আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী: প্রথম শ্রেণীর নাগরিক: নাকি তামাশার পাত্র???

একি কান্ড হলো

ভালো খাবারের লোভ আমার বরাবরই। পেট ভরা কি খালি সেদিকে থাকেনা খেয়াল, পাইলেই মাইরা দেই। গত পরশুদিনও পাইল্যাম এক সুযোগ, দুর্ভাগ্যই বটে, সকালের নাস্তাও হয়নি, পেটও ছিল খালি। খাবারের সময় দুপুর একটায় বলা থাকলেও খাবার পাইলাম তিনটায়, পাইলামও আশার চেয়ে অধিক, আর ডানে বায়ে তাকায় কে, মাইরলাম ইচ্ছামত, রিচফুড বলে কথা, চাইনিজ দোকান থেকে অর্ডারে নিয়ে আসা। খাওয়া শেষ হতে না হতেই পেটের মধ্যে মেঘের পূর্বাভাস অনুভব করলাম।

শুরু হল বৈশাখী মেঘের তর্জন গর্জন। দূষিত বায়ুর দল শব্দ করে দ্রুত পেট থেকে সরতে শুরু করল, সাথে দূর্গন্ধ। কোনমতে সোজসুজি হলে চলে আসলাম গন্তব্য বাথরুম। বসতে না বসতেই অর্ধ তরল প্রবাহের স্রোত আমার প্যান্টের এক সাইড ভিজিয়ে দিল। কি আর করা বাকিটুকু আসল জায়গাতে ফেলতে সমর্থ হলাম।

শেষ করে পরিস্কার হবার পালা কিন্ত হায়.....(!) ট্যাপ যতই ঘুরাই পানি আর আসেনা। একদিকে দূর্গন্ধ অন্যদিকে নষ্ট কাপড়, কোন দিশা পাচ্ছিলাম না। তখন শুধু মনে হচ্ছিল হল-বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও আমাদের ডিজিটাল মহামানবীর কথা। পকেটে মোবাইল ছিল, বন্ধুকে ফোন দিলাম, ও কোন মতে আধা বোতল পানি আর দুইটা টিস্যু নিয়ে আসল। হাত বাড়িয়ে তা নিলাম।

এগুলো দিয়ে যতটুকু সম্ভব পরিস্কার হতে চেষ্টা করলাম। আজ কয়েকদিন নাকি হলে মোটেও পানি থাকেনা। বন্ধুর কাছে শুনলাম গত কয়েকদিনে আরো কয়েকজন এই বিরল অভিজ্ঞার স্বীকার হয়েছে। শুধু কি তাই বিদ্যুতর যাওয়া-আসাই যেন এক লীলা খেলা। এভাবেই বর্ণনা করছিল জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় বর্ষে পড়া এক বন্ধু।

ও থাকে বঙ্গবন্ধু হলে। অন্যান্য হলেরও নাকি একই অবস্থা। ধিক প্রশাসন! ধিক সরকারকে! বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী: প্রথম শ্রেণীর নাগরিক: নাকি তামাশার পাত্র???? চার্লি চাপলিন যদি বেচে থাকতেন কিংবা মিস্টার বিন (রোয়ান এ্যাটকিনসন) বাংলার মাটিতে জন্মাতেন এ তামাশা দেখে তারাও মুর্ছা যেতেন বৈকি

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।