আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বড় গল্প-উদ্বাস্তু ঘুঘু : পর্ব-৪(গ্রীনকার্ড)

সান্ধ্যকালীন কোর্স বাতিল মানে কারো শিক্ষার সুযোগ কেড়ে নেয়া

উদ্বোধনঃ Click This Link পর্ব-২ঃ Click This Link পর্ব-৩ঃ Click This Link ক্রমশ ঃ যখন ফসল ঘরে তোলার পর ক্ষেতে পড়ে থাকে উচিছষ্ট উপজাত। তখন তার উপযুক্ত ব্যবহার হলো উপজাতকে ডাম্ব বা নষ্ঠ করে ফেলা। দক্ষ ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন কৃষকেরা উপজাতকে পঁচিয়ে কিংবা পুড়িয়ে জৈব সারে পরিণত করেন। আর সকল কৃষির উদ্গাতা পরম কৃষক তার ফসলের উপজাত মায় জমিটাকেও ফুল ফসলের প্রতিশ্রুতিতে পরিণত করেন। দৃশ্যটা ফুটবল মাঠের মত।

ঠিক খেলা শুরুর পূর্বে জাতীয় সঙ্গীত অথবা টুর্নামেন্টের থীম সং বাজাবার কালে দু’দলের খেলোয়াররা নত মস্তকে সারি বেঁধে দাঁড়ায়। ফুটবলটাকে মাঝখানে রেখে। মাঠে রেফারিও ছিলেন অথবা নাটের গুরু। যিনি সর্বশেষকে ধারণ করেই সর্বপ্রথম। বাঁশিটা কোন অলক্ষেই বাজালেন কখন।

তা বাঁশিও জানে না। -প্রথম সৃষ্টি করা হলো আলো কেননা একমাত্র অন্ধকারই বর্তমান ছিল। তারপর বন্ধু কেননা তখন কেবল পরম স্বত্ত্বাই ছিলেন। তারপর শব্দ কঠিন নৈঃশব্দ কে ঢেকে দেবার জন্য, তারপর তোমরা-আমার অভিজাত বুদ্ধিবৃত্তিক প্লাটুন এবং অপরাপর। শুধুমাত্র এই বস্তুটি ব্যতিত তোমাদের আর কাউকেই যে মায়া দেওয়া হয়নি, আজ তা তোমাদেরকে কিভাবে পেল কিংবা তোমরা তাকে ? জমায়েতের সবচেয়ে কমগুরুত্বপূর্ণ বিষয় লক্ষ্য করে বললেন পরম প্রজ্ঞা।

দ্বিতীয় বুদ্ধিবৃত্তি ছিল অপরাপর বইতালের সাথে মাথা নিচু করে । মুখপাত্র হলো সে, কিন্তু কি বলতে গিয়েও নিরস্ত হলো সে। প্রভু লক্ষ্য করলেন তাকে, হ্যাঁ রুহুল । অনুমতি দিলেন পরমাত্মা। -মালিক।

কথিত রুহুল হাঁটু ভেঙে বসে পড়ে ডান হাতটা বুকে রেখে ধীর, বিনীত কন্ঠে, যেখানে আমাদের নির্দেশ করা হয়েছে সেখানে কোন বৈচিত্র, আলোক ছিলনা এবং সে এক আশ্চর্য ব্যতিক্রম। আমরা তার ব্যাপারে তাদের পরিমাপের প্রসঙ্গে, সঠিক স্থানে সঠিক সময়ে একই রকম আচরনের ব্যাপারে দ্বিধাগ্রস্থ। আমরা আমাদের অপারগতা, অক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতার জন্য করুণাময়ের আশ্রয় প্রার্থনা করি। প্রকৃত তথ্য ঈশ্বর এবং তিনি যাকে দয়া করেন, তিনিই ভালো জানেন। -বাঁশিওয়ালা ? যে শব্দের লক্ষ্য, ছিল সে নিকটে।

-তিনি বাঁশি এবং তার প্রতি দৃকপাতে সুর ও আমাকে প্রভাবিত করবার মতো ক্ষমতাসম্পন্ন। -যবনিকা ? -তিনি নিত্য। অশেষ তিনি নক্ষত্রের মত দেদীপ্যমান, সময়ান্তে যথোচিৎ বিপরীত অবস্থা লাভ করবেন এবং লৌকিক জীবনেই তার পারলৌকিক ক্রিয়াদির অভিজ্ঞতা হবে। -তো প্লাটুন ? -ফিরে যাওয়ার কোল তার নেই এবং-------জগতপতির ইচ্ছাই চুড়ান্ত। জগতের করুণার উৎস তিনি সকলের রব।

-তোমাদেরকে ভুতে পেয়েছে। সে প্রশ্রিত। তোমরাও তাঁকে পেলে। কিন্তু সচেতন যে সঙ্গ দোষে তোমাদের ধর্ম বদলে গেছে ? তাদের মুখচ্ছবি আর দৃষ্টি দেখে মনে হবার কোন কারণ নেই যে তারা ঈশ্বরের অমীয়বানী শেষ পর্যন্ত শুনেছে। সঙ্গদোষে নাকি লোহা ভাসে।

বুঝি সত্যই। তাই একুনে একটি মাত্র ছাত্রকে নিয়ে হলো প্লাটুন গুরুর পাঠশালা। কতক লুকোচুরি, মানবীয় দুষ্টামি, রহস্য, অনুরাগ, অভিমান, ছেলেমানুষি যে সম্পর্ক গড়বারকালে ঘটে নাই সে আমি হলফ করে বলতে পারি নে। এইভাবেই এক অমোঘের বীজ বোনা হলো। তারপর, উর্বর জমিন ছিল প্রস্তুত।

মান সম্পন্ন বীজের বৃক্ষ হওয়ার আনুপুর্বিক সহায়ক এবং শ্বাশত প্রয়োজনও। তাইতে অনতিবিলম্বে কঠিন ভুমি ভেদিয়া শব্দ, বায়ু, আলোর তরঙ্গপূর্ণ দৃশ্যমান শুন্যতা ছেদিয়া সে ক্রমে অঙ্কুর, গাছড়া, গাছ, বৃক্ষ মহিরুহে পরিণত হয়। মানবীয় স্মৃতির ডালা অবচেতন ড্রয়ারে রুদ্ধ করে ঘটমান ইতিহাস, দয়াময়ের কৃপাঞ্জলী চুয়ে পড়া হিসেব কষা আড়তদারী ভালবাসায় প্রাপ্ত মহব্বতকেই মহার্ঘ জ্ঞানে মাথায় তুলে নিল। ভক্তিতে সে হলো অতুলনীয়। সচেতন মস্তিস্কের আবডালে সমান্তরালে প্রবাহিত হয় জিনগত সন্দেহ, ঈর্ষা, ভয়, অভিমান।

সাথেই থাকুন........................

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।