আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মৃত ব্যক্তির নামেও জমি দখল করলেন আ’লীগ নেতা



কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহণকৃত অব্যবহৃত জমির বৈধ ইজারাদার হয়েও তা ভোগদখলে নিতে পারছেন না চার ইজারাদার। সাইনবোর্ড টানিয়ে পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহত দুই ব্যক্তির নামে সে জমি দখল করে রেখেছে খোকসা থানা আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। পুলিশ ও প্রশাসনের দ্বারে বারবার ধরনা দিয়েও কোনো সহযোগিতা পাচ্ছেন না চার ইজারাদার। এলাকাবাসী ও ইজারাদার সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের রাজবাড়ী জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর দফতর থেকে খোকসা উপজেলার গোপগ্রাম ইউপির গোপগ্রাম মৌজায় অস্থায়ী ভিত্তিতে দোকানঘর নিমার্ণে বোর্ডের অব্যবহৃত জমির আশি ফিট জায়গা চারজনের নামে একসনা ৩০ চৈত্র ১৪১৬ সাল পর্যন্ত ইজারা দেয়া হয়। (যার স্মারক নং-এ-১৬/৩৮৭ তারিখ ৩০/০৮/২০০৯ ইং)।

ইজারা দেয়ার কয়েকদিন পর নির্বাহী প্রকৌশলী দফতরের ইঞ্জিনিয়ার সালাউদ্দিন ইজারাকৃত জমি মেপে খুঁটি গেড়ে দখল দেন ইজারাদারদের। পরদিন এক ইজারাদার জমিতে গিয়ে দেখতে পান সেখানে আওয়ামী লীগ গোপগ্রাম ইউনিয়ন শাখা অফিসের সাইনবোর্ড ঝুলছে। নিজ নামে ইজারাকৃত জমিতে ওই সাইনবোর্ড দেখে তা তুলতে গেলে বাধা দেন পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহত অত্র অঞ্চলের শীর্ষ সন্ত্রাসী মগরোব ও মহাম্মদের পোষ্য বাবা খোকসা থানা আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ আবুল কালাম আজাদ। সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের দাপটে জমির দখল নিতে না পেরে আইনি সহায়তার জন্য প্রশাসনের দ্বারে বারবার ধরনা দিয়েও কোনো সুফল পাননি ইজারাদাররা। আ’লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই জমি দখলকে কেন্দ্র করে এরশাদ সরকারের শাসনামলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়।

সে সময় দু’গ্রুপের মধ্যে জমি ভাগাভাগির মাধ্যমে সে দ্বন্দ্বের অবসান ঘটে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দেশব্যাপী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদকালে হাত পড়ে এখানেও। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর কুমারখালী উপজেলার তেবাড়ীয়ার মৃত কুবাদ আলী সেখের ছেলে মোঃ আবদুল্লাহ, পাথরবাড়ীয়ার সোবাহন জোয়াদ্দারের ছেলে মোঃ সেলিম জোয়াদ্দার, জগন্নাথপুর ইউপির হোগলা গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোঃ রবিউল ইসলাম ও মোঃ বাহাদুর প্রামাণিকের ছেলে মোঃ নাজমুল আলম হেলাল এই চারজন পানি উন্নয়ন বোর্ডের দফতর থেকে গোপনে ইজারা গ্রহণ করে। আমরা এটি জানতে পেরে দ্রুত দলীয় সাইনবোর্ড টানিয়ে দিই। এ কারণে তারা আমাদের ১০ থেকে ১২ জনের নামে থানায় অভিযোগ দেয়।

তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে থানা আমাদের বিরুুদ্ধে নোটিশ জারি করে। এ খবর পেয়ে আমি বললাম, আপনারা আওয়ামী লীগের সদস্যদের বিরুুুদ্ধে নোটিশ জারি করার সাহস কোথা থেকে পেয়েছেন। আমরা এই নোটিশ মানিনা। তখন দারোগা আমাদের কাছে সরি বলে ক্ষমা চেয়ে নেন। এরপর এ বিষয়টির আর কোনো সুরাহা হয়নি।

আর ক’দিন পর ওদের ইজারার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। তারপর আমরা ইজারা গ্রহণ করে বৈধভাবে ভোগদখল করব। এখানে মগরোব ও মহাম্মদের জমি রয়েছে। পুলিশ তাদের মেরে ফেলেছে। এখানে দুটা ঘর করে দিলে তাদের ছেলে-মেয়েরা ঘর ভাড়া বাবদ দু’শত টাকা পেলেও তাদের উপকার হবে।

’ এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র যে কোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।