https://www.facebook.com/tanvir.mh তখন সম্ভবত ক্লাস থ্রি এর মাজখানডিয়ারে পড়ি।
(৩ আর ৪ এর মাঝখানে;এইটাও বুঝাই দিতে হয়?)
আমার এক বান্ধবীর....না বন্ধু। বন্ধু,বান্ধবী আবার কি!!! সবাই বন্ধু। গল্পে ফিরে আসি।
স্কুলে দুষ্টামি করা অবস্থায় তাহার ফ্রক ছিরে যায়।
সামান্য একটুই ছিঁড়েছিলে। তাতে আমি খুব কষ্ট পাই। চরম ব্যথিত হই তার কান্না দেখে। মনে হচ্ছিল আমার ইদের নতুন জামার উপর ছাগলে নাচতেছে। যাই হোক ফ্রক ছিরে যাওয়ায় বন্ধুটি কান্না শুরু করছে।
এ যেন এক অশ্রুধারা। নদীর বহমান জলধারা।
ফ্রক না হয় সেলাই দেয়া যাবে কিন্তু এ অশ্রুধারা কিভাবে থামাবো? তখন তো আর এখনকার মত ক্রন্দন বন্ধন করার থিউরিও জানা ছিলনা। তার উপরে ছিলাম লাজুক। আপনারা যারা লাজুক তারাই জানেন মানুষকে আমরা সান্ত্বনা দিতে পারিনা।
কিন্তু মাশাল্লাহ সান্ত্বনা আমাদের অনেক নিতে হয়।
বন্ধুটির জন্য তখন আর বিপদ অপেক্ষা করছে। তাকে বাড়ি পৌছাতে হবে। এখন উপায়?
সন্ধ্যা পর্যন্ত ওয়েট করবো? বললাম আমাদের বাসায় চল। কিন্তু এটা শুনে আরও কান্দে।
আরে ছেরি কানলে যদি সমাধান আসতো তাইলে তো আমরা সারাদিন কাজকাম ফালাইয়া দিয়া কানতাম।
কালকে পরীক্ষা?
সামনে বই রেখে কানতাম। ভালোবাসার মানুষকে ভালোবাসার কথা বলতে গিয়ে ভে ভে করে......
কি আর করা অবশেষে তাকে আমরা দুই বন্ধু মিলে বাড়ি পৌঁছে দিলাম। যে পাশে ছেড়া সে পাশে তার ৩ টি বই নিয়ে জোরে চাপ দিয়ে ধরে রেখেছিল। আগে মেয়েরা বুকে বই নিয়ে জড়িয়ে ধরে স্কুলে যেতো।
আমরা হাতে করে নিচের দিকে সাইডে। ভুলে যান নাই তো?
আর আমরা দুইজন তার দুই পাশে ছিলাম। সারা রাস্তায় সে কানতে কানতেই গেছে।
তারপর ৩ দিন সে স্কুলে আসেনি। ভেবেছিলাম আর আসবেও না।
চিন্তা করে দেখলাম আমার হাফপ্যান্ট ছিরে গেলে কি আমি ৩ দিন স্কুলে যেতাম?
হুম যেতাম।
কিন্তু আস্তে আস্তে সে স্কুলে আসা শুরু করলো। কানামাছি ভোঁ ভোঁ খেলাও শুরু করলো...
ভার্সিটিতেও যখন মাঝখান ডিয়ারে পড়ি। মানে সিক্স সেমিস্টারের দিকে তখন এক বান্ধবীর(বন্ধু) সাথে হাটতে থাকা অবস্থায় তার দুই জুতার মাঝে এক জুতার হিল খুলে যায়। এখন কি উপায়।
ও হাটতেছে আকা বাকা ভাবে। বললাম জুতা হাতে নিয়ে হাঁটো। গ্রামে রোজার ইদের দিন আপুরা সকালে হিলের জুতার পরে শো ডাউন দেয় আর বিকেলে ফেরার পথে সেই জুতা হাতে নিয়ে হাটে। তুমি কেন পারবানা? তুমি কি জলি বেগম থেকে এঞ্জেলিনা জলি হয়ে গেছো?
গেছো?
তার তির্যক চাহনি আমাকে ভয় পাইয়ে দেয়। পরে আর কি করা কাছে মুচিও নেই।
দেশের সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে তাকে কোলে নিয়েও হাটা যায়না। তার অপর পায়ের হিল টাকে ১০ মিনিট কষ্ট করে খুলে ফেললাম। তখন সে স্বাভাবিকভাবেই হাটতে পেরেছে।
সমস্যা সব আমাকে ঘিরে......
why always me!!! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।