ে সরকারের কোনো মনিটরিং নেই। উত্পাদিত চিনি রাখার জায়গা নেই তারপরও বাড়ছে দাম : চিনি রাখার জায়গা নেই বেসরকারি রিফাইনারি মিলগুলোতে। লাখ লাখ বস্তা চিনির স্তূপ পড়ে আছে। এ মুহূর্তেই চাহিদার চেয়ে প্রায় তিন লাখ টন বেশি চিনি মজুত আছে কলগুলোতে।

তারপরও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে চিনির দর। কোনো কোনো মিল রমজান মাসে বেশি মুনাফার আশায় বাজারে তাদের উত্পাদিত চিনির সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে ক্রমেই অস্থির হয়ে উঠছে চিনির বাজার। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের রিফাইনারি মিলগুলোতে এ মুহূর্তে প্রায় ৭ লাখ টন চিনি মজুত আছে, যা চাহিদার তুলনায় প্রায় ৩ লাখ টন বেশি। তদুপরি চালু আছে উত্পাদনও।

রিফাইনারি মিলগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ সুগার রিফাইনারস অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে চট্টগ্রামের এস আলম, ঢাকার সিটি সুগার মিল, মেঘনা, আবদুল মোনেম সুগার মিল ও দেশবন্ধু সুগার মিল চিনি উত্পাদন করছে। বেসরকারি মালিকানাধীন এসব মিলে প্রায় ৭ লাখ টন চিনি মজুত আছে। এছাড়া পারটেক্স গ্রুপও তাদের বন্ধ থাকা চিনিকল নতুন করে চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। পারটেক্স গ্রুপের গোডাউনে প্রায় ৪২ হাজার টন ‘র’ সুগার মজুত আছে। সব মিলে এ বছর মোট চাহিদার প্রায় ১০ লাখ টন চিনি উদ্বৃত্ত হতে পারে।

তারপরও চিনির বাজার চড়া। টিসিবি জানিয়েছে, এক মাস ধরেই চিনির বাজার ঊর্ধ্বমুখী। এক মাসে চিনির দাম বেড়েছে ৬ শতাংশ। সর্বশষ গত ২২ জুলাই খুচরা বাজারে এক দফা চিনির দর বেড়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা কেজি। বাজার স্থিতিশীল হলেও চালের দর চড়া : বাজারে সব ধরনের চালের দরই এখন চড়া।

টানা প্রায় এক মাস লাগামহীনভাবে বেড়েছে চালের দাম। বাজারে বর্তমানে সবচেয়ে মোটা নিম্নমানের চালই বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৪ টাকা কেজি। সাধারণত গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষ এ মানের চালের প্রধান ক্রেতা। এছাড়া বর্তমানে প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৪৯ টাকা দরে। লতা বা পাইজম ক্রেতাদের কিনে খেতে হচ্ছে ৩৭ থেকে ৩৯ টাকা কেজি দরে।

রাজধানীর পলাশী বাজারের চাল বিক্রেতা আমির হোসেন গতকাল আমার দেশকে জানান, গত এক সপ্তাহে নতুন করে চালের দাম বাড়েনি। তবে আগের এক মাসে প্রতি কেজি চালে অন্তত ৩ থেকে ৪ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ওই বাড়তি দামেই এখন চাল বিক্রি হচ্ছে। টিসিবি জানায়, ২০০৬ সালে রাজধানীর বাজারে মোটা চালের দাম ছিল ১৭ টাকা কেজি। ওই সময় সরু চাল বিক্রি হয়েছে ২২ টাকা দরে।

জরুরি সরকারের দায়িত্ব ছাড়ার শেষের দিকে এক কেজি মোটা চাল বিক্রি হয়েছে ২৮ টাকা দরে। সরু চালের দাম ছিল তখন ৩৫ টাকা। জানা গেছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমল থেকেই চালের বাজার চড়া। এখনও সেই চড়া দামেই ক্রেতারা চাল কিনে খাচ্ছেন। সাড়ে ৩ বছর ধরে চড়া ডালের বাজার : ২০০৬ সালে বাজারে এক কেজি মসুর ডালের দাম ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি।

বর্তমানে মসুর ডালের দাম ১০৫ থেকে ১১০ টাকা। কিছু দিন আগেও ক্রেতারা মসুর ডাল ১৪০ টাকা কেজি কিনে খেয়েছেন। বিগত জরুরি সরকারের আমলে এক লাফে মসুরের দাম দ্বিগুণ হয়ে যায়। এরপর থেকে দফায় দফায় বাড়ে দাম। রোজার আগেই চড়া মসলা বাজার।

মসলার মধ্যে আদার কেজি (দেশি) ১৪০ থেকে ১৫০, চায়না আদা ৯০ থেকে ১০০, রসুন ১৪০ থেকে ১৫০, শুকনা মরিচ ১৩০ থেকে ১৪০, হলুদ ২৮০ থেকে ৩০০, দেশি পিঁয়াজ ২৮ থেকে ৩০ টাকা । এদিকে রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে টিসিবি’র উদ্যোগ তেমন কোন কাজে আসবে না বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা। এ প্রসঙ্গে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সভাপতি কাজী ফারুক বলেন, সরকারের এ উদ্যোগ ব্যর্থ হবে। সরকারের এ উদ্যোগকে আইওয়াশ হিসেবে মনে করছেন সচেতন মহল। টিসিবি বাজার নিয়ন্ত্রণে যে পণ্য আমদানি ও ক্রয় করছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অতি সামান্য।

তাছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করছে না টিসিবি। তেল ও চিনি তারা দেশি কোম্পানির কাছ থেকেই কিনছে। একটি সূত্রে জানা গেছে, টিসিবি টি. কে. গ্রুুপের কাছ থেকে ১৫ হাজার টন ভোজ্যতেল (পুষ্টি) ও সিটি গ্রুপের কাছ থেকে ১০ হাজার টন চিনি (ফ্রেশ) কিনছে। এর ফলে সাধারণ ক্রেতাদের এসব পণ্য বাজার দরেই টিসিবির কাছ থেকে কিনতে হবে। এছাড়া রমজানের জন্য টিসিবি অস্ট্রেলিয়া থেকে ১ হাজার টন ছোলা আমদানি করেছে।

আরও ১ হাজার টন রমজানের আগে আমদানি করবে। নেপাল, কানাডা ও দেশীয় বাজার থেকে ৫ হাজার টন মসুর ডাল সংগ্রহ করেছে টিসিবি। ২০ জুলাইয়ের মধ্যে তুরস্ক থেকে আরও ৪০ হাজার টন মসুর ডাল আসার কথা থাকলেও তা এখনও দেশে এসে পৌঁছেনি। কাজেই রমজানের বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য টিসিবির কাছে মজুত আছে ২ হাজার টন ছোলা ও ৩ হাজার টন মসুর ডাল। দেশে এখন ভোজ্যতেলের মাসিক চাহিদা প্রায় সোয়া লাখ টন।

আর রমজানের সময় তা বেড়ে প্রায় পৌনে ৩ লাখ টন হয়। ছোলার চাহিদা থাকে ৭ হাজার টন। এতে দেখা যায়, টিসিবির সংগ্রহে আছে রমজানের প্রায় ২ দিনের চিনি, ১ দিনের ছোলা ও ৩ দিনের ভোজ্যতেল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টিসিবির এক কর্মকর্তা জানান, সিন্ডিকেট এখনও সক্রিয়। তাদের টিকিয়ে রাখতে আমলারা সচেষ্ট।

আর তাই বিপাকে পড়েছে টিসিবি। সোরস:Copy from Newspaper
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।