আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৩ টি প্রাপ্ত বয়স্ক কৌতুকের জগাখিচূড়ী! ১৮ ++ কি ১৮-- কইতাম ফারিনা নিজ দায়িত্বে পড়বেন।

ihzaka@yahoo.com হুপফূল মানসিক স্বচ্ছতায় বিশ্বাসী.. কিছুটা বাদর কিছুটা নিরিহ কিসিমের! তবে, অনেক বড় স্বপ্ন দেখে এদেশটাকে নিয়ে, যেখানে একদল শিক্ষিত তরুন ঘূণে ধরা রাজনীতিকে সত্যিকারের পরিবর্তণের পথে চালিত করতে নোংরা, হিংস্র সামপ্রদায়িকতামুক্ত, প্রকৃত দেশপ্

মহামতি মান্যবরবৃন্দ! আপনাদের সম্যক অবহিতার্থে, স্ব স্ব দায়িত্বে এই পোস্টে প্রবেশের আকূল নিষেধাজ্ঞা জ্ঞাপনপূর্বক বিনীতভাবে জানাচ্ছি যে ছামুর অনেক বিজ্ঞ ব্লগার কতনা বাহারি কিছিমের সুন্দর অ-সুন্দর, শীল- অশ্লীল, সুস্বাদু বিস্বাদু কুস্বাদু নানানরকম কোবতে অথবা কৌতুক বর্ণনা করিয়া অগনিত পাঠকের মনে পুলক কিংবা হাসির জোগান দিয়া বিনোদিত করিয়া ধন্য হন। আপনাদিগের এই অসামান্ন কৃতিত্ব দেখিয়া আমি এই অধমও যার পরনাই বিস্মিত হই। আমি এই অধমের মনেও মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছা জাগে অন্তত আপনাদের মত স্বার্থক কোবতে কিংবা কৌতুক না হোক নিদেন পক্ষে কিছু অগুছানো আজাইরা প্যাচালতো মারতে পারবো। সেই আজাইরা প্যাচালের আংশিক পোস্টায়নের ব্যার্থ চেস্টায় প্রথমেই একটা কোবতে। ১. আমরা তিন বন্ধু।

আমি , মতিন, কুদ্দুসসহ কয়েক বন্ধু প্রায় প্রতি উইকেন্ডেই গ্রামের বাড়িতে একসাথে বাদ মাগরিব বৈঠা নৌকোয় ঘুরতে বের হই। কিছুদিন আগে এমনই এক সন্ধায় নদীর চরে বসে আছি আর মনে মনে ভাবছি এই চমৎকার ভর সন্ধায় সবাই মিলে একটা কোবতে রচনা করলে মন্দ হয়না। যেই ভাবনা সেই কাজ। কিছুক্ষন ভেবে চিন্তে আমিই রচনা করলাম প্রথমলাইনটা। ”আকাশটা উড়– উড়ু” বন্ধ মতিনও যথারিতি সুন্দর একটা লাইন মিলিয়ে ফেলল: ” মেঘগুলো গুড়ু– গুড়ু– ” এবার কুদ্দুস এর পালা ।

সে আর মিলাতে পারেনা। আমরাও নাছোড়বান্দা। অনেক ভেবে চিন্তে অবশেষে সে বলেই ফেলল: ”নদীর ধারে বসে আছি তিন দামড়া গরু”। ২. পাশের বাড়ির হাবু দা গরুর পাইকারি ব্যাপারি। একহাটে অল্পদামে গরু কিনে অন্য হাটে বেশি দামে বিক্রি করে যা লাভ পায় তাই দিয়ে চলে তাদের ৩ জনের ছোট সংসার।

আর হাবু দা তার এছিস্টেন্ট হিসেবে প্রতি হাটেই হারু কে সংগে নেয়। বেচা বাট্টা ভাল হলে বাজার থেকে ফেরার পথে বাপ বেটা একসংগে জিল্যাপির খ্যাপটা ভালই দেয়। তো গত পয়লা বৈশাখে হাবু দা হারুকে সংগে না নিয়ে একাই হাটে যায়। মেলায় অন্যান্য জিনিসপত্রের কেনা বেচা যথারীতি ভাল জমলেও তার কেনা বলদের জোড়া শ্যাষ অবধি ২০০০ টাকা কমেই বিক্রি করে আসতে বাধ্য হল। রাতে বাড়ি ফিরে মনটা বেজায় খারাপ।

হাবু দার বউ ভাতের থালা আগাইয়া দিতে দিতে জিগায় ”কি গো! মনডা আইজকা এত্ত গোমড়া কেলা ?” ”কই-অ নাগো বউ! ” ”আইজকা ম্যালা ধরা খাইছি!” এই কথা শুনে হারুতো চিল্লানি শুরু। ”এইল্লাইগাইত কই ! বাবায় আইজকা আমারে বাজার-অ লই গেল না ক্যান। ” ”তাইনে আমারে থুইয়া একলা একলা ধরা খাইছে। ” বাবা তুমি আমারে থুইয়া একলা একলা সবগুলা ধরা খাইতে পারলা? নাম্বান তিন এর এই জুকস টা কওনের আগে কড়জোড়ে সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি! পারলে ক্ষমা করি দিয়েন। ৩. বাবুরহাট কাপড়ের জমজমাট মার্কেট ম্যালা দিন ধইরা এইডা আশা করি সবাই ভাল করেই জানেন।

গতকাল আমি আর মতিন বসে আছি আমাদের দোকানের সামনইে। রাত সাড়ে ৮ টায় হঠাৎ করে বিদ্যূত চলে গেল। পাশের দোকানের এক আংকেল আবছা অন্ধকারে কোমড় টারে কয়েকবার সামনে আর পেছনে আনা নেওয়া করলেন। আমি কইলাম দেখ আংকেল এই বুইড়া বয়সেও ব্যায়াম করে। দোস্ত কয় আরে ব্যায়াম না।

আন্ধাইরে হিন্দি গানের তালে নাচে। আমাগো ফিসফিসানি হুইন্না আংকেল গেল ক্ষেইপা। রাইগা উনি আমাগোরে জিগায়: এই আমি কি তোগরে কোন সময় কইছি? আমি নাচি না ব্যায়াম করি? আমি ইট্টু সাহস কইরা জিগাইলাম : তাইলে আংকেল আন্ধাইরে ইমুন করলেন কিল্লাই? আংকেল কয় : দেখস নাই আধা ঘন্টা পর পর বিদ্যুত যাইতাছে আর আইতাছে? এই রাগে হাুরে ুদলাম!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।