আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একি কান্ড! মন্ত্রীকে ধমকালেন শাহ আলম!!

ইমানের পরীক্ষা হয় সংকট কালে। ইমানের পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত থাকুন।

মন্ত্রীদের তো এখন আত্নহত্যা করা উচিত। আগে শুনতাম, মন্ত্রীদের অনেক পাওয়ার। তবে ধমক দিতে আমি তেমন একটা শুনি নাই।

কিন্তু আজ এক জন মন্ত্রী ধমক খেলেন। এখন মন্ত্রী কি করেন সেইটাই দেখার বিষয়। পুরো জিনিসটা আমি কপি পেস্ট করলাম। যে কেউ ইচ্ছে করলে আসল টা পড়ে আসতে পারেন। সচিবালয়ে আবাসন শিল্পের মালিকদের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের এক সভায় রোববার প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খানকে রীতিমতো ধমক দিয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান (শাহ আলম)।

আগের একটি সভায় দেওয়া মন্ত্রীর বক্তব্য উদ্ধৃত করে বসুন্ধরা প্রধান মান্নান খানকে বলেন, "এর আগেও আপনি আমাদের ডেকে অপমান করেছেন। আমরা রাতে ঘুমাতে পারি কিনা, আপনি জানেন! মন্ত্রী হয়েছেন বলে যা খুশি তাই বলবেন! এত বড় দুঃসাহস আপনি কোথায় পেলেন। " একই সভায় তিনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীকেও বাক্যবানে জর্জরিত করেন। রাজধানীর উন্নয়নে 'ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ)' নামে একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়নে জামিলুর রেজার নেতৃত্বে একটি কমিটি কাজ করেছিল। সভায় উপস্থিত শাহ আলমসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা কমিটির দেওয়া প্রতিবেদনের কড়া সমালোচনা করেন।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে বেসরকারি আবাসন ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ভূমি উন্নয়ন সমিতি (বিএলডিএ)'র সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খান আবাসন ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ধরে বলেছিলেন, "পানির নিচে মানুষকে স্বর্গ দেখান। অন্যের জমি দেখিয়ে মানুষের কাছে টাকা নেন। ভূমিদস্যু খেতাব নিয়ে আপনারা ঘুমান কী করে?" রোববারের সভায় বিএলডিএ সভাপতি শাহ আলম ওইসভার রেশ ধরে মন্ত্রীকে বলেন, "দেশের জিডিপিতে আমার যে অবদান সে রকম অবদান রেখে তারপর এমন করে কথা বলেন। " এ সময় মান্নান খান তাকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, "হাত নামিয়ে কথা বলুন। আপনারা এভাবে কথা বললে আমি কঠোর হতে বাধ্য হবো।

" রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে বিএলডিএ এবং রিয়েল এস্টেট এন্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) এর নেতাদের বৈঠকটি হয়। ড্যাপ প্রতিবেদন নাকচ করে দিয়ে শাহ আলম বলতে থাকেন, "আমরা এ দেশের লোক। জামিলুর রেজা চৌধুরীকে দিয়ে রাজউক (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) এর এমন একটি পরিকল্পনা মেনে নেওয়া যায় না। এ পরিকল্পনা প্রণয়নে তাকে টাকা দিয়ে কিনে নেওয়া হয়েছে। " সভায় উপস্থিত জামিলুর রেজা চৌধুরী তখন বলেন, "এখানে কেনাবেচার কোনো বিষয় নেই।

রাজউক ও মন্ত্রণালয় থেকে রাজধানীর উন্নয়নে একটি পরিকল্পনা প্রণয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। নিজের কাছে যেটা যথাযথ মনে হয়েছে তাই করেছি। মন্ত্রণালয় ও রাজউক তা গ্রহণ করেছে। এখন সবার সঙ্গে আলোচনা করে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। " প্রায় সোয়া ঘন্টাব্যাপী ড্যাপ বাস্তবায়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় দু'পক্ষ পরস্পরকে আক্রমণ করে বক্তব্য দেন।

শাহ আলম বলেন, "ড্যাপ অনুযায়ী ঢাকার বিশাল এলাকাকে (প্রায় ২১ শতাংশ) জলাধার হিসেবে রাখা হয়েছে। এখানে ভূমি উন্নয়ন করা যাবে না। আমরা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর এ প্লান মানি না। রাজউক এ পরিকল্পনা প্রণয়নের আগে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেনি। " জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, "রাজউক এ পরিকল্পনা প্রণয়নের আগে সবার সঙ্গে বৈঠক করেছে।

রিহ্যাবের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করা হয়েছে। তাদের মতামত নিয়েই ড্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে। " প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে রিহ্যাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আওয়ামী লীগ সাংসদ নসরুল হামিদ বিপু বলেন, "রাজউক এ পরিকল্পনা প্রণয়নের আগে রিহ্যাবকে দু'দফায় বৈঠকে ডাকলেও তাদের কোনো মতামত নেয়নি। এ পরিকল্পনা মেনে নেওয়া যায় না। " প্রতিমন্ত্রী বিএলডিএ ও রিহ্যাবের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ বলেন, "আপনারা পানির নিচে স্বর্গ বানান।

জমির মালিক না হয়ে আপনারা বিজ্ঞাপন দেন কেন ? আপনাদের এ ধরণের কর্মকাণ্ডের কথা আমি প্রয়োজনে এক লক্ষ বার বলবো। " উত্তরে শাহ আলম বলেন, "রাজউক পানির নিচে ঝিলমিল ও পূর্বাচল প্রকল্প করলো এতে কোনো দোষ হলো না। আমরা করলেই দোষ। " পূর্ত মন্ত্রণালয় ব্যর্থ এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, "গত ১৬ মাসে পূর্ত মন্ত্রণালয় কিছুই করতে পারেনি। পুরো ঢাকাকে জলাশয় বানিয়েছে।

" ড্যাপ প্রণয়ন প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, "আপনারা প্ল্যান করেন কিন্তু প্ল্যান ঝুলিয়ে রাখেন কেন ? তা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিন। " তিনি বলেন, "আমরা না থাকলে দেশের হাজার হাজার লোক ভালভাবে বাস করতে পারতো না। আমরা মানুষের কাছ থেকে আবাসন খাতে ৭০ হাজার কোটি টাকা নিয়েছি। " মন্ত্রীর উদ্দেশে আলম বলেন, "আপনারা পারলে মানুষের কাছ থেকে পাঁচ টাকা নিয়ে দেখান। " কপি: (ঢাকা, জুন ১৩ ,২০১০, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।