আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৭ই জুলাই ২০০৯, পড়ুন! দেখুন!(মাসের পড় মাস একসাথে কাজ করেছি একবারও বলতে ইচ্ছে করলনা, তুই মরে গেলি?)

আমার নাম মন্জু, আমি সবাইকে আইনি সহায়তা দিতে চাই...

ছবির নিচের লেখাটি এই ছেলেটিকে নিয়ে ৭ই জুলাই ২০০৯ সালে এই ব্লগে আমি এই লেখাটি দিয়েছিলাম। আজ সকালে ছেলেটি মরে গেল ব্লগের সেই ছবি এবং লেখাটি ঠিকই রয়ে গেল। সকলের কাছে দোয়া প্রাথী`। ----------------------------------------------------------------- পূবে`র লেখা: এই যে ছবিটা দখছেন মনে হচ্ছে মানুষনা একটা বান্দর এবং সব সময় আমার কাছে বান্দর মনে হয় । এই ছেলেটার সাথে আমার একটু মিল আছে।

আমাকেও মাঝে মাঝে বান্দরের মত মনে হয় তবে সব সময় নয়। কারন সে হলো একটা খাটি কামলা। তার মাঝে যে সব লক্ষন আমি দেখেছি তা হলো এবং তার সাথে আমার যে পাথ`ক্য: আমি মাঝে মাঝে খুব কঠিন কাজ করি যখন আমার চেহারাটা ফ্যাকাসে বান্দরের মত লাগে, তাকে আমি সব সময় কঠিন কাজ করতে দেখি। এজন্য তার চেহারাটা সবসময় একরকম থাকে। আমার কাজ হলো ৮ ঘন্টা আর সে কাজ করে ১২ ঘন্টা আরও তার ২ ঘন্টা অফিসে আসা যাওয়া।

আমি ৩ বেলা খাবার পাই। সে পায় ২ বেলা। আমার রুমে আর একজন তার রুমে ১৬ জন। আমার বেতন ২৬০০ ডেরহাম। তার বেতন ৭০০ দেরহাম।

আমি কাজের ফাকে ফাকে মিনারেল ওয়াটার পাই, সে পায় সাদা পানি। আমাকে একটু পর পর ভিটামিন বানানোর সরন্জাম দেয়, সে কিছু পায় না। আমি ৫০/১০০ বা ৫০০ দেরহাম বকশিশ পাই, সে আজ অনেক দিন পর ৫ দেরহাম বকশিশ পেয়েছিল তার হাসি আমি থামাতে পারেনাই। আসলে আমারা গরীব এবং আমাদের সাথে আমাদের উপরের মানুষগুলো এমনি পাথ`ক্য হতে থাকে। কেন এমন? কে এই পৃথিবী চালায়? কেন পরিবত`ন নেই।

আমি এসবের পরিবত`ন চাই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।