আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সবচেয়ে গরমের বছর ২০১০ সাল!

বাংলায় কথা বলি,বাংলায় লিখন লিখি, বাংলায় চিন্তা করি, বাংলায় স্বপ্ন দেখি। আমার অস্তিত্ব জুড়ে বাংলা ভাষা, বাংলাদেশ।

পত্রিকায় একটি খবর পড়লাম। স্মরণকালের ইতিহাসের মধ্যে ২০১০ সালকে ক্লাইমেট এজেন্সি সবচেয়ে বেশি গরমের বছর হিসেবে উল্লেখ করেছে। আমেরিকার ক্লাইমেট এজেন্সি বলেছে, ২০১০ সালের প্রথম ৪ মাসের তাপমাত্রা ছিল ১৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা বিংশ শতাব্দীর এ সময়ের চেয়ে গড়ে ০.৬৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।

এজেন্সি তাদের সর্বশেষ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা উল্লেখ করে। তারা আরও জানায়, জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সারা বিশ্বের ভূমি ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উপরিভাগের তাপমাত্রা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা যায়। তবে এপ্রিল মাসে এ তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি ছিল। এ মাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল গড়ে ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৫৮.১ ডিগ্রি ফারেনহাইট) দ্য ন্যাশনাল ওসেনিক অ্যান্ড এটমোসফিয়ারিক এডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ) জানায়, বিংশ শতাব্দীর এ এপ্রিল মাসে তাপমাত্রা ছিল গড়ে ১৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ বছরের এপ্রিল মাসে গত শতাব্দীর এ সময়ের এপ্রিল মাসের চেয়ে ০.৭৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেশি ছিল।

তারা আরও জানায়, জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ছিল ১৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৫৬.০ ফারেনহাইট), যা বিংশ শতাব্দীর এ সময়ের তুলনায় ০.৬৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১.২৪ ফারেনহাইট) বেশি। আর সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বিংশ শতাব্দীর এ সময়ের তুলনায় ০.৫৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। তাহলে ব্যাপারটা এই দাঁড়াচ্ছে যে, প্রতি বছরই এখন আরো বেশী বেশী গরম অনুভূত হতে পারে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে দরিদ্র দেশগুলোর ভূমিকা কম থাকলেও বাস্তবেই তারাই বেশী ক্ষতির শিকার হচ্ছে। অনাবৃষ্টি আর বন্যা দু'টাই বাংলাদেশের জন্য এক সাধারণ ঘটনা হযে দেখা দিয়েছে।

গরীব মানুষগুলো আর পেরে উঠছে না প্রকৃতির সাথে লড়াই করে। এক বার খরা গেলে তার পরেই আবার বন্যা। তার পর আবার সাইক্লোন। এই দুষ্টু চক্রে চলছে গরীব মানুষের জীবন। ফলে সুখের মুখ আর কখনোই দেখা হয় না।

সুখের আশায় আশায় দিন যায় তাদের । সুখ আর আসে না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.