আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গ্রেফতার আতংকে কওমী মাদ্রাসার শিক্ষায় বিঘ্ন

Good things come to those who wait বাংলাদেশে কওমী মাদ্রাসার একটি শিক্ষাবোর্ড অভিযোগ তুলেছে, হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচিকে ঘিরে সহিংস ঘটনার প্রেক্ষাপটে মামলায় গ্রেফতার আতংকে অনেক মাদ্রাসার শিক্ষক ছাত্র পলাতক থাকায় তাদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। কওমী মাদ্রাসাগুলোতে ১১ই জুন থেকে শিক্ষাবর্ষের চূড়ান্ত পরিক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। তবে সরকার বলছে,ঢাকায় হেফাজতের অবস্থান কর্মসূচি থেকে সহিংসতার সাথে জড়িতদের সুনির্দিষ্ট মামলায় গ্র্রেফতার অভিযান অব্যহত থাকবে। এটা মাদ্রাসা শিক্ষার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নয় বলেই সরকার উল্লেখ করছে। কওমী মাদ্রাসাগুলো নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোন কাঠামো নেই।

এসব মাদ্রাসার প্রতিনিধি নিয়ে বেসরকারি উদ্যোগে ঢাকায় কওমী মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড রয়েছে। ঢাকার বাইরে সিলেট,বগুড়াসহ বিভিন্ন জায়গায় পাঁচটি আঞ্চলিক বোর্ড রয়েছে। ঢাকায় যে বোর্ড রয়েছে, সেই বোর্ডের চেয়ারম্যান মাওলানা শাহ আহমদ শফি। তাঁর নেতৃত্বেই হেফাজতে ইসলাম নামের একটি সংগঠন সাম্প্রতিক সময়ে লংমার্চ, ঢাকা অবরোধ এবং অবস্থান কর্মসূচি নিয়েছিল। সেই অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করেই সহিংস ঘটনার প্রেক্ষাপটে মামলায় অনেক কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক এবং ছাত্রদের মধ্যে গ্রেফতার আতংক কাজ করছে।

এই কওমী মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল জব্বার বলেছেন, মাদ্রাসার শিক্ষক,ছাত্রদের মধ্যে গ্রেফতার আতংকের কারণে তাদের শিক্ষা কার্যক্রমে সমস্যা হচ্ছে। তিনি বলছিলেন, ‘মামলা মোকাদ্দমার ভয়ে অনেক মাদ্রসায় শিক্ষক এবং ছাত্রদের অনেকেই ক্লাসে যেতে পারছে না। অনেকে আত্মগোপনে আছেন। ফলে শিক্ষা কার্যক্রমে সমস্যা হচ্ছে। ’ হেফাজতে ইসলামের অবস্থান কর্মসূচিকে ঘিরে সহিংস ঘটনার ব্যাপারে কুড়িটির বেশি মামলা হয়েছে।

এসব মামলায় অজ্ঞাতনামা হাজার হাজার অভিযুক্ত করা হয়েছে। মাওলানা আব্দুল জব্বারের বক্তব্য হচ্ছে, ‘মামলায় সুনির্দিষ্ট কয়েকশ জনের নাম আছে। আর নাম ছাড়া দশ হাজার অভিযুক্ত করা হয়েছে। এ কারণে মাদ্রাসার শিক্ষকদের ধরার জন্য পুলিশের আনাগোনা আছে। আবার আওয়ামীলীগের কর্মিদেরও আনাগোনা আছে।

তারা ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এ ধরণের কিছু তথ্য শোনা যাচ্ছে। ’ মওলানা আব্দুল জব্বার বলেছেন, ধরপাকড় বা ভয়ভীতির কারণে ঢাকায় দু’একটি মাদ্রাসা বন্ধ থাকতে পারে। তবে ঢাকার বাইরে কোন মাদ্রাসা বন্ধ থাকার খবর তাদের কাছে নেই। তাদের বোর্ডের আওতায় সারাদেশে পাঁচ হাজার মাদ্রাসা আছে।

এগুলো প্রায় সবই খোলা আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তবে সরকার বলছে, সহিংস ঘটনার জন্য সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত থাকবেই। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেছেন, ‘ঢালাও ভাবে মাদ্রাসার বিরুদ্ধে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোন অভিযোগ নেই। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে রয়েছে, শুধু তাদেরকে ধরার জন্যই আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। ’ অনেক মাদ্রাসার শিক্ষকদের হয়রানির করার ব্যাপারে আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধেও যে অভিযোগ এসেছে,তা নাকচ করে দিয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সেটিকে মিথ্যা অপপ্রচার বলে বর্ননা করেছেন।

একইসাথে স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন,সারাদেশে সকল কওমী মাদ্রাসায় ক্লাস যাতে নির্বিঘ্নে চলে, সে বিষয়টিতেও সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.