আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আহ ইয়াসমিন আহ ...

আমি ঘুরিয়া ঘুরিয়া সন্ধানো করিয়া স্বপ্নেরও পাখি ধরতে চাই আমি স্বপ্নেরও কথা বলতে চাই আমার অন্তরের কথা বলতে চাই...

ঘরে ফিরতে চাইলেই কি ঘরে ফেরা যায়, সবাই কি ঘরে ফিরতে পারে? ইয়াসমিন, দিনাজপুরের ইয়াসমিন,কিশোরী ইয়াসমিন ঘরে ফিরতে চেয়েছিল। কিন্তু কি অন্ধকার সে পথ,কি নিষ্ঠুর সে পথ। ইয়াসমিনের আর কোন দিন বাড়ি ফেরা হয় না। ঢাকা টু দিনাজপুর অন্ধকারে লোপাট হয়ে যায়। আর মুখোশ পরা কসাইগুলো হাসে, পুলিশের ব্যাটন হাতে কসাইগুলো হাসে।

আর তাকে ধর্ষণ করা হয়, তাকে মেরে ফেলা হয় । ইয়াসমিন আহা ! দীর্ঘ দিন পর মা'কে দেখার জন্য ১৯৯৫ সালের ২৪ আগষ্ট ঢাকা থেকে বাড়ী যাচ্ছিলেন কর্মজীবী কিশোরী ইয়াসমিন। পথমধ্যে কিশোরী ইয়াসমিনকে নির্মমভাবে ধর্ষণ করে পুলিশ, এবং তাকে হত্যা করে লাশ দিনাজপুর শহরের পাঁচ কিলোমিটার দুরে ব্র্যাক অফিসের পাশে রাস্তায় ফেলে দেয়। পরে পুলিশের এই পৈশাচিক ঘটনা জানাজানি হলে হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ জনতা শহরে প্রতিবাদ মিছিল করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন। কিন্তু,পুলিশ প্রশাসন ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে কিশোরী ইয়াসমিনকে পতিতা হিসেবে অপপ্রচার করে।

এতে আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে দিনাজপুরের সর্বস্তরের মানুষ। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতার উপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ২৬ আগষ্ট রাতে বিক্ষুব্ধ জনতা কোতয়ালী থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করলে পুলিশ আবারও লাঠিচার্জ করে। এসময় প্রতিবাদী জনতা কোতয়ালী থানার সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলে। ২৭ আগষ্ট বিক্ষুব্ধ জনতা প্রশাসনিক কর্মকর্তার বদলিসহ দোষী পুলিশ সদস্যদের শাস্তির দাবীতে বিশাল মিছিল বের করলে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়।

এ সময় সাত জন নিহত ও তিন শতাধিক আহত হয়। এরপর বিক্ষুব্ধ জনগন শহরের চারটি পুলিশ ফাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে দিনাজপুরের ১৩ থানাসহ দেশব্যাপী। সেই থেকে দিনটিকে দেশের প্রগতিশীল মানুষেরা "নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস" হিসেবে পালন করে আসছে। আহ ইয়াসমিন আহ ...


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।