আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আসেন ক্যাচাল করি-২

এডিট করুন

আস্তিক নাস্তিক নিয়া একটু উত্তপ্ত পরিস্থিতি চলতাছে। এর মাঝে হয়তো আরেকটু ঘি ঢাললাম। সকলের ধর্মানূভুতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি...... আসলে আমি মূর্খ, অশিক্ষিত মানুষ। ধর্ম, অধর্মের জ্ঞান আর দশজনের মতই। ভুল কিছু বইলা থাকলে ধরাইয়া দিবেন।

কিছু প্রশ্ন ঘুরে মনে। আচ্ছা মুহম্মদ (সাঃ) নাকি মদ নিষিদ্ধ বা হারাম করছিল যেইদিন, সেইদিন ড্রেন দিয়া লাল মদের স্রোত বইয়া গেছে। মদ হারাম, কারন তা খারাপ জিনিস। খারাপ জিনিস কখনই ইসলাম সমর্থন করে না। কারন ইসলাম হইল বৈজ্ঞানিক এবং অংকের মত নির্ভুল।

খারাপ মানে যৌক্তিকভাবে কোন কিছুর মান শূণ্য মানেই ঐটা বাদ। তাই মদ হারাম ঘোষণা করা হৈছে একেবারে। মদের জায়গা হল ড্রেনের পচা পানি। দাস প্রথাটা কেমন লাগে আমাদের সবার? মদ তো খারাপ। এইটা বর্জনীয়।

মদ খাইয়া মানুষ মাতলামী করে, নানা ধরনের আকাম কুকাম করে। নানা অত্যাচার নির্যাতন হয় মদখোর স্বামীর হাতে নিষ্পাপ স্ত্রীর। মদ্যপ লোক কখনই ভাল হয় না। দাস প্রথাটা কি মদের থিকা ভাল? এই পৃথিবীর মানুষ সব তো সমান ইসলাম মতে। এইটারে কেন মদের মত হঠাৎ কৈরা নিষিদ্ধ করা হৈল না? এতে কি মুসলিম ধর্ম গ্রহনকারী ধনী ব্যাক্তিদের ধর্ম ছেড়ে যাবার কোন আশংকা ছিল? একটা মানুষ আরেকটা মানুষের কেনা গোলাম।

এই জিনিসটা তো চরম অমানবিক। এইটারে তো খাড়ার উপরে নিষিদ্ধ করা উচিত। যদি নিয়মটা এমন হৈত যে ইসলাম যে গ্রহন করবে, তাকে ইসলাম গ্রহণ করার সাথে সাথে মদ ছাড়তে হবে, দাস দাসীদের মুক্ত করতে হবে, তাইলে কি জিনিসটা আরও শক্ত ভিতের উপর দাড়াত না? কেন মানুষের মর্জির উপর আল্লাহর বিধান শুরুতে একরকম আর পরবর্তীতে আরেকরকম থাকবে? আরবরা তো তখন আইয়ামে জাহেলিয়াতে নিমজ্জ ছিল। অবাধ যৌনাচার তাদের কাছে নাকি সাধারণ বিষয় ছিল। এখন ইসলামে তো আমার জানামতে শুরুতে, যখন ধর্ম প্রচার করা শুরু হয়, তখন যদি কেউ মুসলিম হৈত তবে তারে অবাধ যৌনাচার ত্যাগ করতে হৈত।

বলা হয়ে থাকে খাদ্যের পরেই মানুষের চেতনায় নাকি যৌনতার অবস্থান। মানুষ যদি এই চাহিদা ত্যাগ কৈরা মুসলিম হৈতে পারে, তাইলে মদ, দাস এইসব ছাইড়া কেন মুসলিম হৈতে পারবে না? ইসলাম তো বিজ্ঞান সম্মত, কোন ত্রুটি নাই, আপস নাই। একেবারে অংকের মত নির্ভুল। কোন প্লাস মাইনাসের ভুলও নাই। তবে কেন সাহিত্যিক মানুষের মন মর্জির উপর নির্ভর কৈরা গাণিতিক ইসলাম পরিবর্তিত হবে? তখনকার সমাজের অবস্থার কথা বিবেচনা কৈরা যদি আস্তে আস্তে একটু একটু কৈরা ইসলাম পরিবর্তিত হৈয়া একটা পূর্ণাঙ্গ রুপের দিকে যাইতে পারে তাহলে এখন সমস্যা কেন? এখন তো সমাজ আরো আরো বেশী পরিবর্তিত।

সেই সময়ের সাথে এখনকার কোন মিল নাই। তখন ছাড় দিয়া মানুষরে আকৃষ্ট করা হৈলে এখন কেন করা যাবে না। বৈজ্ঞানিক ধর্ম কেন শুধুমাত্র তখনকার মদখোর, দাস পিটানি লোকের জন্য প্রথমে সহজ পরে কঠিন, এখনকার লোকের জন্য শুরুতেই কঠিন? তখন কেন মানুষরে আকৃষ্ট করার জন্য ছাড় দেয়া হৈছে? এইসব ছাড় না দিলে কি মানুষ ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আসত না? বৈজ্ঞানিক ধর্ম চলবে বৈজ্ঞানিক সূত্রের মত। মানুষের মেজাজ অনুযায়ী সে বদলাবে কেন? নিয়ম যা সত্যি তা সবসময়ই সত্যি। সত্যি তো বদলানির কথা না।

অবৈধ সঙ্গম বা জিনাহ ব্যাভিচার নিষেধ থাকলে দাসপ্রথা কেন বহাল একই সময়ে? আচ্ছা যুদ্ধে যে সকল সৈন্য আটকানো হয়, তারা হৈল যুদ্ধবন্দী। তাদের দিয়া কাজ করান হৈতে পারে জোরপূর্বক, বিচার কইরা শাস্তি দেয়া যাইতে পারে। কিন্তু দাস হিসাবে পুনরায় ব্যাবহার করা কি যাইতে পারে? একটা সিষ্টেম আপনি উঠাইয়া দিতে চাইতাছেন আস্তে আস্তে। এখন কি ঐ সিষ্টেমরে আবার মাল মশলা দিয়া চাঙ্গা করাটা কি ঠিক? মহিলাদের ক্ষেত্রেও ভাগ বাটোয়ারা করাটা আপনি আপনার সাধারণ মানবিক দৃষ্টিকোণ থিকা কিভাবে দেখেন। আমার এই ক্ষেত্রে আরো কিছু প্রশ্ন ছিল, কিন্তু জিনিসটা অনেক অনেক বেশী ষ্পর্শকাতর তাই ঘাটাইলাম না।

তবে আরেকটা ষ্পর্শকাতর জিনিসের কথা আমি বলতে চাই। ধরেন একজন মহিলা একটা ছেলেরে একেবারে জন্মের পর থিকাই পালে। মহিলাটা নিঃসন্তান। তারে বুকের দুধ খাওয়াইয়া যে সে তার দুধ মা হৈব এমন কোন সম্ভাবনাও নাই। কিন্তু ছেলেটা তারে মা বইলাই ডাকে, মহিলা যেহেতু নিঃসন্তান সেহেতু এই ছেলেটাই তার পেটের ছেলের মত।

ছেলেটার আসল মা বলতে এই মহিলাই। এহন কি এই দুইজনের বৈবাহিক সম্পর্ক জায়েজ, যেহেতু ছেলেটা পালক পুত্র? মহিলার কি ছেলেটা প্রাপ্তবয়ষ্ক হৈল তার সামনে পরদা করতে হৈব? আগের লাইন দুইটা লিখতে গিয়া আমার শরীর ঘৃনায় রি রি কৈরা উঠছে। আপনার সাধারণ মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে জিনিসটা দেখেন। এইরকম জিনিস কি জায়জ হওয়া উচিত কোন সমাজে, কোন ধর্মে?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.