আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আজ আমার সারাদিনের উদ্ধারকাজের স্মৃতি ও কিছু অনুরোধ (২য় খণ্ড)... সুবহানআল্লাহ, অনেকেই এখনো বেঁচে আছে। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি এদের জীবিত উদ্ধার করার।

A successful man is one who can lay a firm foundation with the bricks others have thrown at him. গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে উদ্ধারকাজ করছি আমি ও আমার টিম। এর মধ্যে বিশ্রাম পেয়েছি তিন ঘণ্টা, ২ মিনিটের জন্য চোখ বন্ধ করতে পারিনি। কাল সারারাত আর আজ সারাদিন কাজের পর এইমাত্র ১ ঘণ্টার জন্য ভবন থেকে বের হলাম। মনে হচ্ছে, শরীরে আর একফোঁটা শক্তি নেই। আমার টিমের এক সদস্য ভোর ৪:৩০ এ অসুস্থ হয়ে পড়ায় ওকে ঢাকায় পাঠিয়ে দিয়েছি।

ভোর পাঁচটায় আমাদের টিমে যোগ দিল ১৪/১৫ বছরের এক বাচ্চা ছেলে, নাম রুহুল। ক্লাস এইটে পড়ে, এতটুকু এক ছেলে গতকাল যাত্রাবাড়ী থেকে একাই এসেছে উদ্ধারকাজে যোগ দিতে। আমি ছেলেটির সাথে তেমন কথা বলার সময় পাইনি, আমাকে যোগ দেবার ইচ্ছের কথা বলতেই হাতে একটা বেলচা ধরিয়ে দিয়েছি। এখন ছেলেটার দিকে তাকিয়ে আছি, এমনও হাজারেরও বেশী মহানায়কগুলোকে পাশে পেয়েছি। ভাবছি, আমরা এখনো পশু হয়ে যাইনি।

যখন একেকটা জীবিত মানুষ উদ্ধার করতে পেরেছি এত আনন্দ লেগেছে, মনে হয় কোন ঈদেও কোনদিন এত আনন্দ পাইনি। এখনো জীবিত-মৃত অনেক লোক আটকে আছে ভিতরে। ৫০০ হতে পারে, ১০০০ও হতে পারে। মানুষগুলোকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছি। সবাই শুধু দোয়া করবেন যেন এরা বেঁচে থাকে, যেন জীবিত সবাইকে জীবিত অবস্থায়ই ফিরিয়ে আনতে পারি।

আটকে পড়া মানুষগুলো দুর্বল হয়ে যাচ্ছে, নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে, বেশিরভাগই কথা বলারও শক্তি পাচ্ছেনা, অক্সিজেন দরকার, আরও টুলস দরকার, প্লিজ আপনারা এগুলো যোগার করে পাঠিয়ে দিতে ভুলবেননা। যতই সময় যাচ্ছে, মানুষগুলোর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ততই কমছে। প্লিজ, নামাজ পড়ে এদের জন্য দোয়া করুন। আল্লাহ যেন এদের প্রাণশক্তি বাড়িয়ে দেন। শরীরের শেষ শক্তি থাকা পর্যন্ত এদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাবো, ইনশাআল্লাহ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।