আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আই ওয়াজ সেক্সুয়ালি অ্যাসল্টেড অ্যাট দ্য এইজ অফ সিক্স

আমি অন্ধের দেশে চশমা বিক্রি করি!

ছোটবেলার অনেক জিনিস আছে যেগুলি ওইসময় তেমন কিছু মনে হয় না বা ওইটার গুরুত্ব ধরা যায় না। কিন্তু মাথার চিপায় আটকায় থাকে। পরে বড় হলে, দুনিয়াদারী একটু জানাশোনা হলে ওই ঘটনাগুলি আবার মনে পড়ে, বোঝা যায় যে আসলে কি হয়েছিল! সেই রকমই একটা ঘটনা বলি। ১৯৮৫-৮৬ সালে যখন আমি কেজিতে বা ক্লাস ওয়ানে পড়ি। আমাদের বাসার এক তালায় একটা ছোটখাট অফিস ছিল।

দুইজন লোক কাজ করত। একজন বেশিরভাগ বাইরেই থাকত, আরেকজন ফোন-টোন রিসিভ করার জন্য সারাদিন অফিসে থাকত। ওনার নাম দুলাল, আমি ডাকতাম দুলাল ভাইয়া। বয়স ২৫-২৬ হবে। ওনার সারাদিন তেমন কোন কাজ-কর্ম ছিল না।

আমারও স্কুল থেকে আসার পরে তেমন কিছু করার নাই, আজকের মত তো আর কম্পিউটার গেমস বা কার্টুন নেটওয়ার্ক চ্যানেল নাই। ওই অফিসে ছিল একটা টাইপ-রাইটার যেটা আমার অতি আকর্ষনের একটা বস্তু ছিল। দুলাল ভাইয়া লোকটাও ভাল ছিল। আমি গেলেই আমাকে টাইপ-রাইটারটা ধরতে দিত। মাঝে মাঝেই ৫০ পয়সা বা এক টাকার যে চকলেটগুলি তখন পাওয়া যেত, সেইগুলি ১-২টা আমাকে দিত।

সব মিলায় আমি দিনের বেশ খানিকটা অংশ ওই অফিসে দুলাল ভাইয়ার সাথে কাটাইতাম। আমার আম্মুও মোটামুটি ওই সময়টা একটু শান্তিতে থাকত। অফিসে গেলেই দুলাল ভাইয়া আমাকে কোলে নিয়া বসাইত, নানান গল্প-গুজব করত। একটা সাড়ে পাচ-ছয় বছরে বাচ্চাকে কোলে নেয়ার মধ্যে কোনই অস্বাভাবিকত্ব নাই। কিন্তু বড় হবার পর পুরা কাহিনী পর্যালোচনা করে আমি বুঝতে পারি যে ওইটা স্বাভাবিক ছিল না।

যাই হোক, একদিন এইরকম কোলে বসায় গল্পগুজব করছিল। একটা চকলেটও দিল। তারপর ঠিক কিভাবে আমাকে কনভিন্স করল, এটা আমার এতদিন পর আমার ভালমত মনে নাই। এই স্মৃতিটা মাথা থেকে সামহাউ আউট হয়ে গেছে। কিন্তু মনে আছে যে এর মিনিট পাচেক পরে আমি কি অবস্থায় ছিলাম।

অফিসের একটা চেয়ারে আমি উপুড় অবস্থায়। উনি আমার প্যান্ট নামালেন। এইটাও মনে নাই যে আমি প্রতিবাদ করেছিলাম কিনা বা কি বলেছিলাম। উনি পিছনে ফিরতে নিষেধ করলেন। একটু পরে আমি আমার পাছার ফুটায় একটা ভয়াবহ রকমের গুতা অনুভব করলাম।

আমি তীব্র ব্যাথায় উহহ করে উঠলাম। নিষেধ সত্বেও পিছনে ফিরে তাকালাম যে হচ্ছেটা কি! আমার জীবনের প্রথম বয়ষ্ক পুরুষের পুরুষাঙ্গ দর্শন কারন আমার তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখে উনি ততক্ষনে বের করে ফেলেছেন। আমার তখনও মুসলমানি হয় নাই। উনি এইমাত্র আমার সাথে কি করলেন, সেইটার চেয়ে ওই পুরুষাঙ্গের আকার এবং উপর দিকের ছাল উঠানো চেহারাই আমাকে বিষ্মিত করল বেশি। আমি লজ্জা পেয়ে অন্যদিকে মুখ ঘুরায় ফেললাম।

উনি ওনার নিজের এবং আমার প্যান্ট উঠায় দিলেন। আরো কিছু কথাবার্তা বলার পর আমি বাসায় চলে আসলাম। আগেই বলেছি যে ওই বয়সে আমি ঘটনা বোঝা তো দূরের কথা, আন্দাজও করতে পারি নাই। তাই ওনার উপর আমার তেমন কোন রাগ হয় নাই। কিন্তু সমস্যা হল, আমি পাছায় তীব্র ব্যাথা পাচ্ছিলাম তখনো।

ব্যাথাটা আরো বেশি হচ্ছিল বড় বাথরুম করার সময়, প্রচন্ড ব্যাথা। আমি এই ঘটনা বাসার কাউকেই জানাই নাই। কারন এইরকম একটা নিন্নু-পাছু সংশ্লিষ্ট ঘটনা কাউকে বলতে আমার খুব লজ্জা লাগল। এরপরও আমি দুলাল ভাইয়ার কাছে প্রায়ই যেতাম। কিন্তু আর কখনো উনি ওইরকম কিছু করেন নাই।

এই ঘটনার প্রায় বছর খানেক পরে ওই অফিস আমাদের বাসা থেকে মুভ করে। দুলাল ভাইয়ার আমার আবার দেখা হয় যখন ক্লাস ফোর বা ফাইভে পড়ি। তখনো ওই ঘটনার মর্মার্থ বোঝার বয়স হয় নাই। ওইটাই শেষ দেখা।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।