আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভুলে যাওয়া এক মহিয়সীর কথা!



মানব সৃষ্টির পর হতে এ পর্যন্ত অসংখ্য মহিয়সী নারীর আগমন এ পৃথিবীতে ঘটেছে। যাদের কারো কারো সৎ কর্মের পাল্লা এতটাই ভারী ছিল, যার মহান আল্লাহর এতটা অনুগত ছিল যে, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ পৃথিবীতেই তাদেরকে বেহেশতের সুসংবাদ দিয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন হযরত মারইয়াম (আ.) এবং হযরত আসিয়া... কিন্তু এমন এক ব্যক্তিত্বের নাম আমরা ভুলে গেছি যাকে মহান আল্লাহ বেহেশতের সুসংবাদের চেয়েও উর্ধ্বে বেহেশতে যত রমনীই প্রবেশ করবে তাদের সম্রাজ্ঞী হিসেবে সুসংবাদ দিয়েছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল, তার জীবন বৃত্তান্ত নিয়ে মোটেও আমরা ভাবি না। মহানবী (স.) এর ওফাতের পর তার জীবন কিভাবে কেটেছে তা নিয়ে আদৌ কোন আলোচনা আমরা করিনা।

আদৌ কোনদিন জানতে চেষ্টা করেছি যে, তিনি কিভাবে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছিলেন। বাবা (আল্লাহর রাসূল (স.) এর ওফাতের পর কতদিন তিনি বেচে ছিলেন এ প্রশ্ন হয়তবা আমাদের দেশের ৯৯% যুবক/যুবতিদের মনে জাগেই না। কেননা হযরত ফাতেমা যাহরা (আ.) এর জীবনের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বিপর্যয়ের কথা আমাদের সমাজে আজও উত্থাপন করা হয় না। কেননা সেগুলো যদি ফাঁশ হয়ে যায় তবে অনেক সাহাবীই অপরাধীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে যান। তাই এ বিষয়টি আমাদের আজও অজানা।

সুপ্রিয় ব্লগার ভাই/বোনেরা আমি জানি আপনারা সবাই ধর্মপ্রাণ। আপনার নবী করিম (স.) এর কন্যা হযরত ফাতেমা সম্পর্কে অধিক গবেষণা করুন। প্রকৃত ইসলামকে চিনতে হলে ফাতেমাকে চিনতে হবে। ফাতেমা (আ.) এর জীবনীর উপর যারা পরিচিতি লাভ করতে সক্ষম হবে তারা রাসূল (স.) এর ওফাতের পর মুসলমানদের মাঝে সৃষ্ট বিভেদের মূল কারণ উদ্ঘাটনে সক্ষম হবেন। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ ব্লগ পোষ্ট করা হলেও এ বিষয়টি নিয়ে আমি খুবই কম লেখা পেয়েছি।

আজ অনেক দিন পর তাঁর কথা স্মরণ করে মনটা দুঃখে ভরে আসল। কেননা আজ যে তার শাহাদত বার্ষিকী। রাসূল (স.) এর ইন্তেকালের মাত্র ৯৫ দিনের মাথায় বেহেশতের যুবতিদের সম্রাজ্ঞী মহিয়সী হযরত ফাতেমা যাহরা (আ.) শত্রুদের আঘাত প্রাপ্ত হয়ে ভাঙ্গা পাজড়ে এ দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছিলেন। তিনি তার জানাযাতে শরিক হওয়ার জন্য মুষ্টিমেয় কিছু সাহাবী ব্যতীত অপর কাউকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেননি। এমনকি তৎতকালীন যুগের খলিফাকেও কেননা তিনি তাদের উপর অসন্তুষ্ট ছিলেন।

আর বিদায়ের আগে হযরত আলী কে দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে ওসিয়ত করেছিলেন: 'হে আলী আমাকে রাতের আধারে গোসল দিও, রাতের আধারে কাফন পরিয়ো এবং আমাকে রাতের আধারে দাফন করো। ' আর তাই তো হযরত আলী, ইমাম হাসান ও হুসাইন (আ.) (বেহেশতের যুবদের সম্রাট), সালমান ফারসী (রা.), হুযাইফা ইয়ামানী (রা.), মেকদাদ (রা.) প্রমূখ ব্যতীত আর কাউকে এ জানাযার নামাযের অংশগ্রহণের জন্য খবর দেয়া হয়নি এবং তার ওসিয়ত মোতাবেক রাতের আধারেই তাকে দাফন করা হয়েছিল। আর তাই তো আজও তার মাজারের চিহ্নটুকু আমাদের জানা নেই। .... আজ তার পবিত্র শাহাদাত বার্ষিকীতে সকল বেহেশতকাঙ্খীদেরকে সমবেদনা জানাই। আল্লাহ আপনাদের সকলকে ঈমানের সাথে সুস্থ রাখুন।

ওয়াস সালাম।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.