আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আল্লাহ্‌ দেয়া জীবন বিধান-"ইসলাম" কারো কাছে মূল্যহীন কারো কাছে আবার অমূল্য সম্পদ

সততাই সর্ব উৎকৃষ্ট পন্থা। আজ একটা নিউজ পড়লামঃ এভারেস্টের চূড়ায় প্রথম সৌদি নারী। দৈনিক ইত্তেফাকঃ Click This Link এখানে ঐ মেয়ের অভিমত শুনে খুব-ই আফসোস লাগল। এরাই ইসালামের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করে। আল্লাহ্‌ মনোনীত দ্বীনকে এই ধরণের কিছু কুলাঙ্গাররা অপমান করে, অবজ্ঞা করে।

কিসের জন্য ইসলামকে এই অবজ্ঞা, কিসের জন্য ইসলামকে এই উপহাস? এই সমস্ত মানুষেরা পশ্চিমা বিশ্বের জাঁক-জমকতা দেখে আল্লাহ্‌ ও আখিরাতকে ভুলে যায়। তারা এটাও ভুলে ওরা তো কাফির। কাফিরা মুসলিমদের নিয়ে হাঁসি ঠাট্টা করে, উপহাস করে, তারা বলে মুসলিমরা তাদের মেয়েদের বন্দী করে রাখে, ইত্যাদি ইত্যাদি। "পার্থিব জীবনের উপর কাফেরদিগকে উম্মত্ত করে দেয়া হয়েছে। আর তারা ঈমানদারদের প্রতি লক্ষ্য করে হাসাহাসি করে।

পক্ষান্তরে যারা পরহেযগার তারা সেই কাফেরদের তুলনায় কেয়ামতের দিন অত্যন্ত উচ্চমর্যাদায় থাকবে। আর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সীমাহীন রুযী দান করেন। (সুরা বাকারাঃ ২১২) ইসলামদের বিধি-বিধান যদি তার ভাল না লাগে তবে সে ইসলাম থেকে বের হয় যাক! তার যদি এইসব করতেই ভাল লাগে তবে ইসলাম থেকে বের হয়ে করুক! ইসলাম তো কাউকে জোর করে না। সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যা ইচ্ছা করুক। তাতে কারো কোন আপত্তি নেই।

ইসলামকে নিয়ে এত চুলকানি কেন? সুরা বাকারাতে আল্লাহ্‌ স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছেন- দ্বীনের ব্যাপারে কোন বাড়াবাড়ি নেই। এছাড়াও আল্লাহ্‌ বলেছেনঃ সত্য তোমার রবের পক্ষ থেকে স্পষ্ট হয়েছে। এখন যার ইচ্ছে হয় মানতে পার যার ইচ্ছে অবজ্ঞা কর। [সুরা কাহফঃ ২৯] আমাদেরর মৃত্যু পরবর্তী জীবন যেন শান্তিময় হয়, আমরা যেন জান্নাতবাসীদের কাতারে শামিল হতে পারি সেই চেষ্টা সর্বদা আমাদের করা উচিৎ। এই ধরণের মানসিকতার মেয়েদের জন্য আমি বলতে চাইঃ আপু, তোমার সৌন্দর্য্য তোমার থাক তা যেন সবার জন্য উম্মুক্ত না হয়! আমি/আমরা তো সেটাই চাই।

চোখতো আমার/আমাদেরও আছে। আমরা চাই আমাদের চোখে যেন তোমরা মর্যাদার কাতারে থাকো! আপু জিন্স,ফতুয়া, টপ্‌স, লেগিংস ইত্যাদি পোষাকে তোমাকে উম্মুক্ত নোংরা চোখের হ্মুধা বানিয়ে রাখে তা কি বুঝনা? বলো কেন তুমি অন্যের চোখের ফূর্তি হবে? এই মেয়ের অভিভাবক কিভাবে এই ধরণের অনুমতি দেয় না আমি বুঝে পাই না। যারা তাদের মেয়েকে বেপর্দা করে প্রদর্শন করে বেড়াচ্ছে, আর হাজার হাজার পুরুষ তা দেখে উপভোগ করছে তাদের সকলকেই কিয়ামতের দিন জবাব দিহি করতে হবে! রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ তিন ব্যক্তির জন্য আল্লাহ জান্নাত হারাম করে দিয়েছেনঃ ১. যে মদ তৈরী করে। ২. যে মাতা-পিতার নাফরমানী করে এবং ৩. "দাইয়ুস" (যে তার পরিবারের মধ্যে অশ্লীলতাকে প্রশ্রয় দেয়)। [মুসনাদে আহমাদঃ ৫৮৩৯ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘‘তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং তোমাদের প্রত্যেককেই তার দায়িত্বাধীনদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে, রাষ্ট্রনেতা তার প্রজাদের সম্পর্কে দায়িত্বশীল আর তাকে তাদের পরিচালনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

একজন পুরুষ লোক তার পরিবারের ব্যাপারে দায়িত্বশীল, তাকে তাদের পরিচালনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। একজন মহিলা তার স্বামীর ঘরের সার্বিক ব্যাপারে দায়িত্বশীলা, তাকে সেটার পরিচালনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। একজন পরিচারক তার মালিকের সম্পদের সংরক্ষক, আর তাকে সেটার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ” (বুখারী : ৮৯৩; মুসলিম: ১৮২৯) জন্মগত সুত্রে ইসলাম পাওয়া যে কতটা ভাগ্যের ব্যাপার তা এরা বুঝতে পারে। তারা দুনিয়ার খ্যাতি অর্জনের জন্য মত্ত হয়ে যায়।

তারা বুঝতেই পারে না এই জীবনে টাকা, সম্পদ, নেতৃত্ব, খ্যাতি এগুলো কোন মুল্লবান সম্পদ নয়। তারা এটা বুঝতেই পারে না- The Most valuable thing in our life is EMAN. তাই জন্মগত সুত্রে পাওয়া ঈমানকে তারা বিকিয়ে দেয়। পক্ষান্তরে যারা জন্মগত সুত্রে ঈমান, ইসলাম পায়নি তারা এখন এই ঘাটতি পূরণ করছে। আজ ঠিক এমন-ই একটি নিউজ পড়লাম। তারা এখন আল্লাহ্‌র এই দ্বীনকে আঁকড়ে ধরছে।

ধিক্কার এই জন্মগত মুসলিম গুলোকে। ঐ নিউজটিতে জানতে পারলাম, গত এক দশকে বৃটেনে মুসলমানদের সংখ্যা বেড়েছে শতকরা ৭৫ ভাগ এবং অভিবাসী হয়ে দেশটিতে গেছে প্রায় ছয় লাখ মুসলিম। যেখানে গড়ে ২৫ বছর বয়সী মুসলমানরাই ইসলাম ধর্ম পালন করে সবচেয়ে বেশি সেখানে খৃস্টানদের মধ্যে ৪৫ বছর বয়সের লোকজন বেশি ধর্ম পালন করে। সূত্র: Click This Link আরো একটি গল্প আপনাদেরকে বলিঃ ফ্রান্সে একজন মহিলা, যিনি কিনা ইসলামী পোশাকের বিধান মেনে হিজাব-নিকাব পরেছিলেন, একটা সুপারমার্কেটে গেলেন। তিনি কিছু জিনিস নিয়ে কাউন্টারে সেগুলো চেক করিয়ে মূল্য পরিশোধের জন্য গেলেন।

কাউন্টারে ক্যাশিয়ার হিসেবে একজন মুসলিম মহিলা বসা ছিলেন। যা হোক, ক্যাশিয়ার মহিলাটি কিন্তু খুব স্বাভাবিক পোশাক পরেছিলেন আর তার চুলও ছিল খোলা এবং চেহারায় অনেক সাঁজ-গোছ করা ছিল। স্বাভাবিকভাবেই ক্যাশিয়ার মহিলাটি নিকাব পরা মহিলাটিকে দেখে একটু বিব্রতবোধ করলেন, আর তার নিয়ে আসা জিনিসগুলো তাচ্ছিল্যভরে চেক করতে লাগলেন। কয়েক মিনিট পর, ক্যাশিয়ার মহিলাটি নিকাব পরা মহিলার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলোঃ কেন আপনি এখানে আসলেন? আপনি যদি নিকাব পরতেই চান, তো নিজের দেশে গিয়ে নিজের ঘরে বসেই তো ধর্ম কর্ম করতে পারতেন। আমরা তো ফ্রান্সে এসেছি আমাদের নিজেদের উন্নতির জন্য।

নিকাব পরা ভদ্র মহিলাটি খুব শান্তভাবে তার নিকাবটি খুলে ক্যাশিয়ার মহিলার সামনে তার চেহারা উন্মুক্ত করলেন। ক্যাশিয়ার মহিলাটি তখন হতভম্ব হয়ে গেলেন ! তিনি দেখলেন বাদামী চামড়া ও রঙ্গীন চোখ বিশিষ্ট এক মহিলাকে। জী হ্যাঁ তিনি ফ্রান্সেরই অধিবাসীনী। নিকাব পরা মহিলাটি তখন ক্যাশিয়ার মহিলাটিকে বললেনঃ তোমরা এখানে এসছো নিজদের ধর্ম বিক্রি করতে , আর আমরা তা ক্রয় করে নিচ্ছি! ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৫ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.