আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

২৭ জুনের হরতাল ও মির্জা আব্বাসের মনোনয়ন পরিকল্পনা।



২৭ জুনের হরতালে কে জিতছে কিম্বা জনতা যন্ত্রনা ছাড়া কি পেয়েছে আমি জানিনা। রাজৈনিতক দলগুলির মধ্যে বিএনপির অর্জণ এ্যানি ও আব্বাসের পাদপ্রদীপের আলোয় আসা, আওয়ামীলীগের অর্জন গণতান্ত্রিক দল হিসাবে গণ মানুষের আস্থা ফিরে পাওয়া আর জনগণের পাওয়া যথারীতি সীমাহীন দুর্ভোগ আর দুই কারণে দুই জোটের অভিনন্দন। প্রত্যাখ্যান করার জন্যে সরকারী দলের সাবাশি আর হরতাল সফল করায় বিরোধী দলের পিঠ-চাপড়ানি। বস্তুত এ সবই আমাদের দেশের রাজনীতির একটি অতি পরিচিত দৃশ্য। জনগণ ক্ষমতার উৎস।

তাই জনগণের জানমাল বাজি রেখে নেতারা থাকন ধরা ছোয়ার বাইরে। হরতাল সমর্থকদের ২৬ তারিখের হামলায় ঝলসে যাওয়া দু'জনের মধ্যে সুমন এখন ও মৃত্যুর সাথে লড়ছেন। ফারুক পাঁচ দিন লড়াই করে অবশেষে মৃত্যুবরণ করেছেন গত কাল। এ নিয়ে ফারুকের পরিবারকেই বিলাপ করতে হয়েছে। সরকারি দল কিছুটা হলেও দায়িত্ব পলন করেছে, বিরোধী দল কি করেছে এখনও জানা যায়নি।

এদিকে হরতালের দিন পিকেটারদের দানবীয় হামলায় আহত প্রকৌশলী আবুল কাশেম এখনও শঙ্কা মুক্ত নন। এত নেতি বাচক খবরের ভীড়েও একটি ইতি বাঁচক খবর আছে। খবরটি দেশবাসির কাছে খুব গুরুত্ব পূর্ণ না হলেও বিএনপির একাংশের কাছে খুবই জরুরী। হরতালের পর থেকে এক শ্রেনীর মানুষের কাছে মির্জা আব্বাসের ইমেজ বেড়েছে, ফলে তাঁর ভক্তরা মেয়র নির্বচনে মির্জা সাহেবের মনোনয়ন পাবার উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখছেন। তাদের অনেক মির্জা আব্বাসের অফিসে (ঠিকই দেখছেন যে বাসায় হামলা হযেছে সেটি তাদের পৈত্রিক বাড়ি হলেও এখন ব্যবহৃত হয় মির্জার অফিস হিসাবে।

আর মির্জা সাহেবরা থাকেন হোটেল শৈবাল ভবনে। ) র্যাব -পুলিশের অভিযানকে দ্যাখেন প্রচার পাবার জন্যে মির্জা আব্বাসের সাজানো নাটক হিসাবে। তাদের যুক্তি একেবারে ফেলনা নয়। অভিযানের এই দৃশ্য একটি মাত্র টেলিভিসন চ্যানেল ধারন করেছে কেন? এতবড় একটি ঘটনার সময় অন্য চ্যানেল গুলি কি করছিল? ঘটনার এত কাছেই বা টেলিভিসন ক্যামেরা গেল ক ভাবে? আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কি তবে নিরাপত্তার চেয়ে প্রচারের গুরুত্বই বেশি দিয়েছেন। এসব বিষয়ে কোন স্পষ্টভাষণ না থাকায় শুধু যুক্তি বুদ্ধি দিয়ে বিশ্লেষণ করা যায়।

সবেচয়ে সুবিধা হচ্ছে একটি ঘটনা সাজিয়ে যথা সময়ে ক্যামেরাকে খবর দেওয়া। আরেকটি অনুসিদ্ধান্ত আসতে পারে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মির্জা আব্বাসের আগ্রহ থেকে। এর আগের বার মনোনয়ন যুদ্ধে তিনি সাদেক হোসেন খোকার কাছে পরাজিদ হয়েছিলেন। সংসদ নির্বাচনে হারার পর থেকে তিনি পদ ও প্রতি পত্তিহীন। উপরন্তু দুদকের মামলায় তিনি মহা সমস্যায়।

এসময় নিজের রাজৈনতিক ক্যারিয়ার বাঁচাত মেয়র পদটি খারাপ নয়। পুলিশের হাতে নির্যাতত হবার যে ইমেজ তিনি তৈরী করেছেন তাতেও যদি মেনানয়ন না পাওয়া যায় , তবে রাজনীতিই বৃথা

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।