আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এই মিথ্যাচার কেন চালানো হচ্ছে??



বি এন পি এর হরতালের আগের দিন মগবাজার এবং নিউমার্কেটের কাছে ২ টি গাড়ি কে বা কারা পুড়িয়ে দিয়েছে এবং আজ একজন মারাও গিয়েছে। ব্যাপারটা অবশ্যই অনেক দুঃখজনক। কিন্তু সেই ঘটনার পর থেকেই বিভিন্ন মিডিয়া এবং পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে হরতাল সমর্থকদের দেয়া আগুন... অথচ কারা আগুন দিয়েছে তাদের কাউকেই পুলিশ ধরতে পারেনি। ভাবখানা এমন যে এই দেশে হরতালের আগের দিন শুধু বিরোধী দলই আগুন লাগায়। 'স্যাবোটাজ' নামে কোন শব্দ মনে হয় নাই এই দেশে!!! আশ্চর্যজনক ভাবে এই ব্যাপারে বিরোধীদলকে কোন প্রমান ছাড়াই এক তরফা ভাবে দোষারোপ দেয়া হচ্ছে।

বি এন পি থেকেও আজকে খালেদা জিয়ার বিবৃতি ছাড়া হুরতালের পরপরই কেন এটার কঠোরভাবে প্রতিবাদ করা হলো না না মিডিয়া তে আসল না বুঝতে পারলাম না। রাজনৈতিক কৃষ্টিতে একটি নতুন ধারা সংযোজন করে এই হরতালের জন্যে ৪০ দিন ধরে প্রচার চালানো হয়েছে, গন-সংযোগ চালানো হয়েছে সেখানে কোনভাবেই গাড়ী পুড়িয়ে হরতাল সফল করার চিন্তা তাদের আসতে পারেনা। এটার প্রমান মিলে বিরোধী দলকে মাঠে নামতে পুরো বাধা দেবার পরও সতস্ফুর্ত হরতাল পালন। এবং এটা ভবিতব্য ছিল যে সাড়ে তিন বছর পর একটা হরতাল মানুষ খারাপ ভাবে নিবেনা যদি না তা আওয়ামী লীগের মত নিয়মিত বিরতিতে না দেয়া হয়। বি এন পি এর সে ইচ্ছে নেইও বলে আমার বিশ্বাস।

কিন্তু অযাচিত ভাবে এই আগুন পোড়ানো আমার কাছে পুরোটাই স্যাবোটাজ মনে হয়েছে এবং এটা করা হয়েছে নানক/ মির্জা আজমদের সাথে ব্যালেন্স করার জন্যে। সত্যে বা মিথ্যা যাই হোক যেহেতু শেরাটনের সামনে চলন্ত গাড়িতে গান পাউডার দিয়ে আগুন দেয়ার ঘটনায় তাদের জড়িত থাকার ব্যাপার আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতার স্বীকারোক্তিতে বের হয়েছে তাই এখন একটা স্যাবোটাজ করে মার্কেট তো ব্যালেন্স করতেই হবে। আর এই জন্যেই কারা আগুন দিয়েছে সেই ব্যাপারে কোন তথ্য প্রমান নেই অথচ বলে বেড়ানো হচ্ছে হরতাল সমর্থকদের দেয়া আগুন... অথচ প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে কয়েকজন এসে আগুন লাগিয়েই পালিয়ে গেছে এবং ওখানে কোন হরতাল পালন করার কর্মসূচিও ছিলো না... কেন এই মিথ্যাচার????

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।