আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জামাতের পরীক্ষামূলক রাজনীতিঃ একটি বিশ্লেষণ

সত্যানুসন্ধিৎসু

জামাতের পরীক্ষামূলক রাজনীতি শুরু হয়েছে। তিন নেতা নিজামী, মুজাহিদ ও সাইদি'র গ্রেফতারবরণের ভেতর দিয়ে এখন তারা পরীক্ষার প্রথমপর্ব শুরু করেছেন। এখানে সেসব রাজনৈতিক ঘটনার পরীক্ষামূলক বিশ্লেষণ দেয়া হলো: আমার কিছু নতুন আইডিয়া মাথায় খেলছে, সেগুলি শতকরা দেড় শ থেকে ২০০% ভাগের মধ্যে গণ্য করতে হবে। মহাজোট যেহেতু যুদ্ধাপরাধের বিচারের কথা কইয়া ভোট নিছে জনগণের কাছ থেকে, তাই বিচারের অন্তত ৫০% করতে পারলেই যে মান রক্ষা হবে তা ৪ দলীয় জোট বোঝে। কারণ ১০০% কাজের সফলতা কোনও কাজেই কেউ আশা করে না।

রাজনীতিতে তো নয়ই। এখন কথা হচ্ছে: ১. জামাতে পেছনে বৈদেশিক শক্তি সক্রিয়া আছে সেটা তো পরিস্কার। জামাত মনে মনে ভাবছে এতো কিছু জেনেও মহাজোট (আঃ লীগ একা না) যখন বিচার শুরুর জন্য অফিস রেডি করছে তখন তাদেরও জানা দরকার যে, মহাজোটের সাথে কোন কোন বৈদেশিক শক্তি আছে, কারা কারা সমর্থন দিচ্ছে তা খুজে বের করা এবং তাদের পেছনে লোক সেট করা। ২. ৪ দলীয় জোট যেমন প্রচার করে, আঃ লীগ মানেই ভারত, কার্যক্ষেত্রে অবস্থা কী ঘটে তা জানা এবং সময় থাকতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা অনুসন্ধান করা। কারণ ভারতেও তো জামাতের হয়ে আদভানীরা রয়েছে তারা কিভাবে জিনিসটা ট্যাকল করে দেখা।

৩. জামাত নেতারা মনে করে, তারা হচ্ছে আল্লাহর দল, বিশ্বের সব মুসলমানেরই দল। কাজেই মুসলমানদের গতিবিধি দেখা। ৪. জামাত তো আগে থেকেই বলে আসছে যে, তাদের দলে কোনও যুদ্ধাপরাধী নেই, যা ছিল তা ৭২ সালে শেখ মুজিব ক্ষমা করার ভেতর দিয়ে শেষ করে গেছে। সুতরাং আইনানুযায়ী আর কোনও ঝামেলা হবে না। হলেও আইনে টিকবে না।

কাজেই মহাজোট যা করে তাতে তাদের দলীয় আইনবিদরা জিনিসটা নিয়ে কতটুকু কেলিবার প্রদর্শন করে তার প্রস্তুতিটা দেখা। কারণ হাতে এখনো যথেষ্ট সময় আছে, এখনই গ্রেফতার না হলে পরে সময় পাওয়া যাবে না। ৫. শিবির বাদেও সরকারের বিভিন্ন দফতরে, বাহিনীতে যে সব মুখোসধারী জামাতীরা আছে তাদেরকে সতর্ক করা এবং আগামীদিনের কর্মপন্থা ও প্রয়োগ সম্পর্কে প্রস্তুতি শুরু করা। ৬. বিএনপি’র কবে কখন কি ধরনের এ্যাকশন নেয়া দরকার সেটাও আসে জামাতীদের কাছ থেকে। কাজেই এইটা নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই।

সময় হলে সব কাজকাম হবে অটোমেটিক তা তারা জানে বা বিশ্বাস করে। কারণ বিএনপিই তাদের একমাত্র পরিক্ষীত বন্ধু। ৭. আল কায়েদা, তালেবানরা হচ্ছে জামাতিদের ভেটোশক্তি। সেগুলোকেও এলার্ট করা। এখানে বিএনপি’র নতুন করে পরীক্ষা করার মত কিছু নাই।

তবে তারা ভুলে যায়নি যে, গনগণের শক্তির চাইতেও বড় শক্তি হচ্ছে, সন্ত্রাসবাদ - যা তাদের পলিটিক্স-এর মূল ভিত্তি। সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে রাতারাতি জনগণের মন-মানসিকতা বদলে ফেলা যায়, এটা তো বিএনপি’রই আইডিওলজি। এজন্য কোনও কথা নয়, কাজে বিশ্বাসী তারা। কারণ, মুজিব হত্যাকারীদের ফাঁসির পর তাদের কোনও মন্তব্য করাও অফিসিয়ালী নিষেধ ছিল। (ধারণা সম্পুর্ণ ব্যক্তিগত)


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.