আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভারত থেকে বিদ্যুত্ আমদানির লাভ-ক্ষতি।প্রকৌশলী এসএম ফজলে আলী।



বর্তমান সরকার সব বিষয়ে ভারতমুখী হয়ে পড়ছে। তারা হয়তো মনে করছে, সব ক্ষেত্রে ভারত বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। তাদের কাছে যা চাওয়া যাবে, তাই পাওয়া যাবে। কিন্তু আমাদের ভুললে চলবে না যে, সিডরে উপকূলের প্রায় ৩ কোটি লোক যখন সর্বস্বান্ত হয়, এমনকি তাদের পরনের কাপড় পর্যন্ত দুর্লভ ছিল—তখন সে সময়ের ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি ওইসব লোকের দুঃখ-কষ্ট দেখে এতটাই অভিভূত হয়ে পড়েছিলেন যে, তাত্ক্ষণিকভাবে ঘোষণা করেন, ভারত সে সময়ের মূল্যে দ্রুত বাংলাদেশকে ৫ লাখ টন চাল দেবে। তিনি ভারতের অত্যন্ত প্রভাবশালী মন্ত্রী।

তদুপরি ভারত শরণখোলা এলাকার সর্ববিধ্বস্ত ১৬০০ ঘর তৈরি করে দেবে তাদের খরচে। তখন চালের মূল্য ছিল প্রতি টন ৩৫০ ডলার আর ভারত টালবাহানা করে সে চাল দেয় ৫ মাস পর, যখন আমাদের আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। আর সে চালের দাম নেয় প্রতি টন ৫৫০ ডলার করে। আর তাদের তথাকথিত দানের ঘর বাংলাদেশের মানুষ আজ পর্যন্ত একটাও পায়নি। এ হলো ভারতের প্রতিবেশীদের দুঃসময়ে সাহায্যের নমুনা।

তারা আমাদের বেরুবাড়ী এক কথায় নিয়ে নিল, কিন্তু মাত্র ৩ বিঘা করিডোর আজও দেয়নি, যা দহগ্রাম ও আঙ্গুরপোতার ১০ হাজার বাংলাদেশীর মূল ভূখণ্ডে আসার জন্য একান্ত জরুরি। অথচ কোর্টে একটা মামলা ঠুকে দিয়ে দীর্ঘ ৩৮ বছর ঝুলিয়ে রাখছে। এতে দুই ছিটমহলের মানুষ অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। তারা পানি বণ্টনের জন্য একটা ফারাক্কা চুক্তি করেছে; কিন্তু সে চুক্তি মোতাবেক বাংলাদেশ কোনো দিন পানি পাচ্ছে না। গঙ্গার উজানে ৩০টির অধিক বাঁধ দিয়ে পানি প্রত্যাহার করে নেয়ার পর এখন ফারাক্কা পয়েন্টে বণ্টনের মতো পানি থাকছে না।

এই অপ্রতুল পানির ৪৯ ভাগের জায়গায় যদি ৬০ ভাগ পানিও দেয়, তাতে বাংলাদেশের লাভটা কোথায়? কিছুদিন আগে ভারতের হাইকমিশনার তথ্যাদি দিয়ে বোঝাতে চেয়েছেন যে ভারত বাংলাদেশকে তার প্রাপ্য শতকরা হারের (৫৩.৫%) বেশি দিচ্ছে। বাস্তবতা হলো, মার্চের ১৫ তারিখ পর্যন্ত মূল চুক্তি থেকে ১ লাখ কিউসেক পানি বাংলাদেশ কম পেয়েছে। আমাদের জিকে প্রজেক্ট আজ পানির অভাবে বন্ধ হওয়ার উপক্রম। ওদিকে তিস্তা নদীর পানি একতরফা প্রত্যাহার করে নেয়ায় আমাদের ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা তৈরি তিস্তা প্রকল্পের প্রায় ৩ লাখ হেক্টর জমি চাষাবাদের অযোগ্য হয়ে মরুকরণের মুখে পড়েছে। তদুপরি ভারতের মণিপুরে টিপাইমুখ ড্যাম তৈরি করে আমাদের উত্তর-পূর্বাঞ্চলও পানিশূন্য করতে যাচ্ছে।

এই হলো ভারতের বাংলাদেশের প্রতি বন্ধুসুলভ আচরণ। এখন প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে, ভারত থেকে বিদ্যুত্ আমদানি আদৌ বাংলাদেশের কাজে আসবে কি-না। আর কাজে এলেও তা আর্থিকভাবে লাভবান হবে কি -না। প্রাথমিক হিসেবে দেখা যাচ্ছে, গ্রিডলাইন করতেই ১১০০ কোটি টাকা খরচ হবে। গ্রিড লাইনের খরচা দিয়ে দেশের অভ্যন্তরেই ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদনের একটি নতুন প্লান্ট তৈরি করা যাবে।

তাছাড়া বাস্তবে গ্রিড লাইন টানতে খরচ ১১০০ কোটি টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। টাকার অংক অবশ্যই অনেক বেশি হবে। ভারতের কাছ থেকে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ আমদানি করার জন্য ৪৫ কিলোমিটার গ্রিডলাইন ও একটি সাবস্টেশন নির্মাণ করতে ওই ব্যয় ধরা হয়েছে। এই বিপুল অর্থ ব্যয় করেও ভারত থেকে যে বিদ্যুত্ আমদানি করা হবে তার দাম পড়বে প্রতি কিলোওয়াট (ইউনিট) সাড়ে ৩ থেকে ৪ টাকা। বাংলাদেশে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুত্ উত্পাদনে সাকুল্যে খরচ পড়ে মাত্র ২ টাকা।

ভারতকে এই বিদ্যুতের মূল্য দিতে হবে গ্রিড পয়েন্টের ভিত্তিতে। এর সঙ্গে সঞ্চালন, বিতরণ ও সিস্টেম লসও যোগ করা হবে। আর বাংলাদেশ যদি ২৫০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুত্ ভারত থেকে নিতে চায় তা হলে তার জন্য দাম দিতে হবে আরও বেশি। বিদ্যুতের দাম ভারতীয় রুপিতে নির্ধারিত হবে। তাই বাংলাদেশের মুদ্রামান কমলে ভারতকে আরও বেশি টাকা দিতে হবে।

বাংলাদেশ সরকার ভারত থেকে ৪ টাকায় প্রতি ইউনিট বিদ্যুত্ ক্রয় করলেও সিওবিকে স্থানীয় ব্যবহারকারীদের কাছে তা বিক্রি করতে হবে আড়াই টাকা প্রতি ইউনিট। এতে প্রতিদিন পিক আওয়ারে ৬ ঘণ্টা বিদ্যুত্ ব্যবহার করলে বাংলাদেশ সরকারকে ভারতকে বার্ষিক ৯০ কোটি টাকা বেশি দিতে হবে। আর ২৪ ঘণ্টা এ বিদ্যুত্ নিলে ভর্তুকির পরিমাণ দাঁড়াবে ৩৬০ কোটি টাকায়। দুই দেশের পরিকল্পনা অনুযায়ী ভারত থেকে এ বিদ্যুত্ পেতে বাংলাদেশকে ২০১২ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ভারত থেকে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ কিনতে প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের মূল্য দিতে হবে ৪ টাকা।

অথচ বাংলাদেশে গ্যাসভিত্তিক প্লান্টে বিদ্যুত্ উত্পাদন করে গ্রাহক পর্যায়ে সরবরাহ করতে পিডিবির খরচ পড়ে ২ টাকা। গ্যাস আরও বেশি সরবরাহ করতে পারলে এ খরচ ইউনিটপ্রতি আরও কম হবে। আমাদের বাপেক্স গ্যাস উত্পাদন বাড়াতে পারলে বিদ্যুত্ উত্পাদন খরচ অনেক কমে যাবে। বিদেশি কোম্পানি থেকে অধিক মূল্যে গ্যাস কিনতে হয় বলে বিদ্যুত্ উত্পাদন খরচ তুলনামূলকভাবে বেশি হচ্ছে। এ বিবেচনায় মূল ভূখণ্ডে বাপেক্স দ্বারা গ্যাস উত্পাদনের মাত্রা বাড়িয়ে স্থানীয় বিদ্যুত্ উত্পাদন প্লান্টগুলোতে ২৪ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ করতে পারলে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ বেশি উত্পাদন করা যায়।

বিদেশ থেকে বিদ্যুত্ আমদানির চেয়ে স্থানীয়ভাবে যাতে বেশি বিদ্যুত্ উত্পাদন করা যায় সেদিকে বেশি জোর দেয়া যে কোনো জাতীয় সরকারের প্রথম ও প্রধান কাজ হওয়া উচিত। নন-টেকনিক্যাল উপদেষ্টাদের পরামর্শে এসব কাজ করা উচিত নয়। বিশেষজ্ঞদের হিসাব মোতাবেক ১১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ভারত থেকে বিদ্যুত্ আনতে যে গ্রিডলাইন বসাতে হবে তা দিয়ে দেশেই একটি ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ প্লান্ট তৈরি করা সম্ভব। আর এটা হবে আমাদের স্থায়ী সম্পদ। ভারতের সঙ্গে যে সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে এই বিদ্যুত্ আনার চুক্তি হয়েছে, তাতে ভারত থেকে শুধু বিদ্যুত্ আমদানি করা ছাড়াও বাংলাদেশের খুলনায় ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত্ কেন্দ্র যৌথ উদ্যোগে স্থাপন করা হবে।

তবে বিদ্যুত্ কোম্পানির পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে ভারত। আর এর সম্ভাব্যতা যাচাই করবে ভারত। অর্থাত্ ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা যাচাইয়ের ব্যাপারে বাংলাদেশের কোনো ভূমিকা থাকবে না। ব্যবস্থাটা হচ্ছে টেংরাটিলা ও মাগুরছড়ায় নাইকো যে ধরনের চুক্তি করেছিল, এখানেও তাই হতে যাচ্ছে—পার্থক্য শুধু সেখানে গ্যাস উত্তোলনের জন্য চুক্তি হয়েছিল, এখানে বিদ্যুত্ সরবরাহের জন্য। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ভারত থেকে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ আমদানিতে যে খরচ হবে তা দেশে বিদ্যুত্ উত্পাদনের জন্য খরচ করলে বেশি সুফল পাওয়া যাবে।

তদুপরি এ টাকা জ্বালানি (গ্যাস ও কয়লা) উত্তোলনে খরচ করলে তার দ্বারা অধিকভাবে লাভবান হওয়া সম্ভব। গ্যাসের অভাবে আমাদের বিদ্যুত্ প্লান্টগুলো পুরো মাত্রায় চালু রাখা যাচ্ছে না, তা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। আর ভারত যে আমাদের প্রয়োজনে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুত্ সরবরাহ করবে তা আস্থায় আনা যায় না। তাদের যখন বিদ্যুতের কমতি দেখা দেবে তখন আর বাংলাদেশকে বিদ্যুত্ দেবে না। এর বড় উদাহরণ হলো ফারাক্কা চুক্তি।

তারা চুক্তি করেও যে চুক্তি মোতাবেক আমাদের পানি দিচ্ছে না, বিদ্যুতের ক্ষেত্রে তাই হওয়ার আশঙ্কাই বেশি। তারা বলছে, পশ্চিমবঙ্গের উদ্বৃত্ত বিদ্যুত্ থেকে আমাদের ওই বিদ্যুত্ দেবে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে যে হারে শিল্পের প্রসার হচ্ছে তাতে তাদের নিজেদেরই প্রচুর বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে। তখন তাদের নিজেদের চাহিদা পূরণ করাই মুশকিল হবে। আর তাদের উত্পাদন বন্ধ রেখে আমাদের চুক্তি মোতাবেক বিদ্যুত্ দেবে, তা একমাত্র আহাম্মকই ভাবতে পারে।

আর সরকার যদি ভারত থেকে বিদ্যুত্ আমদানি করতেই চায় তবে তা শিলিগুড়ি পয়েন্ট থেকে আনা উচিত। আঞ্চলিক সহযোগিতায় ভবিষ্যতে নেপালে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর কয়েকটি ড্যাম করে ১ লাখ ৪৭ হাজার মেগাওয়াট হাইড্রো পাওয়ার উত্পাদনের যে সম্ভাবনা আছে, তা কার্যকরী হলে তখন বাংলাদেশ শুধু ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ পাবে না—তার বহুগুণ বেশি বিদ্যুত্ বাংলাদেশ আনতে পারবে। আঞ্চলিক কোটার ভিত্তিতেই তা পাওয়া যাবে। আমাদের সে পথ উন্মুক্ত রাখা উচিত। তবে সমস্যা হচ্ছে, ভারত এখনও আঞ্চলিক ভিত্তিতে সার্ক গ্রিডলাইন করতে আগ্রহী নয়।

তারা নেপালের সঙ্গে নামকাওয়াস্তে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করে বিদ্যুত্ উত্পাদন করে তার পুরোটাই ভারত নিয়ে যাচ্ছে স্বল্প মাত্র করের নামে সারচার্জ নেপালকে দিয়ে। আর সেই নেপালই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৮ ঘণ্টা থাকছে লোডশেডিংয়ে। ২০০৮ সালের অক্টোবরে নেপাল ভ্রমণে গিয়ে নেপালের এই হাল জেনে হতবাক হলাম। বাউল কবির ভাষায়—‘তেষ্টায় পাই না পানি, কাছে থাকতে মেঘনা নদী। ’ ২০০৮ সালে সার্কের জ্বালানিমন্ত্রীরা কলম্বোতে জ্বালানি সংক্রান্ত আলোচনায় বিশেষজ্ঞ কমিটিকে জানায় যে, যৌথভাবে ব্রহ্মপুত্রের পানি নেপাল ও ভুটানে ড্যামের মাধ্যমে সংরক্ষণ করে ১ লাখ ৪৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদন করা সম্ভব।

তাতে ভারত, নেপাল, বাংলাদেশ ও ভুটান বিশেষভাবে বিদ্যুত্ সরবরাহে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে। ভারতের এ শুভবুদ্ধির উদয় হবে কি? এরই মধ্যে বিশ্বব্যাংক আগ্রহ প্রকাশ করে বলেছে, ব্রহ্মপুত্রের পানি থেকে বিদ্যুত্ উত্পাদনে তারা সহায়তা দিতে আগ্রহী যদি এ অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলো তা চায়। এটা একটা সুযোগ। এটা কার্যকরী করা সবার জন্যই মঙ্গলজনক। যৌথভাবে বিশ্বে বহু পানি ও বিদ্যুত্ প্রকল্প হয়েছে।

আমাদের কাছেরই মেকং নদীর পানি লাওস, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ও থাইল্যান্ড ব্যবহার করছে। ইন্ডাজব্যাসিন ভারত-পাকিস্তানের সেচ ও বিদ্যুতের জোগান দিয়ে যাচ্ছে। ইউরোপের দানিয়ুব নদী ১৩টি দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত। তারা সবাই সমতার ভিত্তিতে ওই নদীর পানি ব্যবহার করছে। এরূপ বহু প্রকল্প আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকায় আছে।

এখন কথা হলো, ভারতকে বিশ্বাস করে এই বিরাট অংকের বিনিয়োগে গ্রিডলাইন ও সাবস্টেশন করা যুক্তিসঙ্গত হবে কিনা। পূর্বঅভিজ্ঞতা বলে, তারা চুক্তি করে ঠিক কিন্তু সে চুক্তি মোতাবেক কাজ করে না। তারা বেরুবাড়ী নিল, তিনবিঘা করিডোর আজও দিল না। তারা শেখ হাসিনার প্রথম আমলে ফারাক্কার পানি বণ্টনের ৩০ বছরের চুক্তি করল, কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে আমাদের প্রাপ্য পানির হিস্যা দিচ্ছে না। তিস্তার পানি একতরফাভাবে প্রত্যাহার করছে।

এ অবস্থায় ভারত ভবিষ্যতে চুক্তি মোতাবেক বিদ্যুত্ দেবে কিনা সন্দেহ আছে। পশ্চিমবঙ্গ যে হারে শিল্পায়িত হচ্ছে, তাদের বিদ্যুতের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। যখন তাদের উত্পাদিত পুরো বিদ্যুত্ তাদের প্রয়োজনে লাগবে তখন তারা কোনোভাবেই আমাদের তা দেবে না। তাদের অতীত কর্মকাণ্ডে এটা প্রমাণিত যে তারা শুধু নিতে জানে, দিতে জানে না। সরকারের বুদ্ধিমানের কাজ হবে নিজের দেশে ওই টাকা বিনিয়োগ করে বিদ্যুত্ উত্পাদন কেন্দ্র স্থাপন করা।

তাছাড়া সৌর শক্তি উত্পাদনে জোর দেয়া, এটা দ্রুত করা যায়। আর তেল-গ্যাস উত্তোলনে ক্রাশ প্রোগাম নেয়া। তেল-গ্যাস সরবরাহ করতে পারলে এখনই ১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ অতিরিক্ত উত্পাদন করা সম্ভব।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.