আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মনে পড়ে হারানো দিন গুলি

কীট

যখন অনার্সে পড়ি, আমরা চার বন্ধু ছিলাম, আমি, রুবেল , রুস্তম, সারোয়ার, আমি বোকা হাবা গল্প বা কথা বলতে জানতাম না, রুবেল , খুবই চতুর, মিশুক, উদ্যমী এবং সবকিছু কিভাবে ম্যানেজ করতে হয় তা জানতো, রুস্তম, উদ্ভট,বখাটে, চতুর ছিলো, সারোয়ার, নম্র , ভদ্র ও অমায়িক ছিলো। তবে যে যাই হোক সবাই খুবই মেধাবী ছিলাম। রোল কারও পিছনে ছিলো না। অনার্স ফাস্ট ইয়ার : আমাদের বিকাল বেলা একটা সভা হতো , যেখানে প্রায় বিশ থেকে ত্রিশ জন বসতাম আর যত প্রকার বাজে গল্প আছে , সবার মুখ দিয়ে বের হতো , আমি বাদ। এতে প্রথম ছিলো মাহাবুব আর আরফান।

যাই হোক আমি একটা কম দামী গিটার কিনি। প্রতিদিন বাবু, বাশার, জুলফিকার এবং আমরা চারজন বিশাল গানে র আসর বসতো। আমি গিটার শিখতাম, বাবু শিখাতো। বাবু আমাদের আর এক বন্ধু, যে খুবই ভোলা ছিলো, সংগীতে খুবই ভালো, তার একটা ব্যান্ড দল ছিলো, খুবই ভালো, অমায়িক ব্যাবহার ছিলো তার। আমি হিসাববিঞান, রুবেল গনিত, রুস্তম রাষ্ট্রবিঞান, সারোয়ার ইংলিশ।

যাই হোক এই চারজনের দলটা কে একদিন কালো নেশা গ্রাস করে। প্রথম শুরু গাজা দিয়ে, রুবেল নিয়ে আসে সেই গাজা। যা হোক প্রথম টেষ্ট করেই আমার মরমর অবস্থা। সেই যে , টেষ্ট থেকে বাদ, তারপর আর খাওয়া হয়নি, আমি এটাকে আল্লাহর রহমত বলে মনে করি। আর একটা জিনিস সবাই বাবার বড় ছেলে ছিলো, আমি বাদে।

রুবেল আর গনিত এ পড়া আর হয়নি, রুস্তমের রাষ্ট্র বিঞান পড়া শেষ হয়নি, সারোয়ার পাগল এর মত হয়ে যায় এবং তাকে মানসিক ডাক্তার তত্বাবধানে রাখা হয় বেশ কিছুদিন, তবে কোন মত শেষ করেছে পড়ালেখা। আল্লাহর আশ্চর্য রহমত বা খেলা, তিনি আমাকে সহি সালামত এ রেখেছেন এবং ভালোভাবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় স্থান অধিকার করি অনার্স ও মাষ্টার্সে কোন প্রকার লস না করে ও।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।