আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিরাপত্তার নামে বাড়াবাড়ি আর ভদ্রলোদের গুলশানের একদিন।



গত রাতে বনানী থেকে নিজের বাসায় গুলশানে যাওয়ার পথে আইন প্রয়োগকারী নামক একদল নিরাপত্তা কর্মী আমার রিকশা রোধ করে। কারন জিজ্ঞাসা করায় অফিসার আমাকে জানান, উপর থেকে অর্ডার আসায় গুলশানের বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই তথা অপরাধ থেকে রক্ষায় এই রাস্তায় রিকশা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ রাস্তায় শুধুমাত্র গাড়ী ব্যবহারকারীরাই তাদের যানবাহন নিয়ে যেতে পারবেন। কোন রিক্শা চালকের কিংবা আমার মত গাড়ীহীন মানুষের কোন স্থান নেই। আমার প্রশ্ন যারা ছিনতাই করে তারা কি রিকশা ব্যবহার করে ছিনতাই করে? নাকি ব্যাক্তিগত গাড়ী বা মোটরসাইকেল ব্যবহার করে? যদি রিকশাই ছিনতাই এর একমাত্র মাধ্যম হয় তাহলে সারাদেশ থেকে রিকশা বন্ধ করে দিলেই কী এই সমস্যার সমাধান হবে? অদ্ভুদ সব সমাধানের দিকে যাচ্ছি আমরা।

সমাধান সব যেন ক্রসফায়ারেই। অপরাধের দোহাই দিয়ে সুলভ, আরামদায়ক ও পরিবেশবান্ধব রিকশা বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু এই রিকশা বন্ধের প্রকৃত কারণ কি অপরাধ? নাকি কৌশলে গাড়ীর কোম্পানীর গাড়ী বিক্রি বৃদ্ধি করার নতুন কোন কৌশল? আইন প্রয়োগকারী আমাকে বলেন, রিকশা ছেড়ে সি, এন, জি দিয়ে গন্তব্যে যেতে। আমি জনতে চাইলাম সিএনজির বাড়তি ভাড়া কে দিবে? একদিকে নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে আমাদের খরচ বাড়চ্ছে, অন্যদিকে রিকশা চালকদের কাজের পরিধি কমিয়ে তাদের অর্থনৈতিক ক্ষতি করছে। বাড়তি খরচ মেটাতে আমি বা অর্থনৈতিক ক্ষতির শিকার এই রিকশা চালকই কি অপরাধের দিকে ঝুঁকবে না।

এই দায় কার? আমার মত লক্ষ যাত্রী আর রিকশা চালকের কথা না ভেবে শুধুমাত্র গুটিকয় সুবিধাবাদীদের নিরাপত্তার দোহায় দিয়ে আইন প্রয়োগ সংস্থার এই বাড়াবাড়ি কতটা নিরাপত্তা দিতে সক্ষম হবে। আমার প্রশ্ন নিরাপত্তাহীনতায় কি শুধুমাত্র বিলাশবহুল গুলশানবাসীদেরই? তাদের রক্ষা করাই কি আইন প্রয়োগকারীদের দায়িত্ব? পুরো শহরের নিরাপত্তার প্রদানের দায়িত্ব কার? শুধু রিকশা বন্ধ করাই কি অপরাধ দমনের একমাত্র পথ? অপেক্ষায় থাকুন পুজিঁ নিরাপত্তার অজুহাতে একদিন আইন প্রয়োগ সংস্থা আমাকে আপনাকেও এই শহর থেকে তাড়িয়ে দিবে শুধুমাত্র নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।