আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এমটিভির এক অনুষ্ঠানে তিন সৌদি নাগরিকের আইন ভাঙ্গার ঘোষণা।। তদন্তে নেমেছে সৌদি পুলিশ



তিন সৌদি নাগরিকের ইসলামকি আইন ভাঙ্গার ঘোষণা সৌদি সরকারকে ক্ষেপিয়ে দিয়েছে। তাদের গ্রেফতার করতে এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাড় করানোর জন্য এবার মাঠে নেমেছে সৌদির ধর্মীয় পুলিশ স্বয়ং। উল্লেখ্য এমটিভির একটি অনুষ্ঠানে দুজন ছেলে ও একজন মেয়ে একটি ডকুমেন্টরিতে দেশটির ইসলামিক শরীয়া আইন উৎখাত করার আলাপ আলোচনা করছিলেন। উল্লেখ্য সম্প্রতি সৌদি আরব সরকার বলেছিল তারা দেশটির আইন কানুনের ওপর সংস্কার আনবেন। দেশটির আইনজীবীরা বলেছেন এ ঘটনার জন্য ওই তিন জনের কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে।

সৌদি বর্তমান আইন শরীয়া আইনের ওপর ভিত্তি করে রচিত। নির্জন কারাবাসের সাথে বেত্রাঘাত দেয়া হয়ে থাকে তাদের আইনে। যে ডকুমেন্টেরি নিয়ে এ বিবাদ উঠেছে তাতে দেখা যাচ্ছে ফাতেমা নামে এক মেয়ে বলছে, আমার নিজের প্রতি ঘৃণা হয় যখন দেখি একজন ছেলে জেদ্দার রাস্তায় বাইসাইকেল চালাচ্ছে । ২০ বছর বয়সী ওই তরুণী সৌদিদের সনাতন পোশাকের বিরুদ্ধে নিজের মত প্রকাশ করেন। আজিজ নামে আরেক তরুণ সৌদি নারী পুরুষের আলাদা ভাবে সময় কাটানোর সমালোচনা করেন।

তিনি বলেন তিনি সৌদি আরবে নারী পূরুষের খোলামেলা মেশার পক্ষে। তিনি বলেন, তিনি একবার সৌদির কঠোর আইন ভেঙ্গে তার প্রেমিকার সাথে মিলিত হয়েছিলেন। ২৪ বছর বয়সী সে তরুণ বলেন, আমরা কীভাবে সৌদিতে বাস করব বা করতে চাই তার জন্য আমরা স্বাধীন নই। আমরা সেখানে নিজেদের পছন্দ মত স্বাধীন ভাবে বাস করতে চাই কিন্তু পারি না। চারটি পর্বে বিভক্ত ওই ডকুমেন্টেরি তৈরি হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।

সৌদির কর্মকর্তারা বলছেন, ওই ডকুমেন্টেরিটি ভালভাবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে যেখানে ওই তরুণ তরুণীরা সৌদির বর্তমান আইন ভেঙ্গেছেন এবং পাপ করেছেন বলে প্রকাশ্যে টিভিতে ঘোষণা দিয়েছেন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই তাদের বিচার কার্য শুরু হবে। উল্লেখ্য, গত বছর অক্টোবরে মাজেন আবু জওয়াদ নামের এক সৌদি নাগরিকের লেবাননের টিভিতে যৌন শোষনের মত কাজ করেছেন এমন বক্তব্য রাখার জন্য ৫ বছর জেল হয়েছিল। সুত্র. বিবিসি। এখানে ক্লিক করে পড়তে পারে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।