আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যৌন নিপীড়নকারী শিক্ষককে বহিষ্কার করতে হবে।

আমি মিথিলা

বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিচু মনমানসিকতার শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের উপর যৌন নিপিড়ন চালানোর পর প্রশাসন অজ্ঞাত কারণে সেই সব নিপীড়নকারী শিক্ষকের(!) পক্ষে অবস্থান নেয়। আমরা এই সব শিক্ষকের বহিষ্কার সহ উপযুক্ত শাস্তি দাবী করছি। জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের চার ছাত্রী ২০০৮ সালের ৩ মে উপাচাযের্র কাছে বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির লিখিত অভিযোগ করেন। পরে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত সেই শিক্ষকের বহিষ্কারের দাবিতে 'নিপীড়নের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর'-এর ব্যানারে আন্দোলন শুরু করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে ২০০৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে অভিযুক্ত শিক্ষককে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

২০০৮ সালের ২১ অক্টোবর্রওই শিক্ষক বিভাগে প্রবেশ করলে শিক্ষার্থীরা তাঁকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। প্রশাসন ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ছয় শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করে । যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ঐ শিক্ষকের বহিষ্কারের দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি প্রদান ও কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচি পালন করেছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ওই শিক্ষকের বহিষ্কারের দাবিতে গতকাল সোমবার তাঁরা কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচি পালনের পর দুপুরে একই দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেন। এ ছাড়া সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে শিক্ষার্থীরা নিপীড়নবিরোধী আন্দোলনের ওপর ভিত্তি করে দুটি প্রামাণ্যচিত্র, 'দুঃস্বপ্ন' ও 'অনশনের পাঁচ দিন' প্রদর্শন করেন।

নাটক শেষে শিক্ষার্থীরা হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত পুনঃ তদন্ত কমিটির কাছে দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করার অনুরোধ জানান। এ ছাড়া তাঁরা ঘটনার সময় বহিষ্কৃত ছয় শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান। এই নেন তথ্য সূত্র: মোটেও কপি পেস্ট নয়ঃ Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।