আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

X Facts : UFO : Spy স্যাট আর জেমস ক্যামেরনের ফিল্মি মসলা

একটা গাড়ী খুজছি , ব্যাক টু দ্য ফিউচারে যাওয়ার গাড়ীটা খুজছি / তথ্যের অংক , যুক্তির জ্যামিতি
UFO : Unidentified Flying Object মাঝেমাঝেই এই বিষয়টা হয়ে যায় বিশ্ব বিখ্যাত মার্কিন চ্যানেল গুলোর এক্সট্রা ফোকাসড হেড লাইন। ফিকশন প্রিয় মানুষের তো অভাব নেই পৃথিবীতে। তারউপর জেমস ক্যামেরন আর স্টিভেন স্পিলবার্গের মত ডাইরেক্টররা যখন অ্যালিয়েনদের কে নিয়ে জম্পেশ মুভি বানিয়ে দুনিয়া জুড়ে থিয়েটারগুলোতে সাড়া ফেলে দেন তখনতো আর কথাই নেই। এদের Physiology কেমন ? এদের টেকনোলজী পৃথিবীর টেকনোলজী থেকে কত বেশী এগিয়ে ? এদের ভাষা কি ? কত প্রশ্ন আর কল্পনা অ্যালিয়েনদের কে নিয়ে সায়েন্স ফিকশন ফ্রীকদের মাঝে ! এতকিছুর ভেতরেও যেটা নিয়ে সবচেয়ে বেশী কিওরিওসিটি আর তোলপাড় : সেটা হলো UFO , অ্যালিয়েনদের স্পেসশিপ! জেনারেল অ্যারোডায়নামিকস হাইপারসনিক বডি গুলোর জন্য যেমন ডিজাইন অপটিমাইজেশন দেয় এদের চেহারা সুরত তার চেয়ে ভিন্ন । দেখতে চাকতীর মত (Disk Shape) হয় অথবা আনুভূমিক ভাবে স্লিম (Horizontally slim)হয়।

ধারনা করা হয় ফ্রিসবির মত সেন্ট্রিফিউগাল মোশনে এরা ঘুরে বেড়ায়। স্পেসশিপ গুলোর এই ডিস্ক চেহারা আমাকে কিছুটা ভাবায়। Hypersonic (শব্দের গতির ৫ গুন) আর Supersonic (শব্দের গতির চেয়ে বেশী , ম্যাক নাম্বার ১) বডিগুলোর একটা কমন ডিজাইন ফিচার থাকে। অনেকেই বোধহয় জানেন : নাকটা ধারালো সুচোলো এবং ফ্রন্ট পোরশনটা কনভার্জিং হবে অবশ্যই। ঠিক নীচের ইমেজটির মিসাইলটির মত: কারন : ইনসাইড অ্যাটমোস্ফিয়ার ফ্লাইট (সুপার সনিক ফাইটারগুলো) এবং আউটসাইড অ্যাটমোস্ফিয়ার ফ্লাইট (রকেট) ২ ক্ষেত্রেই বাতাস এবং স্ফেয়ার লেয়ার গুলোর ড্র্যাগ ।

হাইপারসনিক এবং সুপারসনিক গুলো কেবল মাত্র ডিজাইনেই ভিন্ন হয়না , টেকনোলজীতেও ভিন্ন হয়। সাবসনিক বডি গুলো (জাম্বো লাইনার , কপ্টার এবং আরো যা আছে ) এরা সবাই অত্যন্ত হাই পাওয়ার গ্যাস টারবাইনে বাতাস সাক করে ভ্যাকুয়াম তৈরী করে ফ্লাইট ইনিশিয়েট করে। অন্যদিকে সুপারসনিক এবং হাইপারসনিক গুলোর ফ্লাইট টেকনোলজী থ্রাস্ট বেসড। সিম্পলী ভরবেগের সংরক্ষন ফরমুলা (Conservation of Momentum). এই নিয়ে অংকও আছে ম্যাট্রিকের ফিজিক্স বইয়ে। সরু নোজলের কারনে হাইলী হিটেড গ্যাসের এমিশন ভেলোসিটি হয় প্রচন্ড।

গ্যাসের ( ম্যাস. ভেলোসিটি) 'র সেই সহজ অংকই হাইপারসনিক কিংবা সুপারসনিকগুলোকে উড়িয়ে নিয়ে যায়। UFO গুলোর ডিজাইন এর ভিন্নতা এবং ইন্জ্ঞিন টেকনোলজীর বিষয়টাতে ফিরে আসি। প্রথমেই যেই কথাটা বলে নিতে চাই সেটা হলো : UFO সাইটিং। UFO দেখা গিয়েছে , অনেকবার , অনেক স্থানে দেখা গিয়েছে। কিন্তু তার মানে কি এই যে - সেগুলো ছিলো ভিনগ্রহী অতিবুদ্ধিমান কোন প্রানীর স্পেসশিপ ? ব্যক্তিগত ভাবে আমার সন্দেহের তীর গুলো তৈরী হওয়ার কারনটাও কিন্তু এর ডিজাইন।

এধরনের ডিজাইনে ফ্রিসবির মত সেন্ট্রিফিউগাল মোশনে প্রচন্ড দ্রুত গতিতে ঘুরে বেড়ানো সম্ভব। কারন : যখন কোন কিছু সেন্ট্রিফিউগাল মোশনে ডায়নামিক থাকে সেটার উপর পৃথিবীর গ্র্যাভিটির জোর কমে যায়। সত্যি কথা বলতে কি আর্টিফিসিয়াল গ্র্যাভিটির বিষয়টাতে আমার নিজেরই যথেষ্ট আগ্রহ কাজ করে। সেই আগ্রহ থেকেই MIT 'র Man - Vehicle Laboratory ওয়েবসাইটে আমার বেশ ঘোরাঘুরি। সেখানে এই বিষয়টা নিয়ে এখনো রিসার্চ চলছে।

একটা বেডে সাবজেক্টকে শুয়ে থাকতে হবে। বেডটাকে একটা নির্দিষ্ট স্পীডের স্পিন দেয়া হবে। এরফলে ঐ সাবজেক্টের ওজন কমে যায় , সেন্ট্রিফিউগাল ফোর্সের কারনে। রিসার্চ ওয়েবপেজে গিয়েই দেখতে পারেন বিষয়টা : আর্টিফিসিয়াল গ্র্যাভিটি রিসার্চ , ম্যান- ভেহিকল ল্যাবরেটরি , এমআইটি বিষয়টা অনেকটা লাটিমের স্পিনের মত। এখানে দুটো বিষয় নোটিফাই করছি: ১. এর ডিস্ক অথবা আনুভূমিকভাবে (Horizontal) স্লিম টাইপের ডিজাইন (যা খাঁড়াবা vertical ড্র্যাগ ওভারকাম করার জন্য মোটেই এফিসিয়েন্ট নয়) এবং ২. সেন্ট্রিফিউগাল মোশনে ঘোরার সময় ওজন কমে যাওয়া ( এবং সাথে সাথে আনুভূমিক অক্ষ বরাবর / Along Horizontal Direction Kinetic Efficiency বেড়ে যাওয়া) - ২ টি বিষয়ই একটি দিকে অ্যারো সাইন করে।

এধরনের ফ্লাইং অবজেক্ট ইনসাইড অ্যাটমোসফিয়ার অর্থাৎ কেবল একটি গ্রহের নিজস্ব Gas Sphere এর ভেতরেই ঘোরাফেরা করে। পৃথিবীর ক্ষেত্রে পৃথিবীর বায়ূমন্ডলের ভেতরেই এই সব UFO গুলো ওড়াওড়ি করে , এগুলো মোটেই গ্রহান্তরিত হওয়ার Spaceship বা Spacecraft নয় । বরং এগুলো সবই Ultra Tech Flying Machine বা টেকনোলজীর দিক থেকে সুপার এক্সক্লুসিভ Aircraft এমন কি UAV (Unmanned Aerial Vehicle) হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশী। এবার একটু অন্যদিকে নিয়ে যাই। সেটা হলো UFO Sighting. UFO Sighting এর ব্যাপারে MUFON ওয়েবসাইটটি ভালোই ইনফরমেটিভ সেখানে গত ২০ টি UFO Sighting এর ডাটাবেস দেখুন গুগল ম্যাপে দেখুন ২টি ব্যাপার খুব অ্যাটেনশন সহ দেখবেন : ১. সবগুলো UFO Sighting এর ঘটনা ঘটেছে USA (US) এবং Canada (CA) তে ২. অধিকাংশ গুলোতে Witness রা বলেছেন UFO Shape ছিলো ডিস্ক বা স্ফেয়ার - যে ধরনের শেপ লাটিমের মত স্পিনে মুভ করা সম্ভব , প্রচন্ড গতিতে আনুভূমিক ভাবে (Horizontally)।

বাকীরা বলেছেন শেপ টা আঁচ করতে পারেননি। এরবাইরে উইকিতে UFO Sighting ডিটেইলস এখন পর্যন্ত যা পাওয়া যায় UFO Sighting এর অনেকগুলো ছবি পাওয়া যায় UFO Evidence সাইটটিতে এইসাইট টিতে যেসব ইমেজ পাওয়া যায় তার অনেকগুলোই যে বোগাস - বলাই বাহুল্য। তবে সবগুলোই নগন্য নয়। ব্লগের ফোকাসটা এবার একটু অন্যদিকে ফেলি। স্পাই স্যাটেলাইট : অনেকেই হয়তো এই শব্দটার সাথে পরিচিত , আবার অনেকেই হয়তো নয়।

ধরে নিনঃ Earth এর বাইরে একটি নিদির্ষ্ট Orbit এ একটি Space Device ঘুরছে ঠিক যেভাবে ন্যাচারাল স্যাটেলাইট Moon ঘুরছে। এই Space Device টিই হলো সেই Spy Satellite. এটা অনেকটা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের (ISS) Miniature বলতে পারেন। স্পাই স্যাটেলাইট নিয়ে জানতে উইকিতেও গুতো দিতে পারেন স্পাই স্যাটেলাইট নিয়ে জানতে এই ভিডিওটি দেখুন সারাবিশ্বের Space Technology'র লীডার / পাইওনিয়ার USA স্পাই স্যাটেলাইট ব্যবহারের দৌড়েও বাকী সবার চেয়ে এগিয়ে আছে স্পেস নেশন গুলোর ভেতরে। স্পাই স্যাটেলাইট নিয়ে পেন্টাগনের স্টেটমেন্ট স্পাই স্যাটেলাইটের টেকনোলজী আপগ্রেডেশন নিয়ে USA 'র তোড়জোড় রিসেন্টলী শুনেছি বাংলাদেশও নাকি স্পেসে নিজস্ব স্যাটেলাইট লন্চ্ঞ করতে চায় , বাজেট ২০০০ কোটি টাকা। সম্ভবত দৈনিক আমাদের সময়ে পড়েছি নিউজটা।

স্পাই স্যাটেলাইটের ব্যাপারে একটা কথা এখনো বলা হয়নি। এগুলোকে স্যাটেলাইট বলা হয় - ঠিক আছে। কিন্তু Spy কেন বলা হয় ? এই প্রশ্নের উত্তরে স্পেস টুডে ওয়েবসাইটটি ব্রিফলী কিছু ধারনা দিতে পারবে তাও কপি পেস্ট করছি: ১. Space is an integral component of United States military planning. Satellites don't attack directly, but rather they offer what the Pentagon calls "force enhancement" — surveillance, reconnaissance, communications, navigation, missile warning. ২. Drawing maps: The U.S. National Imagery and Mapping Agency (NIMA) uses imagery from NRO satellites to chart the globe. Spysat images are used by NIMA and other members of the intelligence community to understand enemy activity, plan attack strategies, support covert ground reconnaissance, find enemy sites producing nuclear, chemical and biological weapons, monitor the flanks of deployed troops, watch for shoreline threats to sea lanes, look out for terrorists attack, and locate the sources of intercepted signals. ৩. Disseminating spysat data : How does satellite information get to commanders in the field? NRO personnel from the Army, Navy, Air Force, NSA and the Central Intelligence Agency (CIA) package the data and send it on via American command and control satellites to strike planners on ships at sea, and at naval and air bases and army forts in the Near East, South Asia, Europe, the United States and elsewhere. আশাকরি এতটুকুতেই উত্তর পেয়ে গেছেন। United States Military Planning'র হায়েস্ট টেকনোলজী সম্পন্ন এই স্যাটেলাইট গুলো অত্যন্ত শক্তিশালী ইমেজিং ক্ষমতা সম্পন্ন। পৃথিবীর বাইরে অরবিটে ঘুরতে ঘুরতে এই স্যাটেলাইট গুলো ভূ-পৃষ্ঠের ছবি , টেলি কমিউনিকেশন , ওয়েদার ফোরকাস্ট (সুনামী , হারিকেন , টর্নেডো ) সহ আরো অনেক ডাটা গ্যাদার করে থাকে যেটা মূলত হিউম্যান স্পাইদের কাজ।

প্রাসংগিকভাবে বলতে হয় - অত্যন্ত জনপ্রিয় সফটওয়্যার Google Earth কিন্তু এইধরনের স্যাটেলাইট ইমেজিং দিয়েই তৈরী করা হয়েছে। পেন্টাগনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন স্পাই স্যাটগুলো Lacrosse Keyhole : অত্যন্ত হাই রেসোলিউশনের ছবি তোলে আর্থ সারফেসের DSP SBIRS SDS DSCS Milstar Wideband Gapfiller Satellites Mil Comm Sats DMSP : ওয়েদার ডাটা কালেক্ট করে Navstar GPS : নামেই বুঝতে পারছেন গ্লোবাল পজিশনিং বের করার জন্য ব্যবহার হয় XSS-11 সাবেক যুদ্ধবাজ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের সময় আফগানিস্তান যুদ্ধে এই স্যাটেলাইট গুলোকে কাজে লাগানো হয়েছিলো। আফগান যুদ্ধে স্পাই স্যাট Dozens of satellites from the United States and its international coalition supported the American military campaign against terrorists in the Islamic State of Afghanistan in 2001. A rugged land : Before the start of military action against Usama bin Ladin and the Taliban, Afghanistan was divided along ethnic lines. The Taliban controlled the capital of Kabul and two-thirds of the country including the predominately ethnic Pashtun areas in the south. The opposition rebels had their stronghold in the ethnically diverse north. Afghanistan's 28 million people are mostly either Pashtun, Tajik, Hazara, or Uzbek, although there are some Aimaks, Turkmen, Baloch, and others. The military action was in terrain that is mostly rugged mountains with plains in the north and southwest. The climate ranges from arid to semiarid with cold winters and hot summers. To feed the troops' voracious appetite for intelligence information, more than a dozen different kinds of American, British, French and Russian satellites gathered intelligence via photography, infrared and radar imaging, and radio and television intercepts; measured and reported weather conditions; communicated command and control messages and data; and pinpointed targets and located people on the ground. তোরাবোরার মত আফগানিস্তানের দুর্গম সব পাহাড়ী এলাকায় ইউএস মেরিন সেনারা অপারেশন চালাতে গিয়ে হিমশিম খেয়েছিলো। সেজন্যই তালিবানদের লুকিয়ে থাকা ঘাঁটি খুঁজে বের করা ও অন্যান্য সব এনিমি স্পট লোকেট করার জন্য স্পাই স্যাটেলাইট ব্যবহার করা হয়েছিলো। ইরাক যুদ্ধের সময় স্পাই স্যাট শুধু যুদ্ধের ভেতরেই থেমে নেই USA'র স্পাই স্যাট নিয়ে ধুরন্ধরপনা।

ইরান , নর্থ কোরিয়া , রাশিয়া সহ সব এনিমি দেশের উপরই তারা নজরদারী করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত স্পাই স্যাট গুলো দিয়ে। তবে স্পাই স্যাটের এই শয়তানী ব্যবহার দিয়ে যেই দেশটিকে USA সবচেয়ে বেশী জ্বালাচ্ছে সেটি হলো : China মনে করে দেখতে পারেন : ২০০৮ এর মে মাসে চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ একটি ভূমিকম্প হয়েছিলো। নিজেদের Security & Defense ইস্যুতে অত্যন্ত সতর্ক পরাশক্তি চীন স্বাভাবিকভাবেই ভূমিকম্পের আসল ক্ষয়ক্ষতির তথ্য প্রকাশ করেনি। সেসময় ভূমিকম্পে চায়নার সত্যিকার ক্ষয়ক্ষতি আঁচ করার জন্যও আমেরিকা স্পাই স্যাটেলাইট ব্যবহার করেছিলো চায়নার উপর শুধু স্পাই স্যাট নিয়েই বসে থাকেনি USA. চায়নার উপর গোয়েন্দাগিরি করার জন্য মাঝে মাঝে স্পাই প্লেনও ঢুকিয়ে দিচ্ছে চায়নিজ এয়ার বাউন্ডারীতে। এরকমই একবার ২০০১ এ US Spy Plane চায়নিজ জেট ফাইটারের ধাওয়া খেয়ে চীনের হানিয়ান প্রদেশে ল্যান্ড করতে বাধ্য হয়েছিলো।

সেবার চায়না ঐ প্লেনের সব ক্রু-পাইলট কে আটকে করে প্লেনটির খুঁটিনাটি সব কলকব্জা চেক করেছিলো। এইনিয়ে সেই সময়কার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশের অনেক হম্বিতম্বি শোনা গিয়েছিলো। কিন্তু চায়নিজরা গা করেনি। Downed Spy Plane Takes Sino-U.S. Relations To New Level - টাইম ম্যাগাজিন U.S. surveillance plane lands in China after collision with fighter- সিএনএন নিউজ শুধু স্পাই প্লেন ধরাশায়ী করাই নয় , এই মাত্র ২০০৬ এ চায়নিজরা USA 'র স্পাই স্যাটও লেসার গান দিয়ে নষ্ট করে দিয়েছে। এতক্ষনতো শুধু স্পাই স্যাট আর প্লেন নিয়ে কথা বলতে বলতে আসল টপিকটাই ভুলে যাচ্ছিলাম।

ফিরে আসি UFO তে। স্পাই স্যাট আর স্পাই প্লেনেই চীনের যন্ত্রনা থেমে নেই। মাঝেমাঝেই সেখানে ঢুকে পড়ে UFO ! হ্যা , আসলেই তাই। মোটেই ভুয়া ঘটনা নয় , সত্যিকারভাবেই চায়নার আকাশে মাঝেমাঝে UFO যায়। সর্বশেষটি ঘটেছে মাত্র কিছুদিন আগে , জুলাই ৯ , ২০১০! ঘটনা এতই সিরিয়াস যে UFO টি স্পষ্টভাবে দেখা গিয়েছে হাংঝু প্রদেশের জিয়াওশান এয়ারপোর্টের কাছে এবং সাথে সাথে সব ফ্লাইট বাতিল করে এয়ারপোর্ট ক্লোজ করা হয়।

ডায়না ডেইলীর নিউজ রিপোর্ট লন্ডনের ডেইলী মেইলে ইউএফও নিউজ ইয়াহু নিউজে পড়ুন A Mystery Over China ফক্স নিউজের রিপোর্ট লস অ্যান্জ্ঞেলস টাইমসের রিপোর্ট এবিসি নিউজের স্ক্রীনশটগুলো দেখুন , তারা অবশ্য পুরোনো কাসুণ্দীই শুনিয়েছে যেটা তাদের এজেন্ডা ! চায়নিজ চ্যানেলের রিপোর্ট: মার্কিন চ্যানেলগুলো যেমন গল্পই ফাঁদুক , চায়নার সাফ কথা : ইউএফও - টিউএফও কিস্সুনা , এগুলো সব আমেরিকান স্পাই বার্ড ! চায়নার আকাশে ঘুরছে গোয়েন্দাগিরির জন্য। আশাকরি এতদুর পড়ে ফেলার পর মাথাটা লজিকের দিকে কাজ করছে ফিকশন বাদ দিয়ে। এবং এই ব্লগের মেসেজটা কি সেটাও ধরে ফেলেছেন। যাইহোক , এবার একটু ফিরে তাকানো যাক শুরুর দিকের পয়েন্টগুলোতে। কি দেখেছেন সেখানে: ১. মোর দ্যান ৮০ % UFO Sighting গুলো ঘটেছে USA এবং Canada' র আকাশে।

একই সাথে মনে করিয়ে দেই সারাপৃথিবীর এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রীর লাগাম কাদের হাতে : উইকিতে গুতো দিয়ে দেখুন আকাশ প্রযুক্তির রাজত্ব কাদের সুতরাং ইউএসএ আর কানাডার আকাশে UFO গুলোর ওড়াওড়ি যদি হয় এই আল্ট্রা টেক ফ্লাইং মেশিন গুলোর Test Flight বিষয়টি মোটেই অস্বাভাবিক হবেনা। ২. যদি সেটাই হয় তাহলে এই ফ্লাইং মেশিন গুলো এত দ্রুতগতিতে রাডার ফাঁকি দিয়ে উড়ছে কিভাবে ? সম্ভাব্য উত্তরগুলো এখানে পেতে পারেন: নিউক্লীয়ার এয়ারক্র্যাফট মনুষ্যবিহীন দুরনিয়ন্ত্রিত উড়োযান বা আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকল আশা করি খুব সহজেই বুঝতে পারছেন নিউক্লীয়ার ফুয়েল অথবা হাইপারসনিক রকেটগুলোর মতই সলিড ফুয়েল ব্যবহার করে এগুলোকে প্রচন্ড দ্রুতগতিতে ওড়ানো সম্ভব এবং সিম্যুলেশন রুমে বসে একজন পাইলট UAV গুলোর মত UFO গুলোকেও খুব সহজেই রিমোট কন্ট্রোল করতে পারেন। তার ওপর আর্টিফিসিয়াল গ্রাভিটির কনসেপ্ট টা যদি ব্যবহার করা হয় এদের ডিস্ক শেপড বা হরিজোনটালী স্লিম শেপড বডির উপর তাহলে তো আর কথাই নেই। শিরোনামের একটা বিষয় এখনো আলোচনাতেই আসেনি। শেষভাগে সেটা নিয়েই কথা বলি : জেমস ক্যামেরনের ফিল্মি মসলা কেবল জেমস ক্যামেরনের নাম বলাটাই ঠিক হবেনা , আছেন আরেক জাদরেল ফিল্ম ডাইরেক্টর - স্টিভেন স্পিলবার্গও।

১৯৮৪ তে The Terminator বানিয়ে খ্যাতিমান হয়েছিলেন জেমস ক্যামেরন। ১৯৮৬ তে বানিয়েছিলেন Aliens ১৯৯১তে দুনিয়া কাঁপানো Terminator 2: Judgment Day প্রায় প্রতিটি মুভিতেই জেমস ক্যামেরন সারা পৃথিবীর ফিকশন প্রিয় মানুষের কল্পনাকে আন্দোলিত করেছেন। ভিনগ্রহী বা ALIEN শব্দটিকে রীতিমত টক অফ দ্য ওয়ার্ল্ড বানিয়ে ছেড়েছিলেন। একেতো জেমস ক্যামেরনের মুভি , তার ওপর Gullible মানুষেরও অভাব নেই। অ্যালিয়েন হুজুগে মেতে থাক দুনিয়া।

সত্যি কথা বলতে কি জেমস ক্যামেরনের মত ডিরেক্টররা ওয়াশিংটন কিংবা রিপাবলিকান পার্টি থেকে ডিরেক্টেড , পেইড অ্যান্ড ফান্ডেড হন কিনা সেটাও এ ধরনের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং এ আসতে পারে। ২০০০ এ হোয়াইট হাউসে আসা মাত্রই জর্জ বুশ সারা দুনিয়ার মুসলিমদের কে সন্ত্রাসী জাতি বানানোর জন্যে আফগানিস্তান আর ইরাকে ক্র্যাক ডাউন করলেও এর ওয়ার্ম আপ পিরিয়ড কিন্তু শুরু হয়েছিলো বেশ কিছুটা আগে। ১৯৯৪ , যুদ্ধহীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন যখন ওভাল অফিসে , ইসলামিক টেররিস্ট , এক্সট্রিমিস্ট , ইসলাম ফোবিয়া এইসব শব্দ যখনো পশ্চিমাদের কাছে অজানা - সেই ১৯৯৪ তেই টার্মিনেটর-২ খ্যাত জেমস ক্যামেরন নির্মান করেছিলেন TRUE LIES এর মত বিনা কারনে উস্কানী মূলক - মুসলিমবিদ্বেষী সস্তা কাহিনীর মুভি। মার্কিন জনগনের ভেতরে মুসলিম/ইসলাম ফোবিয়া ঢুকিয়ে দেয়ার একটা Slow Poison ছিলো মুভিটি। নায়ক ছিলেন এখনকার রিপাবলিকান রাজনীতিবিদ , ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর আর্নল্ড শোয়ার্জনিগার ! সুতরাং ওভাল অফিসের স্পেশাল অ্যাসাইনমেন্ট হিসেবে যদি UFO & Alien নিয়ে কিছু কাজ জেমস ক্যামেরন - স্পিলবার্গের মত বাঘা ডিরেক্টররা করে থাকেন মাদারল্যান্ড USA 'র ডিফেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটির প্রয়োজনে - সেটাও অবিশ্বাস্য হবেনা।

যাইহোক , এই ব্লগটির মুল উদ্দেশ্য UFO & Alien কে অবাস্তব প্রমান করা নয়। বিশ্বমোড়ল পরাশক্তিধর দেশ গুলোর ডিফেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটির ড্রয়ারে কিছু X Files এবং কিছু টপ সিক্রেট X Project একসংগে থাকতেই পারে। তারপরও যারা জেমস ক্যামেরন আর স্টিভেন স্পিলবার্গের অ্যালিয়েন বিষয়ক মুভিতে বুদ না হয়ে UFO & Alien নিয়ে আরেকটু বেশী চোখ-কান খোলা রাখতে চান - এই ব্লগটি তাদেরকে চিন্তার কিছু খোরাক দিলো মাত্র। রহস্য প্রিয়দের আমাকে পক্ষপাত দুষ্ট ভাবার কোন কারণ নেই। আপনাদের জন্যও কিছু রেখে যাচ্ছি: মধ্যযুগ- প্রাচীনযুগের চিত্রকর্মে নাকি UFO পাওয়া গেছে! এইচিত্র কর্মগুলো নাকি বিভিন্নদেশের মিউজিয়ামে অন ডিসপ্লে ! জাল না জেনুইন জানিনা NASA ও নাকি Apollo-16 এর ক্যামেরায় UFO'র খোঁজ পেয়েছে ! আরেক আমেরিকান ভেল্কী কিনা কে জানে ভাবতে থাকুন , শুনতে থাকুন :
 


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।