আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এই মহানগরীর একজন তুচ্ছ নাগরিকের ফালতু কিছু কথা। পড়ে সময় নষ্ট করা নিছক বোকামি।



সরাসরি প্রসঙ্গে চলে যাই। আমরা যারা ধানমন্ডি বা মোহাম্মদপুর থেকে ভোরের আলো ফোটার পর থেকেই শুরু করি কর্মস্থলে ছুটে চলার আয়োজন এবং আমাদের গন্তব্য যদি হয় মতিঝিল, আমাদের সাধারণত ব্যাবহার করতে হয় সিএনজি অথবা সিটি বাস। আপনারা হয়তো লক্ষ করেছেন, ইদানীং সিটি বাসগুলোর চরম অনিয়ন্ত্রিত ও অরাজক অবস্থা। সকালে ভাল মনে হয়তো বাসে উঠলেন কিন্তু গন্তব্যে যখন পৌঁছালেন তখন আপনি বিধ্বস্ত একজন মানুষ। এই বাসগুলোর কোন নির্ধারিত স্টপেজ নেই।

শুরু হয় তাদের যত্রতত্র লোক নেওয়া। রাস্তায় একজন হাত ইশারা করলেই বাস থামিয়ে তাকে নিতে হবে। তার উপর আবার তাদের পছন্দমতো বাস না ভরলে ঠায় দাড়িয়ে থেকে লোক উঠাতে থাকে। সিটগুলো গুলো ভরে মানুষ দাড়িয়ে থাকলেও যেন তাদের হয়না। ধৈর্যচ্যুতি হয়ে যদি আপনি হাঁকডাক শুরু করেন তাহলে বাস কয়েকগজ এগিয়ে আবার একই ঘটনা ঘটাতে থাকবে।

সিটি বাসগুলোতে উঠলে লক্ষ করবেনঃ ১. আপনি যখন বাসে উঠবেন, যেখান থেকে চাইবেন পারবেন, বাস সম্পূর্ণ থামিয়ে আপনাকে নেবে কিন্তু নামার সময় ইচ্ছে মতো নামতে চাইলে চলন্ত বাস থেকে একটু স্লো করে নামিয়ে দেয়। ২. বাসগুলো কে আগে যাবে এই নিয়ে প্রতিযোগিতায় নামে। শুরু হয় তাদের রুদ্ধশ্বাস ওভারটেকিং, প্রচণ্ড শব্দে ঘসা খাওয়া, কখনো কখনো গাড়িতে গাড়িতে ধাক্কা খাওয়া আর আমরা সবাই আতংকিত কিংবা স্তম্ভিত যাত্রী কিংবা পথচারী। ৩. গাড়ি দাড়িয়ে লোক নেওয়ার সময় একটু বাঁকা হয়ে দাড়ায় যাতে অন্য গাড়ি সামনে যেতে না পারে। ৪. গাড়িতে মানুষ ঝুলতে থাকলেও গাড়ি থামিয়ে লোক নেয়।

পরিশেষে আপনি যখন কর্মস্থলে পৌঁছান তখন আপনি হয়ে যান তিরিক্ষি মেজাজের। ঢাকা শহরে একারনেই অনেক মানুষ সামর্থ্য না থাকলেও প্রাইভেট কার কিনছে বা সিএনজিতে যাতায়াত করছে। আর যারা পারছিনা তারা এই দুর্ভোগ মাথায় করে চলেছি রোজ। প্রতিদিন অগনিত প্রাইভেট কার রাস্তায় নামাতে বাড়ছে যানজট। যাত্রী থেকে বেশি হয়ে গিয়েছে সিটি বাস।

আর এই বাস গুলো আধা ঘণ্টার রাস্তা দেড় ঘণ্টায় নিয়ে যাচ্ছে। কেউ কিছু বলার নেই।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।