আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নকল মোবাইল প্রতিরোধ: উদ্যোগে সীমাবদ্ধ বিটিআরসি

বিটিআরসি’র গতবছরের তথ্য অনুযায়ী, বাজারের প্রতি তিনটি হ্যান্ডসেটের একটিই নকল। আর বর্তমান হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে মোট মোবাইল ফোন গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি।
গত বছরের মার্চে ছয় মাসের মধ্যে নকল সেটের ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইক্যুপমেন্ট আইডেনটিটি (আইএমইআই) নম্বার দেয়ার জন্য অপারেটরদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।
পঞ্চাশ টাকার বিনিময়ে নকল সেটে আইএমইআই নম্বর দেয়ার একটি পরিকল্পনাও নিয়েছিল বিটিআরসি। তবে এসব ‘উদ্যোগ’ আর ‘পরিকল্পনাতেই’ সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে।


আইএমইআই নম্বর হলো ১৫ ডিজিটের একটি স্বতন্ত্র সংখ্যা যা বৈধ মোবাইল ফোনে থাকে। একটি মোবাইল ফোনের কি-প্যাডে *#০৬# পরপর চাপলে ওই মোবাইল ফোনের বিশেষ এই সনাক্তকরণ নম্বরটি পর্দায় ভেসে উঠে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও বলছেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আইএমইআই নম্বর বিহীন সেটই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়। ফলে মোবাইল নম্বর থাকা সত্বেও তাদের সনাক্ত করা সম্ভব হয় না। তাছাড়া হারিয়ে গেলে বা ছিনতাই হলেও তা উদ্ধার করা সম্ভব হয় না।


অবশ্য এসব অপকর্ম প্রতিরোধে অপারেটরদের ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন রেজিস্টার (এনইআইআর) স্থাপনের নির্দেশনা দিয়েছিল বিটিআরসি।
এই সিস্টেম স্থাপন হলে ব্যবহারকারীরা আইএমইআই নম্বর বিহীন হ্যান্ডসেট দিয়ে সিম ব্যবহার করলে তা বন্ধ করে দেয়া যাবে। এছাড়া নম্বর যুক্ত কোন হ্যান্ডসেট চুরি হলে তা সহজেই উদ্ধার করা যাবে। সিম কার্ড বদলে ফেললেও একজন কলারকে সনাক্ত করা সম্ভব হতো।
তবে কোনো উদ্যোগ বাস্তবায়ন না হওয়ায় নকল প্রতিরোধ ও নিরাপত্তায় ঘাটতি থেকে যাচ্ছে বলে মনে করেন মোবাইল ফোনসেট ব্যবসায়ীরা।


বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী সিমিতির সভাপতি নিজামউদ্দিন জিটু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আইএমইআই প্রতিস্থাপন ও জিআইআইপি উদ্যেগ নেয়া হলে নকল হ্যান্ডসেট প্রতিরোধ করা সহজ হতো।
এসব বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বিটিআরসি চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এসব উদ্যোগ নিতে কাজ চলছে, এজন্য অপারেটর ও মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। ”
তবে থ্রি-জি নিলামের পর এ বিষয়টিতে বিশেষভাবে জোর দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।