আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এসো মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামীলীগের অবদানের গল্প শুনি ও একটি প্রামাণ্য চিত্র দেখি ঃ

সতর্কতা ঃ সকল জাশি, ছাগু ,জাতীয়তাবাদীরা তফাতে যান । এই পোস্টের জন্য আমার সমমনাদের কাছে আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি । আওয়ামীলীগ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র সপক্ষের দল যাতে কোন সন্দেহ নাই । অনেক ছাগুরা আওয়ামীলীগের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের অনেক প্রমান চায় না জেনে শুনে । আসলে আওয়ামী লীগ মুখে না বলে যদি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার সংগঠিত বিভিন্ন সত্য ঘটনা না চেপে রেখে প্রকাশ করতো তাহলে কেউই আওয়ামীলীগের দাবীর বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলতে পারতো না ।

কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্যি যে দলটি তাদের সেই সকল কর্মকাণ্ড তুলে না ধরে বারবার ৭ই মার্চ এর ভাষণ তুলে ধরে নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে দাবী করে অথচ এই দাবীর পক্ষের অনেক সত্য কর্মকাণ্ড খোদ বর্তমান মন্ত্রীপরিষদের একাধিক সদস্যদের কাছে থাকলেও তা প্রকাশ করে না যা খুবই বেদনাদায়ক । তাই আমি নিজেই আজ আওয়ামীলীগের পক্ষে নিম্নের সত্য ঘটনাগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করলাম । ১৯৭১ সালের ৭ই এপ্রিল তৎকালীন আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ‘দৈনিক আজাদ’ এ একটি বিবৃতি দেন । যা ছিল ঃ চট্টগ্রামের এমপি.ই.২৪ নির্বাচনী এলাকা হইতে নবনির্বাচিত প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য জনাব সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বেআইনী ঘোষিত আওয়ামী লীগের সহিত সকল সম্পর্ক ছিন্ন করিয়া পাকিস্তানকে সমর্থন করিয়া একটি বিবৃতি প্রদান করিয়াছেন। তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নির্বাচিত হই।

একজন পাকিস্তানী নাগরিক হিসাবে এবং সরল বিশ্বাসে আমি এই আশায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিয়াছিলাম। আমি আমার ক্ষুদ্র ক্ষমতা অনুসারে দেশ ও জনগণের খেদমত করিব। পাকিস্তানকে খণ্ড বিখণ্ড করার জন্য জনগণ আমাকে ভোট দেয় নাই। তিনি বলেন , আওয়ামীলীগের এই সব ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে আমি কিছুই জানিতাম না এবং ২৫ মার্চের পূর্বে এবং পরবর্তী সময়ে আমাদের দেশের গোলযোগের অবস্থায় আমি কোন সমাজবিরোধী কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করি নাই। যথাসময়ে হস্তক্ষেপের জন্য এবং ধ্বংস ও ষড়যন্ত্র হইতে দেশকে রক্ষা করার জন্য আমি প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ ও বীর সেনাবাহিনীকে আন্তরিক মোবারক জানাইতেছি।

' ১৯৭১ সালের ৭ই জুন পটুয়াখালীর নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য আওয়ামীলীগের এম মুজিবুর রহমান তালুকদার এক বিবৃতিতে বলেন ঃ একজন আমি একজন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য এই মর্মে সকলে অবহিত করছি যে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক বেআইনি ঘোষিত শেখ মুজিবুর রহমানের আওয়ামীলীগের সহিত সকল প্রকার সম্পর্ক ছিন্ন করিলাম যে, পাকিস্তানকে খণ্ড-বিখণ্ড করার জন্য আওয়ামীলীগের মতলব সম্পর্কে আমার কোন ধারণা ছিল না। জনাব রহমান পাকিস্তানের ঐক্য ও সংহতির প্রতি তাহার আস্থা পুনর্ঘোষনা করেন এবং পাকিস্তানের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সংহতি বজায় রাখিতে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার সময়োচিত ব্যবহার প্রতি জোর সমর্থন দান করেন। এছাড়া খুলনায় বেঅইনী ঘোষিত আওয়ামী লীগের একজন এমপি মীরজাফর মোহাম্মদ সাঈদ গত শুক্রবার স্থানীয় সামরিক বাহিনীর নিকট স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে বলেন, তিনি আওয়ামী লীগের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে অজ্ঞ ছিলেন এবং তিনি পাকিস্তানের ঐক্য ও সংহতির প্রতি পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করেন। ' খুলনা হতে নব নির্বাচিত এম পি এ জনাব সাঈদ প্রেসিডেন্ট কর্তৃক গৃহীত সময়োচিত ব্যবহার প্রতি সমর্থন দান করেন। তিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শত্রু তাপূর্ণ মনোভাব পোষণের জন্য ভারতের নিন্দা করেন এবং পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করার জন্য ভারতকে সতর্ক করেছেন।

' ১৯৭১ সালের ৯ই সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক আজাদ’ এর ১৩ নং পৃষ্ঠার ২ নং কলামে একটি সংবাদ ছিল এই রকম ঃ অধুনালুপ্ত আওয়ামীলীগের বেশ কিছু নেতা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নিকট ওয়াদা করিয়া পাকিস্তানের ঐক্য, সংহতি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য কাজ করিয়া যাওয়ার নিশ্চয়তা প্রদান করেন। ভারতীয় চর ও রাষ্ট্রদ্রোহী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ব্যাপারে ও তাহারা তাহাদের দৃঢ় সংকল্পের কথা প্রকাশ করেন। সে সকল ব্যক্তি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করার দৃঢ় আশ্বাস দিয়েছেন। তাহারা হইলেন, চাঁদপুর আওয়ামী লীগের জনাব চান্দ বখশ পাটওয়ারী মোক্তার, মহকুমা আওয়ামীলীগের সভাপতি ডাঃ মুজিবুর রহমান চৌধুরী, জনাব নাসির উদ্দীন পাটওয়ারী মোক্তার, মহকুমা আওয়ামীলীগের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সেক্রেটারী জনাব ফজলুল হক এডভোকেট, মহকুমা আওয়ামীলীগের কার্যকরী কমিটির সাবেক সদস্য জনাব খুরশীদ আলম চৌধুরী, মহকুমা আওয়ামীলীগের সাবেক কোষাধ্যাক্ষ জনাব বজলুর রহমান শেখ, আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও তরপারচান্দি ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান মৃধা, আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য ও ইব্রাহীমপুর ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান জনাব আজিজ শেখ পাটওয়ারী, কণ্ট্রাক্টর ও আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য জনাব মোফাজ্জল হোসেন, আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য ডাঃ নুরুল ইসলাম, ফরিদগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সমাজকল্যাণ সেক্রেটারি । চাঁদপুর জেলার আওয়ামী লীগের স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধী ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠনকারীবৃন্দ ঃ ১) চাঁদপুর আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ চান্দ বকশ পাটোয়ারি মোক্তার ২) চাঁদপুর আওয়ামীলীগ নেতা জনাব নাসির উদ্দীন পাটওয়ারী ৩) ৭নং মহকুমা আওয়ামীলীগের সভাপতি ডাঃ মজিবুর রহমান চৌধুরী ৪) ৯ নং মহকুমার আওয়ামীলীগের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ফজলুল হক ৫). জনাব নাসির উদ্দীন পাটওয়ারী ৬) ১০ নং মহকুমার আওামিলিগের কার্যকরী কমিটির সদস্য জনাব খুরশিদ আলম ৭) ১১ নং মহকুমার আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ বজলুর রহমান শেখ ৮) আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য য়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও তরপারচান্দি ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর মৃধা ।

১৯৭১ সালে ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজাদ এর ৯ই অক্টোবর এর একটি খবর থেকে জানা যায় ১. নেত্রকোণা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম খান, ২. বায়লাতি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী ডাঃ গিয়াসউদ্দীন আহমদ। ৩. নেত্রকোনা শহর আওয়ামী লীগের সদস্য জনাব সোহরাব হোসেন ও ৪. নেত্রকোনা মহকুমা আওয়ামীলীগের সদস্য সদস্য জনাব এমদাদুল হক ৫. নেত্রকোনা শহর আওয়ামী লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমিনুল ইসলাম (এ্যাডভোকেট) উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে বিভিন্ন অপরাধ মুলক সংগঠিত করছেন যারা সকলেই স্থানিয় আওয়ামী লীগের নেতা । একই খবরে তাদের সম্পর্কে পাকিস্তানী বাহিনীকে সহায়তায় তাদের সম্পৃক্ততার ঘটনাটিকে এভাবে বর্ণনা করা হয়েছে- নেত্রকোণার আওয়ামী লীগের চারজন সদস্য সমপ্রতি সংবাদ পত্রে প্রদত্ত বিবৃতিতে দলের সহিত সম্পর্কচ্ছেদ ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। তাহারা বিবৃতিতে বলেন যে, তাহারা আওয়ামী লীগের পাকিস্তানের ঐক্য বিনষ্ট করার দুরভিসন্ধি সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। ভারতের ন্যাক্কারজনক আক্রমণাত্মক তৎপরতা এবং ভারত কর্তৃক সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারী প্রেরণ ও নাশকতামূলক কার্য সাধণের জন্য ভারতের প্রতি তীব্র নিন্দা করিয়া তাহারা পাকিস্তানের ঐক্যও সংহতি রক্ষাকল্পে সময়োচিত হসক্ষেপের জন্য প্রেসিডেন্টও সেনাবাহিনীর প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন জানান।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরদান কারীগণ হইলেনঃ নেত্রকোণা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরূল ইসলাম খান, বায়লাতি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী ডাঃ গিয়াসউদ্দীন আহমদ। নেত্রকোনা শহর আওয়ামী লীগের সদস্য জনাব সোহরাব হোসেন ও নেত্রকোনা মহকুমা আওয়ামীলীগের সদস্য জনাব এমদাদুল হক। ' । ( দৈনিক আজাদ ঃ ৯/১০/১৯৭১ পৃষ্ঠা ঃ ৫৩ ) এবার আসুন নিম্নে আওয়ামীলীগের সুপরিচিত কিছু ব্যক্তিবর্গের স্বাধীনতার চেতনার কিছু কর্মকাণ্ড সংক্ষেপে জেনে নিই ঃ ১. অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম: ঢাকা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম রাজাকার পরিবারের সদস্য। তার বড় ভাই হাকিম হাফেজ আজিজুল ইসলাম নেজামে ইসলামি পার্টির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ছিলেন।

পাক হানাদার বাহিনীকে সহযোগিতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের শায়েস্তা করার জন্য তার নেতৃত্বেই ঢাকায় প্রথম শান্তি কমিটি গঠন হয়। একই সঙ্গে তিনি রাজাকার, আল বদর ও আল শাসম বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসই স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকাণ্ড চালানোর পাশাপাশি মু্ক্তিযোদ্ধাদের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বড় ভাইকে সার্বিক সহযোগিতা করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার রাজাকার ভাইয়ের মালিকাধীন প্রিন্টিং প্রেসে তিনি ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন। ১৯৬৯ সালে এ দেশে পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলন জোরদার হলে নেজামের ইসলাম পার্টির পক্ষ থেকে পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষার প্রচারণা চালানোর জন্য ‘নেজামে ইসলাম’ নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়।

হাকিম অজিজুল ইসলাম এ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। শেখ মজিবুর রহামনসহ পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলনকারীদের নিয়ে তিনি এ পত্রিকায় ‘ইবলিশের দিনলিপি’ নামে প্রতি সপ্তাহে বিশেষ সম্পাদকীয় লিখেন। অ্যাডভোকেট কামরুল ১৯৯৪ সালে আওয়ামী লীগের রাজনীতেতে সক্রিয় হন। এর মধ্যে দিয়ে রাজাকার পরিবারের গন্ধ হতে মুক্ত হতে চান তিনি। তার ব্যাপারে 'মুক্তিযুদ্ধে ইসলামী দল' শীর্ষক বইয়ে বিস্তারিত উল্লেখ আছে।

২. লে.কর্ণেল (অব) ফারুক খান: পর্যটন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানীদের পক্ষে দিনাজপুরে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি পাকিস্তানী সেনাবাহীনীর পক্ষে প্রথম অপারেশন চালান এবং কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ও নিরীহ বাঙালিকে নির্মমভাবে হত্যা করেন। সুত্র: “দিনাজপুরের মক্তিযুদ্ধ” বই। ৩. ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন: ফরিদপুর– ৩ আসনের সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন।

তিনি শান্তি বাহিনী গঠন করে মুক্তিযোদ্বাদের হত্যার জন্য হানাদার বাহিনীদের প্ররোচিত করেন। “ দৃশ্যপট একাত্তর: একুশ শতকের রাজনীতি ও আওয়ামী লীগ” বইয়ের ৪৫ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন শান্তি কমিটির জাদরেল নেতা ছিলেন। তার পিতা নুরুল ইসলাম নুরু মিয়া ফরিদপুরের কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন। ৪. অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন: ময়মনসিংহ ৬ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার ও শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন বলে গত বছরের ৪ এপ্রিল ট্রাইবুনাল ওয়ার ক্রাইম ফাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির আহবায়ক ডা, এম এ হাসানের দেয়া যুদ্ধাপরাধের তালিকায় (ক্রমিক নং-৭৩) উল্লেখ করা হয়েছে। যা গত ২২ এপ্রিল দৈনিক ডেসটিনি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।

এ দিকে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে তার বিরুদ্বে গত ৬ এপ্রিল ফুলবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ও জোড়বাড়িয়া গ্রামের ওয়াহেদ আলী মণ্ডলের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে ময়মনসিংয়ের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিট্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। ৫. সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী: আওয়মী লীগের সেকেন্ড ইন কমান্ড সংসদ উপনেতা ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পশ্চিম পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীর কাছে একজন আস্থাভাজন নেত্রী ছিলেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচিতদের মধ্যে থেকে ৮৮ জনকে পাকিস্তানের সামরিক সরকার আস্থাভাজন এন এন এ মেম্বার অব ন্যাশনাল এজেন্সী হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৭১ সালে ৭ আগষ্ট পাকিস্তানের তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত ওই তালিকায় সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর নাম ছিল ৮৪ নম্বরে। জেনারেল রোয়াদেদ খান ওই দিন ইসলামাবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তালিকা প্রকাশ করেন।

পাকিস্তানের পক্ষে সমর্থন জানানো এবং মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ভূমিকা পালন করার সুবাদে তিনি এ খ্যাতি অর্জন করেন বলে জানা গেছে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত গেজেটে এ তথ্য উল্লেখ আছে। ৬. সৈয়দ জাফরউল্লাহ: আওয়ামী লীগের প্রেসেডিয়াম সদস্য সৈয়দ জাফরউল্লাহ মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষ হয়ে কাজ করেছেন। মাসিক “সহজকথা” আয়োজিত যুদ্ধাপরাধের বিচার:বর্তমান প্রেক্ষাপট শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য দিতে গিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, আওয়ামী লীগের বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ জাফরঊল্লাহ মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন। জাফর উল্লাহ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানীদের পূর্ণ সমর্থন দেন।

“মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির অবস্থান ” বইয়ে বিস্তারিত উল্লেখ আছে। ৭. মুসা বিন শমসের: গত বছরের ২১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষোভ প্রকাশ করে ফরিদপুরের নেতাদের কাছে প্রশ্ন করেন, শেখ সেলিম যে তার ছেলেকে ফরিদপুরের রাজাকার মুসা বিন শমসেরর মেয়ে বিয়ে করিয়েছেন তার কথা কেউ বলছেন না কেন? এ খবর ২২ এপ্রিল আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। উল্লেখ্য, মুসা বিন শমসের গোপালগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ছেলের বেয়াই। ওয়ার ক্রাইম ফ্যাক্টস ফাইডিং কমিটির আহবায়ক ডা: এম এ হাসান যুদ্ধাপরাধী হিসেবে ৩০৭ জনের নাম উল্লেখ করেছেন।

সেখানে ফরিদপুর জেলায় গণহত্যাকারী হিসেবে মুসা বিন শমসের নাম রয়েছে। তিনি নিরীহ বাঙ্গালীদের গণহত্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং মুক্তিযোদ্দ্ধাদের হত্যাসহ নির্মম নির্যাতন করেছেন বলে জানা গেছে। ৮. মির্জা গোলাম কাশেম: জামালপুর–৩ আসনের সংসদ সদস্য, যুবলীগের লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সরকার দলীয় হুইপ মির্জা গোলাম আযমের বাবা। ১৯৭১ সালে মির্জা কাশেম জামালপুরের মাদারগঞ্জে শান্তি কমিটির জাদরেল নেতা ছিলেন। তিনি রাজাকার, আল-বদরদের গঠন করে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেন।

তার বিরুদ্ধে নারী ধর্ষণ ও লুটপাটের একাধিক অভিযোগ আছে। যা “জামালপুরের মুক্তিযুদ্ধ ( “১৯৮১ সালের সংস্বকরণ” বইয়ে উল্লেখ আছে। মির্জা কাশেম জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযমের একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন। প্রিয় নেতার নামানুসারে ছেলের নাম রাখেন মির্জা গোলাম আযাম। ৯. এইচ এন আশিকুর রহমান: রংপুর ৫ আসনের সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক এইচ এন আশিকুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ হতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তার সরকারের অধীনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদে টাঙ্গাইলে কর্মরত ছিলেন।

এ সময় তিনি পাকিস্তান সরকারকে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করেন। এস এস এম শামছুল আরেফিন রচিত ‘ মুক্তিযুদ্বের প্রেক্ষাপট ব্যক্তির অবস্থান’ বইয়ের ৩৫০ পৃষ্টায় পূর্ব পাকিস্তানে কর্মরত বাঙালি অফিসারদের তালিকায় তার নাম প্রকাশিত হয়েছে। ৯ জানুয়ারি রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে বলেন, রাজাকার আশিকুর রহমান আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ বলে তার বিচার করবেন না তা হয় না। আমরা সব রাজাকারের বিচার চাই। মন্ত্রীসভায় রাজাকার রেখে রাজাকারের বিচার করা যায় না।

১০. মহিউদ্দিন খান আলমগীর: চাঁদপুর -১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ হতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ময়মনসিংহে অতিরিক্তি জেলা প্রশারক পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি পাকিস্তান সরকারের অধীনে চাকরি করে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানকে সহযোগিতা করেছেন। তার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ রয়েছে। এ সময় আরেফিন রচিত “মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির অবস্থান বইয়ের ৩৫০ পৃষ্ঠার মুক্তিযুদ্ধের সময় পূর্ব পাকিস্তানের কর্মরত বাঙালি অফিসারদের তালিকা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তাকে চিহ্নিত রাজাকার হিসেবে আখ্যা দিয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারি তার বিচার দাবি করেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।

১১. মাওলানা নুরুল ইসলাম: জামালপুরের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মাওলানা নুরুল ইসলাম ১৯৭১ সালে জামালপুর সরিষা বাড়ী এলাকার রাজাকার কমান্ডার ছিলেন। তার নেতৃত্বে রাজাকাররা ঐ এলাকায় মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী সকল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। “ দৃশ্যপট এক্ত্তার: একুশ শতকের রাজনীতি ও আওয়ামী লীগ” গ্রন্থের ৪৫ পৃষ্ঠায় এর বিবরণ দেয়া আছে। এ ছাড়া গত ২৮ এগ্রিল দৈনিক আমাদের সময় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে মাওলানা নুরুল ইসলামকে সরিষাবাড়ি এলাকার রাজাকার কমান্ডার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ১২. মজিবর রহামান হাওলাদার: কুটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান হাওলাদার সশস্ত্র রাজাকার ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন এলাকায় বসতবাড়ীতে অগ্নিকাণ্ড ঘটানোসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত ছিলেন তিনি। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার মজিবুল হক স্বাক্ষরিত গোপালগঞ্জের যুদ্ধাপরাধীর তালিকায় তার নাম ১ নম্বরে । এ তালিকা প্রকাশ করা হয় ২০০৮ সালের ১ আগষ্ট। দ্বিতীয় বার গত ১ এপ্রিল যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সে তালিকায়ও যুদ্বাপরাধী হিসেব তার নাম আছে। ১৩. আবদুল বারেক হাওলাদার: গোপালগঞ্জ কোটালীপাড়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী রাফেজা বেগমের পিতা আবদুল বারেক হাওলাদার ৭১ এ দালাল ছিলেন।

গোপালগঞ্জের কোটলীপাড়া ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার মজিবুল হক স্বাক্ষরিত গোপালগঞ্জের যুদ্বপরাধীর তালিকায় তার নাম ৪১ নম্বরে। এ তালিকা প্রকাশ করা হয় ২০০৮ সালের ১ আগষ্ট । দ্বিতীয় বার গত ১ এপ্রিল যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সে তালিকাতেও তার নাম আছে। বারেক হাওলাদার মুক্তিযুদ্ধের সময় নারী নির্যাতনের সাথে জড়িত ছিলেন। ১৪. আজিজুল হক: গোপালগঞ্জ কোটালীপাড়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী রাফেজা বেগমের ভাই আজিজুল হক কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন।

গোপালগঞ্জের কোটলীপাড়া ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার মজিবুল হক স্বাক্ষরিত গোপালগঞ্জের যুদ্বপরাধীর তালিকায় তার নাম ৪৯ নম্বরে। এ তালিকা প্রকাশ করা হয় ২০০৮ সালের ১ আগষ্ট। দ্বিতীয় বার গত ১ এপ্রিল যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সেখানেও তার নাম রয়েছে। ১৫. মালেক দাড়িয়া: আওয়ামী লীগ নেতা ও গোপালগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আবুল কালাম দাড়িয়ার বাবা মালেক দাড়িয়া কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন। তিনি ছিলেন আল বদরের একনিষ্ঠ সহযোগী।

গণহত্যায় নেতৃত্ব দেন তিনি। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার মজিবুল হক স্বক্ষরিত গোপালগঞ্জের যুদ্বাপরাধীর তালিকায় তার নাম ১৪০ নম্বরে। তালিকা প্রকাশ করা হয় ২০০৮ সালের ১ আগষ্ট। ১৬. মোহন মিয়া: গোপালগঞ্জ কোটারিপাড়া উপজেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি আমির হোসেনের পিতা মোহন মিয়া মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের দালাল ও রাজাকার ছিলেন। স্থানীয় মু্ক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি লুটপাট করে অগ্নিসংযোগ করেছেন।

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার মজিবুল হক স্বাক্ষরিত গোপালগঞ্জের যুদ্ধাপরাধীদের তালিকায় তার নাম ছিল ১৫৭ নম্বরে। ১৭. মুন্সি রজ্জব আলী দাড়িয়া: উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া দাড়িয়ার বাবা মুন্সি রজ্জব আলী দাড়িয়া রাজাকার ছিলেন। যুদ্বাপরাধীর তালিকায় তার নাম আছে। তিনি পাকিস্তানীদের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করতেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের কর্মকাণ্ডের গোপন খবর পাকবাহিনীকে পৌঁছে দিতেন। ১৮. রেজাউল হাওলাদারঃ কোটালিপাড়া পৌর মেয়র ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এইচ এম অহেদুল ইসলামের ভগ্নিপতি রেজাউল হাওলাদের নাম ২০৩ জন রাজাকার, আল বদর, আলশামসসহ গত ১ এপ্রিল প্রকাশিত কোটালিপাড়ার যুদ্বাপরাধীর তালিকায় রয়েছে।

তিনি আল বদর সদস্য হিসেব স্থানীয় মু্ক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে নানা কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন। ১৯. বাহাদুর হাজরাঃ কোটালিপাড়া স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও পৌর মেয়র এইচ এম অহেদুল ইসলামের পিতা বাহাদুর হাজরার নাম গত ১ এপ্রিল প্রকাশিত কোটালিপাড়ার যুদ্ধাপরাধীর তালিকায় রয়েছে। তিনি একজন সক্রিয় রাজাকার ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যাসহ নানা অপকর্মে জড়িত ছিলেন। ২০. আ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন সরদারঃ গোপালগঞ্জের এ পি পি ও আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন সরদারের নাম গত ১ এপ্রিল প্রকাশিত কোটালিপাড়ার যুদ্বাপরাধীর তালিকায় রয়েছে।

তিনি পাকিস্তানীদের দোসর ও আল বদর বাহিনীর সহযোগী ছিলেন। আল বদর বাহিনীর সকল ধরনের কর্মকাণ্ডে অংশ গ্রহণ করতেন তিনি। ২১. হাসেম সরদার: অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন সরদারের পিতা হাসেম সরদারের নাম কোটালীপাড়ার যুদ্ধাপরাধীর তালিকায় রয়েছে। তিনি একজন রাজাকার ছিলেন। ৭১ সালে তার নেতৃত্বে অনেক সাধারণ বাঙালির বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল।

২২. আবদুল কাইয়ুম মুন্সি: জামালপুর বকশিগঞ্জ আওয়ামী লীগ সভাপতি অবুল কালাম আজাদের পিতা আবদুল কাইয়ুম মুন্সীর বিরুদ্বে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী বাহিনীকে সহয়তা ও মুক্তিযোদ্বাদের হত্যাসহ অগ্নিসংযোগের অভিযোগে গত ৬ এপ্রিল জামালপুর আমলি আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মালিচর নয়াপাড়া গ্রামের সিদ্দিক আলী এ মামলা দায়ের করেন। আবদুল কাউয়ুম মুন্সী পাকিস্তানী বংশোদ্ভুত বলে জানা গেছে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে আবদুল কাউয়ুম মুন্সী পাক হানাদার বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য বকশিগঞ্জে আল বদর বাহিনী গড়ে তুলতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। পাক বাহিনীর সাথে থেকে অনেক মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেন।

২৩. নুরুল ইসলাম-নুরু মিয়া: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের পিতা নুরুল ইসলাম নূরু মিয়া ফরিদপুরের কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন। গত ২১ এপ্রিল ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেন। এ সময় তারা মন্ত্রী ও তার ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরের বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, তার বাবা নূরু মিয়া মু্ক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকর ছিলেন। এর উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফরিদপুরের রাজাকারের তালিকায় ১৪ নম্বরে নুরু মিয়ার নাম থাকলেও তিনি যুদ্বাপরাধী ছিলেন না। পরের দিন ২২ এপ্রিল আমার দেশ পত্রিকায় এ খবরটি প্রকাশিত হয়।

নুরু মিয়ার অপকর্মের বিষয়ে ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির অবস্থান’ বইয়ে বিস্তারিত বলা আছে। জানা যায়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় জন প্রতিনিধি হয়েও আওয়ামী লীগের ২৭ নেতা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে ছিলেন। তারা কেউ ছিলেন (এম এন এ) জাতীয় পরিষদ সদস্য, আবার কেউ ছিলেন (এমপি এ) প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচিত সদস্য। মুক্তিযুদ্ধে তারা হানাদার বাহিনীকে সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন। দেশের মুক্তিযোদ্বাদের হত্যা, নারী ধর্ষণ, লুটতরাজ এবং বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ সহ নানা ধনের মানবতা বিরোধী অপরাধের সাথেও তারা যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মুজিবনগরের সরকারের মন্ত্রী পরিষদ, যুদ্ধাপরাধের সংক্রান্ত কিছু বই থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এ সব নিয়ে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। এবার আসুন মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামীলীগের অবদান সম্পর্কে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় নেতারা কি বলেন সেটা দেখি বাংলাদেশ টেলিভিশনের নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র থেকে । মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামীলীগের অবদান ১ মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামীলীগের অবদান ২ মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামীলীগের অবদান ৩ মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামীলীগের অবদান ৪ মুক্তিযুদ্ধে ঠিক একই ভাবে নিচের লিঙ্ক গুলো থেকে পুরো প্রামাণ্য চিত্রটি দেখুন - মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের অবদান - (পর্ব -৫) http://youtu.be/2UOw4SQXgmo (পর্ব -৬) http://youtu.be/Jee02Ulvp8Q (পর্ব- ৭) http://youtu.be/ZEnnWzww8mk (পর্ব - ৮) http://youtu.be/hq6ZegFWxE8 (পর্ব-৯) http://youtu.be/c9w08Bc5Wd4 (পর্ব-১০) http://youtu.be/2P7VdOWQm6o (পর্ব-১১) http://youtu.be/o19SlQD5CxQ (পর্ব-১২ ) http://youtu.be/p-v3X8J1tDw (পর্ব-১৩) http://youtu.be/XKztrmkdhRQ (পর্ব-১৪) http://youtu.be/S1IDuKPuxjY (পর্ব-১৫) http://youtu.be/MrEtdyjNooM (পর্ব-১৬) http://youtu.be/5D9LH3v28d8 (পর্ব-১৭) http://youtu.be/HVUUUeh6vU0 (পর্ব-১৮) http://youtu.be/AqE10tZp2fw (পর্ব-১৯) http://youtu.be/upfDBRO1e_Y এবার নিশ্চয় কারো সন্দেহ নেই যে আওয়ামীলীগই একমাত্র মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি !!!!! লেখক- ফজলে এলাহী পাপ্পু , ২০/০৫/২০১৩  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৬১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।