আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমি আর সুশীল না

পড়ছি বেশি, লিখছি কম... বাংলাদেশের সুশীল সমাজের আরও অনেক মানুষের মত আমিও সার্বক্ষনিক চোখ রাখতাম টিভি পর্দায়। মনটা কেঁদে উঠত আর শুধু বলতাম 'আহারে'! ওরা তো কোন মিছিলে যায় নাই। ওরা তো শাহাবাগী কিংবা হেফাজতি না। নিরেট খেটে খাওয়া অতি সাধারণ কিছু 'মানুষ'। ওদেরকে চিরকাল অসহায়ই জানতাম।

পুরা ব্যাপারটায় মানুষ হিসেবে নিজের দায়বদ্ধতা এড়ানো খুব কঠিন। একটা খুব অদ্ভুদ ব্যাপর লক্ষ্য করলাম। আমার মত আরও অনেকেই উসখুশ করছিল কিছু একটা করার জন্য। ঠিক যেই মুহূর্তে আমি আর আমার ছোট ভাই সিদ্ধান্ত নিলাম কিছু একটা করবো প্রায় সাথে সাথেই চারপাশ থেকে একঝাঁক মানুষকে পেলাম যারা স্বপ্রণোদিত হয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল। আমার ছোট ভাই ফায়ার সেফটি ইকুইপমেন্টের ব্যবসার সাথে জড়িত।

রেসকিউ ইকুয়েপমেন্ট কিনে ফেললাম অনেকগুলো (৩৫ সেট)। কেনার সময় ব্যবসায়ীদের সাহায্য পেলাম আরও একবার। সবকিছুই অত্যন্ত কম দামে দিল তারা। সেই সাথে বোনাস সামগ্রীতো দিলই। মারকাজুল ইসলাম তাদের অ্যাম্বুলেন্স দিল সারাদিনের জন্যে।

আসলে প্রতিটা সেক্টরেই মানুষ তৈরি হয়ে আছে সাহায্য করার জন্যে। এই একটা ইস্যুতে সবার চিন্তা দেখলাম একই রকম। সবাই শুধু জীবিত মানুষ চায়। এনাম মেডিকেলের চাহিদা মত আজ পাঠিয়েছি রোগীদের জামা-কামড় আর গামছা। (আমাদের গামছার ফ্যাক্টরি আছে।

এনাম মেডিকেলের কোন রোগীকে আমরা গামছা কিনতে দেবো না। ) আমি জানি আমাদের এই সাহায্য খুবই অপ্রতুল। পুরা ঘটনার ভয়াবহতার কাছে এইসব সহযোগিতা কিছুই না। কিন্তু এই কাজটা আমাকে বাঁচার প্রতি আগ্রহ জুগিয়েছে। আমাকে শিখিয়েছে মারামারি হানাহানি ছাড়াও আমরা আরও অনেককিছুই পারি।

অসহায়দের সাহায্য করার জন্যে যে হাহাকার তা সকলের ভেতরেই আছে। শুধু বের করে আনার প্রতীক্ষা মাত্র। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।